শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ির আঙ্গিনায় পুষ্টি বাগান, মিটছে চাহিদা হচ্ছে বাড়তি আয়

#
news image

পুষ্টির চাহিদা মিটাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগানের সংখ্যা। 
জানাগেছে,চলতি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় নতুন করে ১হাজার ৬শ’৬০টি বাগান স্থাপিত হয়েছে। বাড়ির আঙ্গিনায় দেড় শতক জায়গা রয়েছে এমন প্রান্তিক কৃষককে প্রকল্পের আওতায় এনে এই বাগান স্থাপন করা হয়। 
পুষ্টি বাগানে হরেক রকমের গ্রীম্মকালীন ও শীতকালীন সময়ে সবজি চাষ করা হয়। যা দিয়ে একটি পরিবারের এক বছরের পুষ্টির চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি বাড়িত আয়ও হচ্ছে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় প্রথম পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এই সময়  জেলায় ৩হাজার ৪০টি পুষ্টি বাগান স্থাপিত হলেও ২০২১-২০২২ অর্থবছরে নতুন আরো ১হাজার ৬শ’৬০টি বাগান স্থাপিত হয়েছে। বাগান স্থাপনে পর্যাপ্ত সহায়তা  দেয়ার পাশাপাশি  জেলায় ১০ সহ¯্রাধিক বাগান স্থাপনের পরিকল্পনার কথা রয়েছে। 
কৃষকরা জানিয়েছেন, এসব বাগানে মওসুম ভেদে উৎপাদিত হচ্ছে বিভিন্ন রকমের সবজি। উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে রয়েছে  ঢেঁড়শ, বেগুন, লাউ, লালশাক, পুঁইশাক, কলমি শাক, পালংশাক, ডাটাশাক ছাড়াও শীতকালীন বিভিন্ন সবজি। এরমধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাঁজর, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। 
কৃষক  হেবজু ভূইঁয়া বলেন, পুষ্টি বাগান করতে বাঁশ,  বেত,  বেড়া, সার ও বীজ দিয়ে কৃষি বিভাগ আমাদের সহায়তা করছে। বাড়ির পাশে খালি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চারা লাগিয়ে তা চাষ করছি। এতে সারাবছর সবজির চাহিদা মিটছে।
নারী কৃষক আম্বিয়া  বেগম বলেন, আমার পরিবারে পাঁচজন সদস্য রয়েছে। সকলে মিলে বাড়ির আঙ্গিনায় লাউ,  ঢেড়শ, টমেটো, ঝিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। এতে আমাদের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটছে।
বিজয়নগর উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা  মো. হাদিউল ইসলাম বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক যাদের  দেড়শতক পতিত জমি রয়েছে তাদেরকেই এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে বাগানগুলো পরিদর্শন করে কৃষি বিভাগ  থেকে সহায়তা করছি।
এ ব্যাপারে  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, বাগান স্থাপনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া  গেছে। সারাবছর যাতে একজন কৃষক সবজি উৎপাদন করতে পারে  সেজন্য সার, বীজ ও  বেড়াসহ সার্বিক সহায়তা  দেয়া হচ্ছে। আগামী দুই বছরের মধ্যেই ১০ হাজার বাগান স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ অক্টোবর, ২০২২,  8:49 PM

news image

পুষ্টির চাহিদা মিটাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগানের সংখ্যা। 
জানাগেছে,চলতি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় নতুন করে ১হাজার ৬শ’৬০টি বাগান স্থাপিত হয়েছে। বাড়ির আঙ্গিনায় দেড় শতক জায়গা রয়েছে এমন প্রান্তিক কৃষককে প্রকল্পের আওতায় এনে এই বাগান স্থাপন করা হয়। 
পুষ্টি বাগানে হরেক রকমের গ্রীম্মকালীন ও শীতকালীন সময়ে সবজি চাষ করা হয়। যা দিয়ে একটি পরিবারের এক বছরের পুষ্টির চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি বাড়িত আয়ও হচ্ছে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় প্রথম পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এই সময়  জেলায় ৩হাজার ৪০টি পুষ্টি বাগান স্থাপিত হলেও ২০২১-২০২২ অর্থবছরে নতুন আরো ১হাজার ৬শ’৬০টি বাগান স্থাপিত হয়েছে। বাগান স্থাপনে পর্যাপ্ত সহায়তা  দেয়ার পাশাপাশি  জেলায় ১০ সহ¯্রাধিক বাগান স্থাপনের পরিকল্পনার কথা রয়েছে। 
কৃষকরা জানিয়েছেন, এসব বাগানে মওসুম ভেদে উৎপাদিত হচ্ছে বিভিন্ন রকমের সবজি। উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে রয়েছে  ঢেঁড়শ, বেগুন, লাউ, লালশাক, পুঁইশাক, কলমি শাক, পালংশাক, ডাটাশাক ছাড়াও শীতকালীন বিভিন্ন সবজি। এরমধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাঁজর, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। 
কৃষক  হেবজু ভূইঁয়া বলেন, পুষ্টি বাগান করতে বাঁশ,  বেত,  বেড়া, সার ও বীজ দিয়ে কৃষি বিভাগ আমাদের সহায়তা করছে। বাড়ির পাশে খালি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চারা লাগিয়ে তা চাষ করছি। এতে সারাবছর সবজির চাহিদা মিটছে।
নারী কৃষক আম্বিয়া  বেগম বলেন, আমার পরিবারে পাঁচজন সদস্য রয়েছে। সকলে মিলে বাড়ির আঙ্গিনায় লাউ,  ঢেড়শ, টমেটো, ঝিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। এতে আমাদের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটছে।
বিজয়নগর উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা  মো. হাদিউল ইসলাম বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক যাদের  দেড়শতক পতিত জমি রয়েছে তাদেরকেই এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে বাগানগুলো পরিদর্শন করে কৃষি বিভাগ  থেকে সহায়তা করছি।
এ ব্যাপারে  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, বাগান স্থাপনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া  গেছে। সারাবছর যাতে একজন কৃষক সবজি উৎপাদন করতে পারে  সেজন্য সার, বীজ ও  বেড়াসহ সার্বিক সহায়তা  দেয়া হচ্ছে। আগামী দুই বছরের মধ্যেই ১০ হাজার বাগান স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।