কন্যা শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত হোক

প্রকাশ ঘোষ বিধান
০১ অক্টোবর, ২০২২, 10:48 PM

কন্যা শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত হোক
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সারাদেশে পালিত হয়েছে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস। আর আন্তর্জাতিক ভাবে পালন করা হয় ১১ অক্টোবর। তবে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন দিনে দিবসটি পালন করে থাকে। দেশে অনেকেই সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ রোববার দিনটি কন্যাশিশু দিবস বলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়। বাংলাদেশে ২০১৩ সাল থেকে বছরের এই দিন জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালন করা হচ্ছে। একটি দিন শুধু কন্যা শিশুদের জন্য উৎসর্গ করা। অনেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলোতে স্ট্যাটাস দিয়েই কন্যাশিশু দিবস পালন করছেন। দেশে বিভিন্ন আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। বিভিন্ন আনুষ্ঠানে কন্যা শিশুদের প্রতি বৈষম্য দেখানো চলবে না, তাদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করার আহ্বান থাকবে।
কানাডা প্রথম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালনের প্রস্তাব দেয়। পরে ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়। প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল বাল্য বিবাহ বন্ধ করা। পৃথিবীজুড়ে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে এ দিবসটি পালন করা।
এই দিবসকে মেয়েদের দিনও বলা হয়। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র সমূহ হল শিক্ষার অধিকার, পরিপুষ্টি, আইনি সহায়তা ও ন্যায্য অধিকার, চিকিৎসা সুবিধা, ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, নারীর বিরুদ্ধে হিংসা ও বলপূর্বক তথা বাল্যবিবাহ।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল নামের বেসরকারী অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতাতে একটি প্রকল্প রূপে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের জন্ম হয়েছিল। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল "কারণ আমি একজন মেয়ে"(Because I Am a Girl) নামক আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে এই দিবসর ধারণা জাগ্রত হয়েছিল। এই আন্দোলনের মূল কার্যসূচী হল গোটা বিশ্বজুড়ে কন্যার পরিপুষ্টি সম্পর্কে জন সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই সংস্থার কানাডার কর্মচারীরা সকলে এই আন্দোলনকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করতে কানাডা সরকারের সহায়তা নেয়।
পরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার মধ্যে কানাডায় আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উদযাপনের প্রস্তাব শুরু হয়। ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তারিখে এই প্রস্তাব রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় গৃহীত হয় ও ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়। প্রতি বছর এর একটা থিম বা প্রতিপাদ্য থাকে। প্রথম কন্যাশিশু দিবসর থিম ছিল "বাল্য বিবাহ বন্ধ করা"। দ্বিতীয়বার, ২০১৩ সালে থিম ছিল "মেয়েদের শিক্ষা ক্ষেত্র অভিনব করে তোলা"। তৃতীয় ও চতুর্থ বারের থিম ছিল, "কৈশোরকে ক্ষমতা সম্পন্ন করা ও হিংসা চক্র বন্ধ করা" ও "কৈশোর কন্যার ক্ষমতা: ২০৩০ র পথ-প্রদর্শক"।
সারাবিশ্বেই নানা কারণে কন্যা শিশুরা বেশ অবহেলিত। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মর্যাদা, ভালোবাসা সব দিক থেকেই বলতে গেলে তারা বঞ্চিত। শুধু যে আমাদের দেশের চিত্র এমন তা কিন্তু নয়। সারাবিশ্বেই কোনো না কোনো জায়গায় প্রতি মুহূর্তে অবহেলার শিকার হচ্ছে কন্যা শিশু। পরিবার ছাড়াও সামাজিকভাবেও তারা হচ্ছে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত। সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্র সহ সমস্ত স্থানে নারী পুরুষের ভেদাভেদ দূরীকরণ হলো কন্যাশিশু দিবস অন্যতম উদ্দেশ্য। গৃহ পরিবেশে একজন পুত্র সন্তানকে যেভাবে গুরুত্ব সহকারে আদর-যত্নে লালন-পালন, শিক্ষার প্রতি যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেভাবেই একজন কন্যা শিশুর মানসিক নিপীড়নের হাত থেকে মুক্ত করাই হল কন্যাশিশু দিবসের অন্যতম উদ্দেশ্য।
