অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ- অধুনা বাঙলাসাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জাগরণের আধারস্বরূপ

প্রভাতী খবর ডেস্ক:
২৫ এপ্রিল, ২০২২, 11:38 PM

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ- অধুনা বাঙলাসাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জাগরণের আধারস্বরূপ
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ- অধুনা বাঙলাসাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জাগরণের আধারস্বরূপ, আমৃত্যু জ্ঞানাণ্বেষু একজন সিদ্ধপুরুষ, যিনি ছিলেন সাম্প্রতিক সময়ে বাঙালী প্রজন্মের আঁধারপথের আলোকবর্তীকা। বাঙলাসাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার পাশাপাশি ’বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র’ নামে গড়া প্রতিষ্ঠান অকাতরে বিলিয়ে যাচ্ছে জ্ঞান।
১৯৩৯ সালের ২৫ জুলাই কলকাতার পার্ক সার্কাসে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কামারগতি গ্রামে।
১৯৫৫ সালে পাবনা জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক, ১৯৫৭ সালে বাগেরহাটের প্রফুল্লচন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক, ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক এবং ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি গ্রহণ করেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেসব পুরস্কার লাভ করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার (২০০৪), একুশে পদক (২০০৫) এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০১২)। অধ্যাপক সায়ীদ বাংলা একাডেমি এবং একুশে পদকেও ভূষিত হন।
সত্তরের দশকে একজন টিভি উপস্থাপক হিসেবে অধ্যাপক সায়ীদ হিসেবে কাজ করেন। তাঁর কথা বলার ধরন ছিল আকর্ষণীয়। একজন চমৎকার বক্তা হিসেবে তিনি সেই ১৯৭০ থেকেই পরিচিত। তিনি নিজে আলোকিত মানুষ, আলোকিত মানুষ তৈরির কাজেও নিরলস সংগ্রাম করে গেছেন আমৃত্যু। এখানেই তিনি অনন্য। মানুষ হিসেবে একটি জীবন যা দিতে পারে- সেই উদাহরণ বুঝি তাঁর জীবনধারা থেকেই শিখে নেয়া যায়।
অধ্যাপক আবু সায়ীদ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন না, ছিলেন না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও। তিনি সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। কিন্তু তার জায়গাটি সাধারণ নয়। তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সংকল্প- তাঁর জীবনধারাটিই যেন তার সাক্ষী। নিজের প্রতিষ্ঠা করা বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র কত বড়, কতটা ব্যাপৃত তা বোঝার জন্য তার কর্মশালাটি যুগে যুগে টিকে থাকা প্রয়োজন।
রবীন্দ্রনাথের বিশ্ব ভারতী আজ সবাইকে মনে করিয়ে দেয় মানুষের জন্য, শিক্ষার জন্য, সংস্কৃতির জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান কতটুকু ছিল। অধ্যাপক আবু সায়ীদের বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র কালক্রমে বাঙালিকে মনে করিয়ে দেবে একজন মানুষ থেকে একজন আলোকিত মানুষ হওয়ার পথপরিক্রমায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রভাব কতটা ছিল।
প্র.খ/বিপ্লব
প্রভাতী খবর ডেস্ক:
২৫ এপ্রিল, ২০২২, 11:38 PM

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ- অধুনা বাঙলাসাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জাগরণের আধারস্বরূপ, আমৃত্যু জ্ঞানাণ্বেষু একজন সিদ্ধপুরুষ, যিনি ছিলেন সাম্প্রতিক সময়ে বাঙালী প্রজন্মের আঁধারপথের আলোকবর্তীকা। বাঙলাসাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার পাশাপাশি ’বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র’ নামে গড়া প্রতিষ্ঠান অকাতরে বিলিয়ে যাচ্ছে জ্ঞান।
১৯৩৯ সালের ২৫ জুলাই কলকাতার পার্ক সার্কাসে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কামারগতি গ্রামে।
১৯৫৫ সালে পাবনা জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক, ১৯৫৭ সালে বাগেরহাটের প্রফুল্লচন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক, ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক এবং ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি গ্রহণ করেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেসব পুরস্কার লাভ করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার (২০০৪), একুশে পদক (২০০৫) এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০১২)। অধ্যাপক সায়ীদ বাংলা একাডেমি এবং একুশে পদকেও ভূষিত হন।
সত্তরের দশকে একজন টিভি উপস্থাপক হিসেবে অধ্যাপক সায়ীদ হিসেবে কাজ করেন। তাঁর কথা বলার ধরন ছিল আকর্ষণীয়। একজন চমৎকার বক্তা হিসেবে তিনি সেই ১৯৭০ থেকেই পরিচিত। তিনি নিজে আলোকিত মানুষ, আলোকিত মানুষ তৈরির কাজেও নিরলস সংগ্রাম করে গেছেন আমৃত্যু। এখানেই তিনি অনন্য। মানুষ হিসেবে একটি জীবন যা দিতে পারে- সেই উদাহরণ বুঝি তাঁর জীবনধারা থেকেই শিখে নেয়া যায়।
অধ্যাপক আবু সায়ীদ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন না, ছিলেন না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও। তিনি সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। কিন্তু তার জায়গাটি সাধারণ নয়। তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সংকল্প- তাঁর জীবনধারাটিই যেন তার সাক্ষী। নিজের প্রতিষ্ঠা করা বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র কত বড়, কতটা ব্যাপৃত তা বোঝার জন্য তার কর্মশালাটি যুগে যুগে টিকে থাকা প্রয়োজন।
রবীন্দ্রনাথের বিশ্ব ভারতী আজ সবাইকে মনে করিয়ে দেয় মানুষের জন্য, শিক্ষার জন্য, সংস্কৃতির জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান কতটুকু ছিল। অধ্যাপক আবু সায়ীদের বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র কালক্রমে বাঙালিকে মনে করিয়ে দেবে একজন মানুষ থেকে একজন আলোকিত মানুষ হওয়ার পথপরিক্রমায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রভাব কতটা ছিল।
প্র.খ/বিপ্লব