শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

কিডনি রোগী রোজা রাখতে চাইলে যা করবেন

#
news image

রমজান মাসে বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগীর রোজা রাখা বা না রাখার ব্যাপারে কী পরামর্শ দেওয়া যায়Ñসেটা নিয়ে স্বাস্থ্যসেবাদানকারীদের সব সময়ই চিন্তা করতে হয়। গুরুতর অসুস্থ কিডনি রোগী ছাড়া অন্যরা কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চললে নিরাপদেই রমজান মাসে রোজা রাখা সম্ভব। বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগীর কথা উল্লেখ করা হলো। তবে সব ধরনের কিডনি রোগী রোজা রাখার আগে অবশ্যই নিজের ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
হঠাৎ কিডনি বিকল রোগী।


গবেষণায় দেখা গেছে, পরিপূর্ণ নিয়ম মেনে রমজান মাসে রোজা রাখলে সেটা বরং একিউট কিডনি ইনজুরির ঝুঁকি কমায়, বিশেষ করে যাঁদের অন্যান্য রোগÑযেমন ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে রোজা গুরুত্বপূর্ণ হারে ঝুঁকি কমায়। যদিও এ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি এবং বড় আকারে আরো গবেষণা প্রয়োজন।
কিডনিতে যাদের পাথর আছে।


এটা প্রমাণিত যে কম প্রস্রাব হওয়া এবং ডিহাইড্রেশন কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। যাঁদের কিডনিতে আগে পাথর হয়েছে অথবা যাঁরা কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিতে আছেনÑতাঁদের খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রতি ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের প্রস্রাবের পরিমাণ দুই লিটারের কম না হয়।
দীর্ঘমেয়াদি কিডনি সমস্যা।
ক্রনিক কিডনি ডিজিজের রোগীÑবিশেষ করে যাঁরা স্টেজ-৩ থেকে স্টেজ-৫ সিকেডিতে আক্রান্ত, তাঁদের রোজা রাখতে নিরুৎসাহ করা হয়।
ডায়ালিসিস রোগীর রোজা
ডায়ালিসিস নিচ্ছেন এ ধরনের কিডনি রোগীদের ওপরে গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, যেসব রোগী ডায়ালিসিস নিয়ে রোজা রাখেননি তাঁদের তুলনায় ডায়ালিসিস নেওয়া সত্ত্বেও যাঁরা রোজা রেখেছেন, তাঁদের শরীরে ক্রিয়েটিনিন, ফসফেট, ইউরিয়া তিনটিই কমে গিয়েছে।
ঝুঁকি এড়াতে যা করবেন
♦ মুখমণ্ডল ফুলে যাওয়া
♦ হাতে-পায়ে পানি চলে আসা
♦ ক্ষুধামন্দা, বমি ভাব ও বমি হওয়া
♦ হঠাৎ প্রস্রাব খুব কমে বা বেড়ে যাওয়া
♦ প্রস্রাব লাল বা ফেনাযুক্ত হওয়া
♦ ঘুম কমে যাওয়া, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
♦ নিয়মিত ক্রিয়েটিনিন মাপা
♦ নিয়মিত ইলেকট্রলাইট মাপা
♦ ওজন হঠাৎ কমে-বেড়ে যাওয়া
♦ অতিরিক্ত দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্টের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এসব লক্ষণ দেখা দিলে রোজা বন্ধ রেখে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

(পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মো. মনিরুল ইসলাম ফাহিম রেসিডেন্ট, নেফ্রোলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল)

প্রখ/ সাদ্দাম

অনলাইন ডেস্ক

১৭ এপ্রিল, ২০২২,  4:34 AM

news image

রমজান মাসে বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগীর রোজা রাখা বা না রাখার ব্যাপারে কী পরামর্শ দেওয়া যায়Ñসেটা নিয়ে স্বাস্থ্যসেবাদানকারীদের সব সময়ই চিন্তা করতে হয়। গুরুতর অসুস্থ কিডনি রোগী ছাড়া অন্যরা কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চললে নিরাপদেই রমজান মাসে রোজা রাখা সম্ভব। বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগীর কথা উল্লেখ করা হলো। তবে সব ধরনের কিডনি রোগী রোজা রাখার আগে অবশ্যই নিজের ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
হঠাৎ কিডনি বিকল রোগী।


গবেষণায় দেখা গেছে, পরিপূর্ণ নিয়ম মেনে রমজান মাসে রোজা রাখলে সেটা বরং একিউট কিডনি ইনজুরির ঝুঁকি কমায়, বিশেষ করে যাঁদের অন্যান্য রোগÑযেমন ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে রোজা গুরুত্বপূর্ণ হারে ঝুঁকি কমায়। যদিও এ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি এবং বড় আকারে আরো গবেষণা প্রয়োজন।
কিডনিতে যাদের পাথর আছে।


এটা প্রমাণিত যে কম প্রস্রাব হওয়া এবং ডিহাইড্রেশন কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। যাঁদের কিডনিতে আগে পাথর হয়েছে অথবা যাঁরা কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিতে আছেনÑতাঁদের খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রতি ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের প্রস্রাবের পরিমাণ দুই লিটারের কম না হয়।
দীর্ঘমেয়াদি কিডনি সমস্যা।
ক্রনিক কিডনি ডিজিজের রোগীÑবিশেষ করে যাঁরা স্টেজ-৩ থেকে স্টেজ-৫ সিকেডিতে আক্রান্ত, তাঁদের রোজা রাখতে নিরুৎসাহ করা হয়।
ডায়ালিসিস রোগীর রোজা
ডায়ালিসিস নিচ্ছেন এ ধরনের কিডনি রোগীদের ওপরে গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, যেসব রোগী ডায়ালিসিস নিয়ে রোজা রাখেননি তাঁদের তুলনায় ডায়ালিসিস নেওয়া সত্ত্বেও যাঁরা রোজা রেখেছেন, তাঁদের শরীরে ক্রিয়েটিনিন, ফসফেট, ইউরিয়া তিনটিই কমে গিয়েছে।
ঝুঁকি এড়াতে যা করবেন
♦ মুখমণ্ডল ফুলে যাওয়া
♦ হাতে-পায়ে পানি চলে আসা
♦ ক্ষুধামন্দা, বমি ভাব ও বমি হওয়া
♦ হঠাৎ প্রস্রাব খুব কমে বা বেড়ে যাওয়া
♦ প্রস্রাব লাল বা ফেনাযুক্ত হওয়া
♦ ঘুম কমে যাওয়া, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
♦ নিয়মিত ক্রিয়েটিনিন মাপা
♦ নিয়মিত ইলেকট্রলাইট মাপা
♦ ওজন হঠাৎ কমে-বেড়ে যাওয়া
♦ অতিরিক্ত দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্টের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এসব লক্ষণ দেখা দিলে রোজা বন্ধ রেখে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

(পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মো. মনিরুল ইসলাম ফাহিম রেসিডেন্ট, নেফ্রোলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল)

প্রখ/ সাদ্দাম