নাফনদ সাঁতরে মিয়ানমারের ১৯ মহিষ এলো বাংলাদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 12:22 AM

নাফনদ সাঁতরে মিয়ানমারের ১৯ মহিষ এলো বাংলাদেশে
মিয়ানমার থেকে নাফনদ সাঁতরে মহিষের একটি পাল কক্সবাজারের টেকনাফে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এ সময় ১৯টি মহিষকে উদ্ধার করে রোববার সকালে টেকনাফের হ্নীলার জাদিমুরা সীমান্ত দিয়ে আসা মহিষগুলো কাস্টমকে হস্তান্তর করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করে বনবিভাগ কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি মিয়ানমারে চলমান অস্তিরতার কারণে পাহাড়ি ঢলের পাশাপাশি দলছুট হয়ে মহিষগুলো সাঁতরে নাফ নদীর এপারে বাংলাদেশ অংশে আসতে পারে।
এই বিষয়ে টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, মিয়ানমার থেকে প্রবেশকালে ১৯টি মহিষ পাওয়া গেছে। এসব মহিষের কোনও মালিক পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি মহিষগুলো মিয়ানমার থেকে নাফ নদ সাঁতরে এপারে বাংলাদেশে চলে এসেছে। পরে মহিষগুলো টেকনাফ শুল্ক গুদামে হন্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ বনবিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ জানিয়েছেন, রোববার সকালে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাট সংলগ্ন প্যারাবনে একটি মহিষের পাল (১৯টি মহিষ) আশ্রয় নেয়। এর আগে গত সোমবার বিকালে টেকনাফ সদরের জালিয়াপাড়া সংলগ্ন পয়েন্টে দুটি হাতি নাফ নদী সাঁতরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছিল।
আশিক আহমেদ বলেন, সকালে মিয়ানমার থেকে সাঁতরে বড় আকারের মহিষের পাল এপারে প্যারাবনে আশ্রয় নেয়। পরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে বনবিভাগের একদল কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় মহিষগুলো প্যারাবনে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।
রেঞ্জ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সম্প্রতি মিয়ানমারে চলমান অস্তিরতার কারণে পাহাড়ি ঢলের পাশাপাশি দলছুট হয়ে মহিষগুলো সাঁতরে নাফ নদীর এপারে আসতে পারে।’
সাবরাং ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ফজলুল হক বলেন, মিয়ানমার থেকে মহিষের পাল নদী সাঁতরে আসতে দেখে শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করে। “শনিবার দিবাগত রাত অবধি মহিষের পালটিকে বিজিবির শাহপরীরদ্বীপ বিওপি সংলগ্ন নাফ নদীর পানিতে অবস্থান করতে দেখা গেছে।”
টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরী বলেন, এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর নাফনদী সাঁতরে মিয়ানমার থেকে দুইটি হাতি বাংলাদেশে এসেছিল। এবার নাফনদ সাঁতরে মহিষের একটি পাল কক্সবাজারের টেকনাফে প্রবেশ করে। এ মহিষের পালে ১৯টি মিয়ানমারের মহিষ ছিল। পরে সীমান্ত দিয়ে আসা মহিষগুলোকে বিজিবি’র সহায়তায় কাস্টমে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 12:22 AM

মিয়ানমার থেকে নাফনদ সাঁতরে মহিষের একটি পাল কক্সবাজারের টেকনাফে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এ সময় ১৯টি মহিষকে উদ্ধার করে রোববার সকালে টেকনাফের হ্নীলার জাদিমুরা সীমান্ত দিয়ে আসা মহিষগুলো কাস্টমকে হস্তান্তর করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করে বনবিভাগ কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি মিয়ানমারে চলমান অস্তিরতার কারণে পাহাড়ি ঢলের পাশাপাশি দলছুট হয়ে মহিষগুলো সাঁতরে নাফ নদীর এপারে বাংলাদেশ অংশে আসতে পারে।
এই বিষয়ে টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, মিয়ানমার থেকে প্রবেশকালে ১৯টি মহিষ পাওয়া গেছে। এসব মহিষের কোনও মালিক পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি মহিষগুলো মিয়ানমার থেকে নাফ নদ সাঁতরে এপারে বাংলাদেশে চলে এসেছে। পরে মহিষগুলো টেকনাফ শুল্ক গুদামে হন্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ বনবিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ জানিয়েছেন, রোববার সকালে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাট সংলগ্ন প্যারাবনে একটি মহিষের পাল (১৯টি মহিষ) আশ্রয় নেয়। এর আগে গত সোমবার বিকালে টেকনাফ সদরের জালিয়াপাড়া সংলগ্ন পয়েন্টে দুটি হাতি নাফ নদী সাঁতরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছিল।
আশিক আহমেদ বলেন, সকালে মিয়ানমার থেকে সাঁতরে বড় আকারের মহিষের পাল এপারে প্যারাবনে আশ্রয় নেয়। পরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে বনবিভাগের একদল কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় মহিষগুলো প্যারাবনে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।
রেঞ্জ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সম্প্রতি মিয়ানমারে চলমান অস্তিরতার কারণে পাহাড়ি ঢলের পাশাপাশি দলছুট হয়ে মহিষগুলো সাঁতরে নাফ নদীর এপারে আসতে পারে।’
সাবরাং ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ফজলুল হক বলেন, মিয়ানমার থেকে মহিষের পাল নদী সাঁতরে আসতে দেখে শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করে। “শনিবার দিবাগত রাত অবধি মহিষের পালটিকে বিজিবির শাহপরীরদ্বীপ বিওপি সংলগ্ন নাফ নদীর পানিতে অবস্থান করতে দেখা গেছে।”
টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরী বলেন, এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর নাফনদী সাঁতরে মিয়ানমার থেকে দুইটি হাতি বাংলাদেশে এসেছিল। এবার নাফনদ সাঁতরে মহিষের একটি পাল কক্সবাজারের টেকনাফে প্রবেশ করে। এ মহিষের পালে ১৯টি মিয়ানমারের মহিষ ছিল। পরে সীমান্ত দিয়ে আসা মহিষগুলোকে বিজিবি’র সহায়তায় কাস্টমে হস্তান্তর করা হয়েছে।