শিরোনামঃ
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে তথ্য অধিকার আইন চর্চার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ যশোর, বাগেরহাট ও নড়াইলের ছাত্রদলের কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তিন নেতা ইডিসিএল গিলে খাচ্ছে জগলুল জুড়ীতে ভূয়া রশিদ দিয়ে কুরবানীর পশু বিক্রির অভিযোগ মোমিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নাকচ করায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের বিক্ষোভ মিছিল বর্হিবিশ্বে লন্ডনে স্হাপিত জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ সামন্তলাল সেন সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ বিটিএ’র পক্ষ থেকে নব নিযুক্ত পরিচালককে অভিনন্দন বিকাশ দেওয়ান ছিলেন একজন সফল এমডি

জনমনে শঙ্কা, না জানি বিএনপি কখন কী দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে: কাদের

#
news image

বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে লুন্ঠন ও দুর্নীতির রাজত্ব কায়েমের ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ শঙ্কায় আছে, না জানি বিএনপি কখন কী দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিভ্রান্তিকর’ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কাদের এ বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব দাবি করেছেন যে, তারা নাকি নির্বাচনে বিশ্বাস করে। ফলে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এটা কি তাদের মনের কথা? কারণ তারা একদিকে বলছে, নির্বাচনে বিশ্বাস করে। অন্যদিকে ক্ষমতা দখলের নেশায় দেশ ও গণবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপির কাছে নির্বাচন মানে মাগুরা মার্কা নির্বাচন, ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের পাশাপাশি ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি। তাদের কাজই হচ্ছে অপতৎপরতায় লিপ্ত থেকে দুরভিসন্ধিমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির কপালে একের পর এক কলঙ্কের তিলক পরানো। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনের নামে আসলে কী চায়, সেটা তাদের জনগণের সামনে স্পষ্ট করতে হবে। তারা তাদের অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা পরিবর্তনের উপায় হিসেবে যদি সত্যিকার অর্থে নির্বাচনে বিশ্বাস আনে তাহলে তা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃসময়ের কথা বলে দেশের জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। আসলে দেশে কোনও দুঃসময় নেই, দুঃসময় যাচ্ছে বিএনপির রাজনীতিতে। তাদের নেতাকর্মীরা এখন হতাশ। শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্ব ও সক্ষমতা নিয়ে তারা সন্দিহান। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা তাদের শীর্ষ নেতাদের ব্যর্থ নেতৃত্ব থেকে মুক্তি চায়।

আর জনগণ চায় বিএনপি’র আমলের দুঃশাসন ভুলে যেতে। ফলে জনগণ বার বার আওয়ামী লীগকেই বেছে নিয়েছে এবং বরাবরের মতো আগামী নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগকেই বেছে নেবে। সেটা বুঝতে পেরেই বিএনপি এখন দুঃসহ যন্ত্রণায় ভুগছে। বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো ধারণ না করলে, না বুঝলে তাদের নাকি মুক্তি হবে না। বিএনপির মহাসচিবের এ ধরনের বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, তারা এখনও পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতি থেকে বের হতে পারেনি। তাদের অন্তরে এখনও পাকিস্তান রয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তারা বিশ্বাস করে না এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না। বিএনপিকে বুঝতে হবে পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক সব সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। তাই বাংলাদেশ আর পাকিস্তান হবে না।

তিনি বলেন, মির্জ ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবি মতে, মুক্তির নাকি একটাই পথ; জিয়াউর রহমানের দেখানো পথে গিয়ে একটা ঘটনা ঘটানো। জিয়াউর রহমান তো হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সমাধি রচনা করে তার ওপর পাকিস্তানি ভাবধারার বিষবৃক্ষের বীজ বপন করেছিল। অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির নেতারা বারবার বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন মীমাংসিত একটি বিষয়। কাজেই নতুন করে এ নিয়ে কোনও প্রকার দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই। নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে। সরকার শুধু নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। তাই বিএনপি নেতাদের বলবো, নির্বাচনে যদি বিশ্বাস করেন, জনগণের ওপর যদি আস্থা থাকে, তবে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন। আশা করি, বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

প্রখ/ সাদ্দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ এপ্রিল, ২০২২,  7:25 AM

news image
ফাইল ছবি

বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে লুন্ঠন ও দুর্নীতির রাজত্ব কায়েমের ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ শঙ্কায় আছে, না জানি বিএনপি কখন কী দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিভ্রান্তিকর’ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কাদের এ বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব দাবি করেছেন যে, তারা নাকি নির্বাচনে বিশ্বাস করে। ফলে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এটা কি তাদের মনের কথা? কারণ তারা একদিকে বলছে, নির্বাচনে বিশ্বাস করে। অন্যদিকে ক্ষমতা দখলের নেশায় দেশ ও গণবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপির কাছে নির্বাচন মানে মাগুরা মার্কা নির্বাচন, ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের পাশাপাশি ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি। তাদের কাজই হচ্ছে অপতৎপরতায় লিপ্ত থেকে দুরভিসন্ধিমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির কপালে একের পর এক কলঙ্কের তিলক পরানো। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনের নামে আসলে কী চায়, সেটা তাদের জনগণের সামনে স্পষ্ট করতে হবে। তারা তাদের অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা পরিবর্তনের উপায় হিসেবে যদি সত্যিকার অর্থে নির্বাচনে বিশ্বাস আনে তাহলে তা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃসময়ের কথা বলে দেশের জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। আসলে দেশে কোনও দুঃসময় নেই, দুঃসময় যাচ্ছে বিএনপির রাজনীতিতে। তাদের নেতাকর্মীরা এখন হতাশ। শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্ব ও সক্ষমতা নিয়ে তারা সন্দিহান। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা তাদের শীর্ষ নেতাদের ব্যর্থ নেতৃত্ব থেকে মুক্তি চায়।

আর জনগণ চায় বিএনপি’র আমলের দুঃশাসন ভুলে যেতে। ফলে জনগণ বার বার আওয়ামী লীগকেই বেছে নিয়েছে এবং বরাবরের মতো আগামী নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগকেই বেছে নেবে। সেটা বুঝতে পেরেই বিএনপি এখন দুঃসহ যন্ত্রণায় ভুগছে। বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো ধারণ না করলে, না বুঝলে তাদের নাকি মুক্তি হবে না। বিএনপির মহাসচিবের এ ধরনের বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, তারা এখনও পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতি থেকে বের হতে পারেনি। তাদের অন্তরে এখনও পাকিস্তান রয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তারা বিশ্বাস করে না এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না। বিএনপিকে বুঝতে হবে পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক সব সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। তাই বাংলাদেশ আর পাকিস্তান হবে না।

তিনি বলেন, মির্জ ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবি মতে, মুক্তির নাকি একটাই পথ; জিয়াউর রহমানের দেখানো পথে গিয়ে একটা ঘটনা ঘটানো। জিয়াউর রহমান তো হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সমাধি রচনা করে তার ওপর পাকিস্তানি ভাবধারার বিষবৃক্ষের বীজ বপন করেছিল। অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির নেতারা বারবার বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন মীমাংসিত একটি বিষয়। কাজেই নতুন করে এ নিয়ে কোনও প্রকার দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই। নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে। সরকার শুধু নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। তাই বিএনপি নেতাদের বলবো, নির্বাচনে যদি বিশ্বাস করেন, জনগণের ওপর যদি আস্থা থাকে, তবে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন। আশা করি, বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

প্রখ/ সাদ্দাম