২০১১ সালে জাতিসংঘ কন্যাশিশু দিবসের ঘোষণা দেওয়ার পর ২০১২ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৭৪ সালে প্রথম শিশু আইন প্রণয়ন করেন। এর ১৫ বছর পরে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের ঘোষণা দেয়। এর পরের বছর বাংলাদেশ সেই সনদে সই করে। কন্যা শিশুদের শিক্ষার অধিকার, পরিপুষ্টি, আইনি সহায়তা ও ন্যায় অধিকার, চিকিৎসা সুবিধা ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, নারীর বিরুদ্ধে হিংসা ও বলপূর্বক বাল্যবিবাহ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে এ দিবসের সূচনা হয়।।
বিশ্বজুড়ে নারী ও কন্যা শিশুদের প্রতি অব্যাহত সহিংসতা ও নৃশংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু, যাদের বয়স আঠারো বছরের কম। আর শিশুদের মধ্যে ৪৮শতাংশ কন্য শিশু য়াদের পিছনে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কন্যা- জায়া- জননীর বাইরেও কন্যাশিশুর বৃহৎ জগত রয়েছে। স্বাধীনভাবে নিজের মতামত ব্যক্ত করা ছাড়াও পরিবার, সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রকৃত ক্ষমতায়ন করা সম্ভব। এজন্য কন্যাশিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তাসহ বেড়ে ওঠার সব অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
কন্যা শিশু সুরক্ষা পেলে সব বৈষম্য দূর হবে। কন্যা শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য অর্জন করেছে। বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে নেওয়া হয়েছে কঠোর আইন। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। অভিভাবকদের সবচেয়ে বেশী সোচ্চার হতে হবে কন্যা শিশুদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। কন্যা শিশুর অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে পুরুষের অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।
লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট
প্রকাশ ঘোষ বিধান
০১ অক্টোবর, ২০২২, 10:48 PM

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সারাদেশে পালিত হয়েছে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস। আর আন্তর্জাতিক ভাবে পালন করা হয় ১১ অক্টোবর। তবে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন দিনে দিবসটি পালন করে থাকে। দেশে অনেকেই সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ রোববার দিনটি কন্যাশিশু দিবস বলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়। বাংলাদেশে ২০১৩ সাল থেকে বছরের এই দিন জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালন করা হচ্ছে। একটি দিন শুধু কন্যা শিশুদের জন্য উৎসর্গ করা। অনেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলোতে স্ট্যাটাস দিয়েই কন্যাশিশু দিবস পালন করছেন। দেশে বিভিন্ন আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। বিভিন্ন আনুষ্ঠানে কন্যা শিশুদের প্রতি বৈষম্য দেখানো চলবে না, তাদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করার আহ্বান থাকবে।
কানাডা প্রথম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালনের প্রস্তাব দেয়। পরে ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়। প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল বাল্য বিবাহ বন্ধ করা। পৃথিবীজুড়ে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে এ দিবসটি পালন করা।
