যমুনায় অসময়ে বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে ফসল

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ অক্টোবর, ২০২২, 11:28 PM

যমুনায় অসময়ে বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে ফসল
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে হঠাৎ করেই পানি বেড়েছে। এতে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের বিভিন্ন ধরনের ফসল ও ফসলী জমি। পানিতে চরাঞ্চলে রোপণ করা ভুট্টা, বাদাম, কালাই ও ধানের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (১৫ অক্টোবর) যমুনা নদীতে আগের দিনের চেয়ে ২২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে এখনও পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জানা গেছে, উপজেলার গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়নে চরাঞ্চলে কৃষকরা জেগে উঠা চরে বাদাম, কালাই, ভুট্টা ও গাইঞ্জা জাতের ধান রোপণ করে। এতে ফসল ভাল হলেও বিপত্তি বাঁধিয়েছে অসময়ে যমুনার পানি বৃদ্ধি।
উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কুকাদাইর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে ১২ বিঘা জমিতে বাদামসহ বিভিন্ন ফসল রোপণ করেছিলাম। গতবছরের তুলনায় এবার ভাল আবাদও হয়েছিলো। কিন্তু হঠাৎই পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লাম। কৃষক হুরমুজ প্রামাণিক ও রহিজ উদ্দিন জানান, এই সময়ে নদীতে পানি বাড়বে সেটা কল্পনাও করিনি। পানি বাড়ার সম্ভাবনা থাকলে ফসল রোপণ করতাম না। এখনও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে ফসল তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে। বাধ্য হয়েই অনেক ফসলের চারা কেটে গরু দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. হুয়ামূন কবীর জানান, অসময়ে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনও পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে চরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি গ্রামের ফসলী জমি ও ফসল তলিয়ে গেছে। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সরেজমিন পরিদর্শন করিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ অক্টোবর, ২০২২, 11:28 PM

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে হঠাৎ করেই পানি বেড়েছে। এতে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের বিভিন্ন ধরনের ফসল ও ফসলী জমি। পানিতে চরাঞ্চলে রোপণ করা ভুট্টা, বাদাম, কালাই ও ধানের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (১৫ অক্টোবর) যমুনা নদীতে আগের দিনের চেয়ে ২২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে এখনও পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জানা গেছে, উপজেলার গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়নে চরাঞ্চলে কৃষকরা জেগে উঠা চরে বাদাম, কালাই, ভুট্টা ও গাইঞ্জা জাতের ধান রোপণ করে। এতে ফসল ভাল হলেও বিপত্তি বাঁধিয়েছে অসময়ে যমুনার পানি বৃদ্ধি।
উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কুকাদাইর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে ১২ বিঘা জমিতে বাদামসহ বিভিন্ন ফসল রোপণ করেছিলাম। গতবছরের তুলনায় এবার ভাল আবাদও হয়েছিলো। কিন্তু হঠাৎই পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লাম। কৃষক হুরমুজ প্রামাণিক ও রহিজ উদ্দিন জানান, এই সময়ে নদীতে পানি বাড়বে সেটা কল্পনাও করিনি। পানি বাড়ার সম্ভাবনা থাকলে ফসল রোপণ করতাম না। এখনও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে ফসল তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে। বাধ্য হয়েই অনেক ফসলের চারা কেটে গরু দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. হুয়ামূন কবীর জানান, অসময়ে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনও পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে চরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি গ্রামের ফসলী জমি ও ফসল তলিয়ে গেছে। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সরেজমিন পরিদর্শন করিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।