শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

চাল সংগ্রহে সফল, ধানে ব্যর্থ

#
news image

জয়পুরহাটে সরকারিভাবে সাড়ে তিন মাসের অধিক সময় ধরে চলে বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান। এই সময়ে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় পূরণ হলেও সফলতা আসেনি ধান সংগ্রহে। সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধান সংগ্রহ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৬ শতাংশ।

জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার পাঁচ উপজেলায় গত ৭ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস ২৪ দিন ধরে চলে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান। এই অভিযানে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ২২৭ মেট্রিক টন। ধানের নির্ধারিত মূল্য ছিল ২৭ টাকা কেজি অর্থাৎ ১ হাজার ৮০ টাকা মণ দরে কৃষি অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে। দীর্ঘ ৩ মাস ২৪ দিনের এই সময়ে ধান কেনা হয়েছে ২ হাজার ৬১০ মেট্রিক টন। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ ধান কেনা হয়েছে।

এই মৌসুমে সিদ্ধ চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৩২৮ মেট্রিক টন। ৪০ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। সরকারের নির্ধারিত সময়ে চাল ক্রয় হয়েছে ২০ হাজার ৮৬০ মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রার ৪৬৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা যায়নি। অর্থাৎ সিদ্ধ চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে ৯৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। আর আতপ চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪৩ মেট্রিক টন। এই চালের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ পূরণ হয়েছে।

জয়পুরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ধান সংগ্রহের সময়ে জেলার হাটবাজারে ধানের দাম সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি ছিল। তাই কৃষকরা স্থানীয় বাজারে ধান বিক্রি করেছেন। কিন্তু খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করলে কৃষক ন্যায্য দাম পেতেন। তবুও বাইরের বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করেনি। এজন্য ধান সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।

তবে চুক্তিবদ্ধ এ জেলার চালকলের ৩৬৯ জন মালিকের মধ্যে চারজন বাদে সবাই চাল সরবরাহ করেছেন। এজন্য প্রায় শতভাগ চাল সংগ্রহ করা গেছে। ওই চারজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  11:47 PM

news image

জয়পুরহাটে সরকারিভাবে সাড়ে তিন মাসের অধিক সময় ধরে চলে বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান। এই সময়ে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় পূরণ হলেও সফলতা আসেনি ধান সংগ্রহে। সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধান সংগ্রহ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৬ শতাংশ।

জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার পাঁচ উপজেলায় গত ৭ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস ২৪ দিন ধরে চলে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান। এই অভিযানে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ২২৭ মেট্রিক টন। ধানের নির্ধারিত মূল্য ছিল ২৭ টাকা কেজি অর্থাৎ ১ হাজার ৮০ টাকা মণ দরে কৃষি অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে। দীর্ঘ ৩ মাস ২৪ দিনের এই সময়ে ধান কেনা হয়েছে ২ হাজার ৬১০ মেট্রিক টন। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ ধান কেনা হয়েছে।

এই মৌসুমে সিদ্ধ চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৩২৮ মেট্রিক টন। ৪০ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। সরকারের নির্ধারিত সময়ে চাল ক্রয় হয়েছে ২০ হাজার ৮৬০ মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রার ৪৬৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা যায়নি। অর্থাৎ সিদ্ধ চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে ৯৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। আর আতপ চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪৩ মেট্রিক টন। এই চালের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ পূরণ হয়েছে।

জয়পুরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ধান সংগ্রহের সময়ে জেলার হাটবাজারে ধানের দাম সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি ছিল। তাই কৃষকরা স্থানীয় বাজারে ধান বিক্রি করেছেন। কিন্তু খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করলে কৃষক ন্যায্য দাম পেতেন। তবুও বাইরের বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করেনি। এজন্য ধান সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।

তবে চুক্তিবদ্ধ এ জেলার চালকলের ৩৬৯ জন মালিকের মধ্যে চারজন বাদে সবাই চাল সরবরাহ করেছেন। এজন্য প্রায় শতভাগ চাল সংগ্রহ করা গেছে। ওই চারজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।