কুড়িগ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে দুই শতাধিক বসতবাড়ি লন্ডভন্ড

জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম
১৯ মে, ২০২২, 1:15 AM

কুড়িগ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে দুই শতাধিক বসতবাড়ি লন্ডভন্ড
কালবৈশাখী ঝড়ে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের দুই শতাধিক বসতবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাছপালা। বোরো ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিরও খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানান যায়, গতকাল বুধবার ভোর ৪টার দিকে ভুরুঙ্গামারী সদর, পাইকেরছড়া, চর ভুরুঙ্গামারী, শিলখুড়িসহ বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টির সাথে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়।
যা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলমান থাকে। ঝড়ে দুই শতাধিক বসতবাড়ি, গাছপালা, বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় গাছ উপড়ে বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ে এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিক মেসবাহুল জানান, ভোরে হঠাৎ তার পাইকেরছড়া গ্রামে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়।
ঝড়ে তার গ্রামের রব্বানী, আমিনুল ও জলিলের বসতঘর ভেঙে পড়াসহ বেশকিছু বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাহাদাত মো. বজলুর রহমান বলেন, ভোর ৪টার দিকে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ওয়ার্ডের ২০-২৫টি পরিবারের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে গেছে।
ঝড় ও বৃষ্টিতে অন্তত ১০০ একর জমির পাকা ও আধাপাকা বোরো ধান ক্ষেত হেলে পড়াসহ পানিতে তলিয়ে গেছে। ঝড়ে আমার বসতবাড়ির দুটি ঘরসহ গাছপালা ভেঙে গেছে। সেগুলো মেরামতে কাজ করছি আমি। ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজার এলাকার আবদুর রহিম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে তার এলাকার বেশ কিছু বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
। অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে। একই ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ শামছুল হক বলেন, ঝড়ে তার শালদোর গ্রামের বেশকিছু বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তসহ গাছপালা উপড়ে গেছে। এ ছাড়া আনুমানিক দেড়শ বিঘা জমির বোরো ধান ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।
পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক সরকার বলেন, ভোরে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নের প্রায় ১০০ পরিবারের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া দেড়শ থেকে দুইশ একর জমির বোরো ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
বিভিন্ন সড়কে উপড়ে পড়া গাছ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন হওয়া সংযোগ ঈদ মেরামতে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ঝড়ের বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়েছে। চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক (ইউপি) চেয়ারম্যান এটিএম ফজলুল হক বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে তার দুটি বসতঘর ভেঙে গেছে। একটি ঘরের উড়ে যাওয়া চাল এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া ইউনিয়নের আনুমানিক ৫০টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তসহ গাছপালা ভেঙে পড়েছে। এ বিষয়ে জানতে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম
১৯ মে, ২০২২, 1:15 AM

কালবৈশাখী ঝড়ে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের দুই শতাধিক বসতবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাছপালা। বোরো ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিরও খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানান যায়, গতকাল বুধবার ভোর ৪টার দিকে ভুরুঙ্গামারী সদর, পাইকেরছড়া, চর ভুরুঙ্গামারী, শিলখুড়িসহ বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টির সাথে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়।
যা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলমান থাকে। ঝড়ে দুই শতাধিক বসতবাড়ি, গাছপালা, বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় গাছ উপড়ে বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ে এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিক মেসবাহুল জানান, ভোরে হঠাৎ তার পাইকেরছড়া গ্রামে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়।
ঝড়ে তার গ্রামের রব্বানী, আমিনুল ও জলিলের বসতঘর ভেঙে পড়াসহ বেশকিছু বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাহাদাত মো. বজলুর রহমান বলেন, ভোর ৪টার দিকে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ওয়ার্ডের ২০-২৫টি পরিবারের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে গেছে।
ঝড় ও বৃষ্টিতে অন্তত ১০০ একর জমির পাকা ও আধাপাকা বোরো ধান ক্ষেত হেলে পড়াসহ পানিতে তলিয়ে গেছে। ঝড়ে আমার বসতবাড়ির দুটি ঘরসহ গাছপালা ভেঙে গেছে। সেগুলো মেরামতে কাজ করছি আমি। ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজার এলাকার আবদুর রহিম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে তার এলাকার বেশ কিছু বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
। অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে। একই ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ শামছুল হক বলেন, ঝড়ে তার শালদোর গ্রামের বেশকিছু বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তসহ গাছপালা উপড়ে গেছে। এ ছাড়া আনুমানিক দেড়শ বিঘা জমির বোরো ধান ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।
পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক সরকার বলেন, ভোরে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নের প্রায় ১০০ পরিবারের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া দেড়শ থেকে দুইশ একর জমির বোরো ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
বিভিন্ন সড়কে উপড়ে পড়া গাছ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন হওয়া সংযোগ ঈদ মেরামতে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ঝড়ের বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়েছে। চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক (ইউপি) চেয়ারম্যান এটিএম ফজলুল হক বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে তার দুটি বসতঘর ভেঙে গেছে। একটি ঘরের উড়ে যাওয়া চাল এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া ইউনিয়নের আনুমানিক ৫০টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তসহ গাছপালা ভেঙে পড়েছে। এ বিষয়ে জানতে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।