এই দিবসকে মেয়েদের দিনও বলা হয়। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র সমূহ হল শিক্ষার অধিকার, পরিপুষ্টি, আইনি সহায়তা ও ন্যায্য অধিকার, চিকিৎসা সুবিধা, ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, নারীর বিরুদ্ধে হিংসা ও বলপূর্বক তথা বাল্যবিবাহ।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল নামের বেসরকারী অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতাতে একটি প্রকল্প রূপে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের জন্ম হয়েছিল। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল "কারণ আমি একজন মেয়ে"(Because I Am a Girl) নামক আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে এই দিবসর ধারণা জাগ্রত হয়েছিল। এই আন্দোলনের মূল কার্যসূচী হল গোটা বিশ্বজুড়ে কন্যার পরিপুষ্টি সম্পর্কে জন সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই সংস্থার কানাডার কর্মচারীরা সকলে এই আন্দোলনকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করতে কানাডা সরকারের সহায়তা নেয়।
পরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার মধ্যে কানাডায় আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উদযাপনের প্রস্তাব শুরু হয়। ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তারিখে এই প্রস্তাব রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় গৃহীত হয় ও ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়। প্রতি বছর এর একটা থিম বা প্রতিপাদ্য থাকে। প্রথম কন্যাশিশু দিবসর থিম ছিল "বাল্য বিবাহ বন্ধ করা"। দ্বিতীয়বার, ২০১৩ সালে থিম ছিল "মেয়েদের শিক্ষা ক্ষেত্র অভিনব করে তোলা"। তৃতীয় ও চতুর্থ বারের থিম ছিল, "কৈশোরকে ক্ষমতা সম্পন্ন করা ও হিংসা চক্র বন্ধ করা" ও "কৈশোর কন্যার ক্ষমতা: ২০৩০ র পথ-প্রদর্শক"।
সারাবিশ্বেই নানা কারণে কন্যা শিশুরা বেশ অবহেলিত। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মর্যাদা, ভালোবাসা সব দিক থেকেই বলতে গেলে তারা বঞ্চিত। শুধু যে আমাদের দেশের চিত্র এমন তা কিন্তু নয়। সারাবিশ্বেই কোনো না কোনো জায়গায় প্রতি মুহূর্তে অবহেলার শিকার হচ্ছে কন্যা শিশু। পরিবার ছাড়াও সামাজিকভাবেও তারা হচ্ছে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত। সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্র সহ সমস্ত স্থানে নারী পুরুষের ভেদাভেদ দূরীকরণ হলো কন্যাশিশু দিবস অন্যতম উদ্দেশ্য। গৃহ পরিবেশে একজন পুত্র সন্তানকে যেভাবে গুরুত্ব সহকারে আদর-যত্নে লালন-পালন, শিক্ষার প্রতি যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেভাবেই একজন কন্যা শিশুর মানসিক নিপীড়নের হাত থেকে মুক্ত করাই হল কন্যাশিশু দিবসের অন্যতম উদ্দেশ্য।
২০১১ সালে জাতিসংঘ কন্যাশিশু দিবসের ঘোষণা দেওয়ার পর ২০১২ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৭৪ সালে প্রথম শিশু আইন প্রণয়ন করেন। এর ১৫ বছর পরে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের ঘোষণা দেয়। এর পরের বছর বাংলাদেশ সেই সনদে সই করে। কন্যা শিশুদের শিক্ষার অধিকার, পরিপুষ্টি, আইনি সহায়তা ও ন্যায় অধিকার, চিকিৎসা সুবিধা ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, নারীর বিরুদ্ধে হিংসা ও বলপূর্বক বাল্যবিবাহ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে এ দিবসের সূচনা হয়।।
বিশ্বজুড়ে নারী ও কন্যা শিশুদের প্রতি অব্যাহত সহিংসতা ও নৃশংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু, যাদের বয়স আঠারো বছরের কম। আর শিশুদের মধ্যে ৪৮শতাংশ কন্য শিশু য়াদের পিছনে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কন্যা- জায়া- জননীর বাইরেও কন্যাশিশুর বৃহৎ জগত রয়েছে। স্বাধীনভাবে নিজের মতামত ব্যক্ত করা ছাড়াও পরিবার, সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রকৃত ক্ষমতায়ন করা সম্ভব। এজন্য কন্যাশিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তাসহ বেড়ে ওঠার সব অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
কন্যা শিশু সুরক্ষা পেলে সব বৈষম্য দূর হবে। কন্যা শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য অর্জন করেছে। বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে নেওয়া হয়েছে কঠোর আইন। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। অভিভাবকদের সবচেয়ে বেশী সোচ্চার হতে হবে কন্যা শিশুদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। কন্যা শিশুর অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে পুরুষের অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।
লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট