শিরোনামঃ
‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে তথ্য অধিকার আইন চর্চার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

ক্ষতিকর আর্সেনিক  মোকাবেলায় উদ্যোগ নিন

#
news image

চালে আর্সেনিকের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। গবেষকরা বলছেন, আর্সেনিক একটি বিষাক্ত পদার্থ। সেচের পানি অথবা বালাই নাশকের সঙ্গে আর্সেনিক ফসলে প্রবেশ করে। ধান চাষে যে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহৃত হচ্ছে তার মাধ্যমেই বেশিরভাগ আর্সেনিক শস্যে প্রবেশ করে। 
গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে এখন আর্সেনিক শুধু পানীয় জলের দূষণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অগভীর নলকূপের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেতের সেচ বিতরণের কারণে অনেক জায়গায় উচ্চফলনশীল ধান গাছে প্রচুর পরিমাণ আর্সেনিক পাওয়া গেছে। যার কারণে দেখা যায়, শুধু আর্সেনিক আক্রান্ত এলাকায় না থেকেও এর প্রভাব চালের মাধ্যমে ছড়িয়ে যাচ্ছে দেশের অন্য এলাকাগুলোতেও। যা একটা বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি। 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ৪৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় বা আর্সেনিকোসিসে। দুই কোটিরও বেশি মানুষ এই বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তা সত্ত্বেও আর্সেনিক সমস্যা মোকাবেলায় আমাদের উদ্যোগ খুবই সীমিত। ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে প্রথম বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নলকূপের পানিতে আর্সেনিক পাওয়া যায়। ২০০৩ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সারা দেশে ব্যাপক ভিত্তিতে নলকূপের পানি পরীক্ষা করে। এরপর বাংলাদেশ আর্সেনিক মিটিগেশন ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্টের পক্ষ থেকেও স্ক্রিনিং করা হয়। এসব পরীক্ষায় ২৭১টি উপজেলার ৫৭ হাজার ৪৮২টি গ্রামে আর্সেনিক বিষক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। ৪৯ লাখ ৫০ হাজার নলকূপ পরীক্ষা করে ২৯ শতাংশেই আর্সেনিক পাওয়া যায়। 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী ১ লিটার পানিতে ১০ মাইক্রোগ্রাম (১০ পিপিবি বা পার্টস পার বিলিয়ন) এর বেশি আর্সেনিক থাকলে সেই পানি দূষিত। সেখানে বাংলাদেশের মান অনুযায়ী ১ লিটার পানিতে ৫০ মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক (৫০ পিপিবি) থাকলে সেই পানিকে নিরাপদ বলা হয়। আর্সেনিক শুধু পানির মাধ্যমেই মানুষের শরীরে প্রবেশ করে না বরং কেউ যদি আর্সেনিক সমৃদ্ধ খাবার খায় সেক্ষেত্রে খাবারের মাধ্যমেও আর্সেনিক ঘটিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। চর্মরোগ, ঘাসহ আর্সেনিকোসিসের বহু ধরনের শারীরিক উপসর্গ রয়েছে। 
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে ক্যান্সারসহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। গ্রামের দরিদ্র মানুষের পক্ষে এসবের চিকিৎসা করানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই আর্সেনিকোসিস মোকাবেলায় সরকারকেই ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে। এ পদক্ষেপগুলোর মধ্যে হতে পারে, পানীয় জলের এবং সেচের উৎস হিসাবে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো, স্বল্প সেচ সক্ষম ফসল উৎপাদনে বেশি মনোযোগ দেওয়া এবং সেই ধরনের নতুন জাত এর উদ্ভাবনে আরও বেশি সচেষ্ট হওয়া। অলটারনেটিভ ওয়েট অ্যান্ড ড্রাই মেথড ব্যবহার করার মাধ্যমে কৃষিজমিতে সেচ দেওয়া, উপরিভাগের পানি যেমন নদী, খাল বিলের পানির ব্যবহার বাড়ানো এবং মানুষের মাঝে এ বিষয়ে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ জুলাই, ২০২২,  10:27 PM

