কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা: প্ররোচনাকারী সুজনের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 9:09 PM

কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা: প্ররোচনাকারী সুজনের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ায় সুইসাইট নোট লিখে কলেজ ছাত্রী তানিয়া আক্তার (১৮) আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনাকারী সুজন মিয়ার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন করেছে মির্জাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও তানিয়ার পরিবারের লোকজন।
বুধবার বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাসের অদুরে বাওযার কুমারজানী নামক স্থানে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এই মানবন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। মানবন্ধনে কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং তানিয়ার পরিবারের লোকজন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে যোগ দেয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ, প্রভাষক মো.আমিনুল ইসলাম, কলেজ ছাত্রী তানিয়ার বাবা মো. হারুন মিয়া এবং তানিয়ার সহপাটী তাছলিমা জাহান ও অপর্ণা ইসলাম।
বক্তারা বলেন, তানিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী সুজন মিয়ার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর কোন তানিয়া যেন এভাবে অকালে ঝড়ে না যায় সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানানো হয়।
তানিয়া উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের সিংজুড়ি গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে। সে মির্জাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী বলে জানা গেছে।
উল্লেখ, উপজেলার বুড়িহাটী গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে সুজন মিয়ার প্রেমের ফাদে ফেলে তানিয়ার সাথে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। নোংরা মনের সুজন সুজোগ বুঝে তানিয়ার নগ্ন ভিডিও গোপনে মোবাইলে ধারণ করে। ওই ভিডিও দিয়ে জিম্মি করে তানিয়ার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সুজন মিয়া। এরপরও চাহিদামত টাকা দিতে না পারায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরও করে তানিয়কে। একপর্যায তানিয়ার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয় সুজন মিয়া। এতে তানিয়া মানুষিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। ২১সেপ্টেম্বর বিকেলে তানিয়া একটি সুইসাইট নোট লিখে তার বসত ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তানিয়ার আত্মহত্যার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সুজন মিয়া গাঢাকা দেয়।
ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার তানিয়ার বাবা হারুন মিয়া বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুজন মিয়াকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে তানিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী সুজন মিয়া মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর ) টাঙ্গাইল আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠান।
মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু সাইদ বলেন, কলেজ ছাত্রী তানিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী সুজন মিয়া আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। সুজন মিয়াকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি জানা।
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 9:09 PM

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ায় সুইসাইট নোট লিখে কলেজ ছাত্রী তানিয়া আক্তার (১৮) আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনাকারী সুজন মিয়ার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন করেছে মির্জাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও তানিয়ার পরিবারের লোকজন।
বুধবার বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাসের অদুরে বাওযার কুমারজানী নামক স্থানে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এই মানবন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। মানবন্ধনে কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং তানিয়ার পরিবারের লোকজন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে যোগ দেয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ, প্রভাষক মো.আমিনুল ইসলাম, কলেজ ছাত্রী তানিয়ার বাবা মো. হারুন মিয়া এবং তানিয়ার সহপাটী তাছলিমা জাহান ও অপর্ণা ইসলাম।
বক্তারা বলেন, তানিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী সুজন মিয়ার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর কোন তানিয়া যেন এভাবে অকালে ঝড়ে না যায় সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানানো হয়।
তানিয়া উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের সিংজুড়ি গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে। সে মির্জাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী বলে জানা গেছে।
উল্লেখ, উপজেলার বুড়িহাটী গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে সুজন মিয়ার প্রেমের ফাদে ফেলে তানিয়ার সাথে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। নোংরা মনের সুজন সুজোগ বুঝে তানিয়ার নগ্ন ভিডিও গোপনে মোবাইলে ধারণ করে। ওই ভিডিও দিয়ে জিম্মি করে তানিয়ার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সুজন মিয়া। এরপরও চাহিদামত টাকা দিতে না পারায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরও করে তানিয়কে। একপর্যায তানিয়ার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয় সুজন মিয়া। এতে তানিয়া মানুষিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। ২১সেপ্টেম্বর বিকেলে তানিয়া একটি সুইসাইট নোট লিখে তার বসত ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তানিয়ার আত্মহত্যার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সুজন মিয়া গাঢাকা দেয়।
ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার তানিয়ার বাবা হারুন মিয়া বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুজন মিয়াকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে তানিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী সুজন মিয়া মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর ) টাঙ্গাইল আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠান।
মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু সাইদ বলেন, কলেজ ছাত্রী তানিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী সুজন মিয়া আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। সুজন মিয়াকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি জানা।