ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
২১ অক্টোবর, ২০২২, 1:05 AM

ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী
ব্রিটিশ মসনদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন লিজ ট্রাস। ক্ষমতা নেওয়ার ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন তিনি। অথচ গত সেপ্টেম্বরেই কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দলীয় শীর্ষ পদে বসেন তিনি। বরিস জনসন পদত্যাগ করলে হন প্রধানমন্ত্রী। বিবিসি বলছে, পদত্যাগের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী হলেন লিজ ট্রাস। ৪৫ দিনের ক্ষমতায় ‘মিনি-বাজেট’ বিতর্কে পড়েছিলেন তিনি। যদিও তার আশা ছিল নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে দেশের উন্নতীকরণ।
লিজ ট্রাসের আগে সবচেয়ে কম সময়ের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছিলেন জর্জ ক্যানিং। ১৯২৭ সালে মাত্র ১১৯ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ক্যানিংকে বলা হতো ব্রিটিশ টোরি রাষ্ট্রনায়ক। কেননা, নিজে ক্ষমতা নেওয়ার আগে বহু প্রধানমন্ত্রীর অধীনে মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন জ্যেষ্ঠ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি। দুটি গুরুত্বপূর্ণ মেয়াদে তিনি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব। খবরে আরও বলা হয়, লিজের ক্ষমতায় সমস্যা সৃষ্টির মূল কারণ তার সরকারের প্রথম অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কোয়ার্তেং সংক্ষিপ্ত বাজেট উপস্থাপন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর এ ঘোষণার পর শুরু হয় বিতর্ক।
মিনি-বাজেটে কর কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাজ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। ব্রিটিশ পাউন্ডের দামও কমে যায়। ফলে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েন কাওয়াসি কোয়ার্তেং। কিন্তু, নিজের গদি রক্ষায় ব্যর্থ হন লিজ। কনজারভেটিভ পার্টির নেতারাই তাকে পদত্যাগ করতে চাপ সৃষ্টি করেন। পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) আসেন ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে। গিজগিজ করতে থাকা সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি আমার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসকে জানিয়েছি। আমি স্বীকার করছি, যে প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলাম, সেটি দিতে পারছি না। কম ট্যাক্স উচ্চ প্রবৃদ্ধির অর্থনীতির জন্য আমার সরকার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। আমাদের দেশ দেশ দীর্ঘদিন ধরে নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির শিকার। পিছিয়ে পড়েছি আমরা। আমি ও আমার দল এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্যই কাজ করে যাচ্ছিল, যা আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।
এ সময় ১৯২২ কমিটি চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডলির সঙ্গেও দেখা করার কথাও জানান তিনি। এ ঘোষণার আগে তার সঙ্গে দেখা করেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান। এ সময় পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি। লিজের পদত্যাগের পর আগামী সপ্তাহে নির্বাচন হবে নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন লিজ। আইনপ্রণেতারা এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক
২১ অক্টোবর, ২০২২, 1:05 AM

ব্রিটিশ মসনদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন লিজ ট্রাস। ক্ষমতা নেওয়ার ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন তিনি। অথচ গত সেপ্টেম্বরেই কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দলীয় শীর্ষ পদে বসেন তিনি। বরিস জনসন পদত্যাগ করলে হন প্রধানমন্ত্রী। বিবিসি বলছে, পদত্যাগের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী হলেন লিজ ট্রাস। ৪৫ দিনের ক্ষমতায় ‘মিনি-বাজেট’ বিতর্কে পড়েছিলেন তিনি। যদিও তার আশা ছিল নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে দেশের উন্নতীকরণ।
লিজ ট্রাসের আগে সবচেয়ে কম সময়ের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছিলেন জর্জ ক্যানিং। ১৯২৭ সালে মাত্র ১১৯ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ক্যানিংকে বলা হতো ব্রিটিশ টোরি রাষ্ট্রনায়ক। কেননা, নিজে ক্ষমতা নেওয়ার আগে বহু প্রধানমন্ত্রীর অধীনে মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন জ্যেষ্ঠ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি। দুটি গুরুত্বপূর্ণ মেয়াদে তিনি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব। খবরে আরও বলা হয়, লিজের ক্ষমতায় সমস্যা সৃষ্টির মূল কারণ তার সরকারের প্রথম অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কোয়ার্তেং সংক্ষিপ্ত বাজেট উপস্থাপন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর এ ঘোষণার পর শুরু হয় বিতর্ক।
মিনি-বাজেটে কর কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাজ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। ব্রিটিশ পাউন্ডের দামও কমে যায়। ফলে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েন কাওয়াসি কোয়ার্তেং। কিন্তু, নিজের গদি রক্ষায় ব্যর্থ হন লিজ। কনজারভেটিভ পার্টির নেতারাই তাকে পদত্যাগ করতে চাপ সৃষ্টি করেন। পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) আসেন ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে। গিজগিজ করতে থাকা সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি আমার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসকে জানিয়েছি। আমি স্বীকার করছি, যে প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলাম, সেটি দিতে পারছি না। কম ট্যাক্স উচ্চ প্রবৃদ্ধির অর্থনীতির জন্য আমার সরকার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। আমাদের দেশ দেশ দীর্ঘদিন ধরে নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির শিকার। পিছিয়ে পড়েছি আমরা। আমি ও আমার দল এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্যই কাজ করে যাচ্ছিল, যা আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।
এ সময় ১৯২২ কমিটি চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডলির সঙ্গেও দেখা করার কথাও জানান তিনি। এ ঘোষণার আগে তার সঙ্গে দেখা করেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান। এ সময় পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি। লিজের পদত্যাগের পর আগামী সপ্তাহে নির্বাচন হবে নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন লিজ। আইনপ্রণেতারা এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি