শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

পাসপোর্ট অফিসে চেয়ারে বসায় সেবাগ্রহীতাকে মারধর

#
news image

কুমিল্লার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তার চেয়ারে বসায় সেবা নিতে আসা তিন যুবককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নুরুল হুদার বিরুদ্ধে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে দুই সংবাদকর্মীও ওই কর্মকর্তার হাতে লাঞ্চিত হন এবং তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন।

জানা যায়, ওই তিন সেবা গ্রহীতার একজন মো. সাকিব। তার বাড়ি কুমিল্লার হোমনায়। সোমবার সকালে তিনি তার পাসপোর্ট ডেলিভারি নিতে এসে কার্যালয়ের নিচতলায় অপেক্ষা করছিলেন। রোজা রেখে চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ক্লান্ত হয়ে পড়লে পাশে থাকা একটি চেয়ারে বসে পড়েন। তার সঙ্গে থাকা আরও ৩/৪ জন সেবাগ্রহীতা বসেন। এটি মূলত একজন কর্মকর্তার টেবিলের পাশের চেয়ার ছিল। এ সময় পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. নুরুল হুদা নিচে নেমে এসে প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে তাদের পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে চেয়ার ভেঙে গেলে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন।
সাকিব দাবি করেন, ‘ডিডি সাহেব চেয়ারে বসার অপরাধে আমাদের পিটিয়েছেন। আমার সঙ্গে থাকা আরও দুজন ভয়ে অফিস থেকে চলে গেছে।’

ঘটনার ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম রানা ও মো. সাফির সঙ্গেও অসদাচরণ ও লাঞ্চিত করেন এবং তাদের মোবাইল ফোন কেঁড়ে নেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সহিদুর রহমান ও পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছান। 

ওসি বলেন, ‘শুনেছি উপ-পরিচালকের সঙ্গে সেবাগ্রহীতাদের বাকবিতণ্ডা হয়েছে। আর বেশি কিছু জানি না।’  

ঘটনার তিন ঘণ্টা পর ওসি সহিদুর রহমান এবং থানার তদন্ত কর্মকর্তা কমল দের উপস্থিতিতে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোন সাংবাদিকদের ফেরত দেওয়া হয়। 

সাংবাদিক রকিবুল দাবি করেন, ‘আমার পাসপোর্টের বিষয়ে সেখানে যাই। ওই সময় দেখি পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক আমার কিছুটা সামনে ৩/৪ সেবাগ্রহীতাকে চেয়ার দিয়ে পেটাচ্ছেন। জানতে চাইলে ভুক্তভোগীরা জানান, তারা ভুল করে অফিসের কর্মকর্তাদের চেয়ারে বসেছিলেন। এ জন্য তাদেরকে পেটানো হয়। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন।’

এই বিষয়ে অভিযুক্ত উপ-পরিচালক নুরুল হুদা দাবি করেন, তিনি কাউকে মারধর করেননি। ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কারও কাছে বক্তব্য দিতে বাধ্য নই।’

 

প্র.খ/বিপ্লব

প্রভাতী খবর ডেস্ক:

১৮ এপ্রিল, ২০২২,  7:34 AM

news image
অভিযুক্ত কর্মকর্তা নূরুল হুদা। ছবি: প্রভাতী খবর

কুমিল্লার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তার চেয়ারে বসায় সেবা নিতে আসা তিন যুবককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নুরুল হুদার বিরুদ্ধে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে দুই সংবাদকর্মীও ওই কর্মকর্তার হাতে লাঞ্চিত হন এবং তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন।

জানা যায়, ওই তিন সেবা গ্রহীতার একজন মো. সাকিব। তার বাড়ি কুমিল্লার হোমনায়। সোমবার সকালে তিনি তার পাসপোর্ট ডেলিভারি নিতে এসে কার্যালয়ের নিচতলায় অপেক্ষা করছিলেন। রোজা রেখে চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ক্লান্ত হয়ে পড়লে পাশে থাকা একটি চেয়ারে বসে পড়েন। তার সঙ্গে থাকা আরও ৩/৪ জন সেবাগ্রহীতা বসেন। এটি মূলত একজন কর্মকর্তার টেবিলের পাশের চেয়ার ছিল। এ সময় পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. নুরুল হুদা নিচে নেমে এসে প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে তাদের পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে চেয়ার ভেঙে গেলে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন।
সাকিব দাবি করেন, ‘ডিডি সাহেব চেয়ারে বসার অপরাধে আমাদের পিটিয়েছেন। আমার সঙ্গে থাকা আরও দুজন ভয়ে অফিস থেকে চলে গেছে।’

ঘটনার ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম রানা ও মো. সাফির সঙ্গেও অসদাচরণ ও লাঞ্চিত করেন এবং তাদের মোবাইল ফোন কেঁড়ে নেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সহিদুর রহমান ও পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছান। 

ওসি বলেন, ‘শুনেছি উপ-পরিচালকের সঙ্গে সেবাগ্রহীতাদের বাকবিতণ্ডা হয়েছে। আর বেশি কিছু জানি না।’  

ঘটনার তিন ঘণ্টা পর ওসি সহিদুর রহমান এবং থানার তদন্ত কর্মকর্তা কমল দের উপস্থিতিতে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোন সাংবাদিকদের ফেরত দেওয়া হয়। 

সাংবাদিক রকিবুল দাবি করেন, ‘আমার পাসপোর্টের বিষয়ে সেখানে যাই। ওই সময় দেখি পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক আমার কিছুটা সামনে ৩/৪ সেবাগ্রহীতাকে চেয়ার দিয়ে পেটাচ্ছেন। জানতে চাইলে ভুক্তভোগীরা জানান, তারা ভুল করে অফিসের কর্মকর্তাদের চেয়ারে বসেছিলেন। এ জন্য তাদেরকে পেটানো হয়। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন।’

এই বিষয়ে অভিযুক্ত উপ-পরিচালক নুরুল হুদা দাবি করেন, তিনি কাউকে মারধর করেননি। ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কারও কাছে বক্তব্য দিতে বাধ্য নই।’

 

প্র.খ/বিপ্লব