news image

চালে আর্সেনিকের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। গবেষকরা বলছেন, আর্সেনিক একটি বিষাক্ত পদার্থ। সেচের পানি অথবা বালাই নাশকের সঙ্গে আর্সেনিক ফসলে প্রবেশ করে। ধান চাষে যে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহৃত হচ্ছে তার মাধ্যমেই বেশিরভাগ আর্সেনিক শস্যে প্রবেশ করে। 
গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে এখন আর্সেনিক শুধু পানীয় জলের দূষণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অগভীর নলকূপের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেতের সেচ বিতরণের কারণে অনেক জায়গায় উচ্চফলনশীল ধান গাছে প্রচুর পরিমাণ আর্সেনিক পাওয়া গেছে। যার কারণে দেখা যায়, শুধু আর্সেনিক আক্রান্ত এলাকায় না থেকেও এর প্রভাব চালের মাধ্যমে ছড়িয়ে যাচ্ছে দেশের অন্য এলাকাগুলোতেও। যা একটা বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি। 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ৪৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় বা আর্সেনিকোসিসে। দুই কোটিরও বেশি মানুষ এই বিষক্রিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তা সত্ত্বেও আর্সেনিক সমস্যা মোকাবেলায় আমাদের উদ্যোগ খুবই সীমিত। ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে প্রথম বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নলকূপের পানিতে আর্সেনিক পাওয়া যায়। ২০০৩ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সারা দেশে ব্যাপক ভিত্তিতে নলকূপের পানি পরীক্ষা করে। এরপর বাংলাদেশ আর্সেনিক মিটিগেশন ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্টের পক্ষ থেকেও স্ক্রিনিং করা হয়। এসব পরীক্ষায় ২৭১টি উপজেলার ৫৭ হাজার ৪৮২টি গ্রামে আর্সেনিক বিষক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। ৪৯ লাখ ৫০ হাজার নলকূপ পরীক্ষা করে ২৯ শতাংশেই আর্সেনিক পাওয়া যায়। 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী ১ লিটার পানিতে ১০ মাইক্রোগ্রাম (১০ পিপিবি বা পার্টস পার বিলিয়ন) এর বেশি আর্সেনিক থাকলে সেই পানি দূষিত। সেখানে বাংলাদেশের মান অনুযায়ী ১ লিটার পানিতে ৫০ মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক (৫০ পিপিবি) থাকলে সেই পানিকে নিরাপদ বলা হয়। আর্সেনিক শুধু পানির মাধ্যমেই মানুষের শরীরে প্রবেশ করে না বরং কেউ যদি আর্সেনিক সমৃদ্ধ খাবার খায় সেক্ষেত্রে খাবারের মাধ্যমেও আর্সেনিক ঘটিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। চর্মরোগ, ঘাসহ আর্সেনিকোসিসের বহু ধরনের শারীরিক উপসর্গ রয়েছে। 
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে ক্যান্সারসহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। গ্রামের দরিদ্র মানুষের পক্ষে এসবের চিকিৎসা করানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই আর্সেনিকোসিস মোকাবেলায় সরকারকেই ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে। এ পদক্ষেপগুলোর মধ্যে হতে পারে, পানীয় জলের এবং সেচের উৎস হিসাবে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো, স্বল্প সেচ সক্ষম ফসল উৎপাদনে বেশি মনোযোগ দেওয়া এবং সেই ধরনের নতুন জাত এর উদ্ভাবনে আরও বেশি সচেষ্ট হওয়া। অলটারনেটিভ ওয়েট অ্যান্ড ড্রাই মেথড ব্যবহার করার মাধ্যমে কৃষিজমিতে সেচ দেওয়া, উপরিভাগের পানি যেমন নদী, খাল বিলের পানির ব্যবহার বাড়ানো এবং মানুষের মাঝে এ বিষয়ে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে।