শিরোনামঃ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল মানবাধিকার সংস্থা চেয়ারম্যান কে প্রাণনাশের হুমকি আদালতে মামলা জাতিসংঘে নারী সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন: কৃষি উন্নয়নে নতুন উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার

ইন্দোনেশিয়ায় কিডনি বিকলে মৃত শিশুর সংখ্যা বেড়ে ১৩৩

#
news image

ইন্দোনেশিয়ায় গুরুতর কিডনি জটিলতায় (একেআই) মৃত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার ২২টি প্রদেশে ১৩৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন। শুক্রবার রাজধানী জাকার্তায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশের ২২ প্রদেশে গুরুতর কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৪১ জন এবং তাদের মধ্যে ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত এই শিশুদের অধিকাংশেরই বয়স ৫ বছরের কম।

আগের এক প্রতিবেদনে ৯৯ শিশুর মৃত্যুর কথা বলা হয়েছিল। সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়াতেও কিডনি বিকল হয়ে ৭০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি মেইডেন ফার্মাসিটিক্যালসের তৈরি চারটি সর্দিকাশির সিরাপ দায়ী এসব মৃত্যুর জন্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ওই তদন্তে আরও জানা গেছে, ওই চারটি কফ সিরাপে এথিলিন গ্লাইকল ও ডায়াথিলিন গ্লাইকল নামের দুটি রাসায়নিক উপাদানের বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন জানান, গাম্বিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় শিশুদের কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যুর কারণ একই; অর্থাৎ ঠাণ্ডাসর্দি ও কাশির সিরাপে এথিলিন গ্লাইকোল, ডায়াথিলিন গ্লাইকলসহ ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি। তবে ইন্দোনেশিয়ায় যে সিরাপগুলোতে এসব উপাদান পাওয়া গেছে—সেগুলোর কোনোটিই বাইরে থেকে আমদানি করা হয়নি, স্থানীয় ও দেশীয় বিভিন্ন কোম্পানির প্রস্তুত করেছে এসব সিরাপ।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রাথমিক তদন্তে শিশুদের ঠাণ্ডাজ্বর ও সর্দিকাশির চিকিৎসার জন্য উপযোগী ৫টি সিরাপে বিপজ্জনক মাত্রায় এথিলিন গ্লাইকোল, ডায়াতিলিন গ্লাইকোল ও এথেলিন গ্লাইকোল বিউটাইল ইথারের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। (কিডনি জটিলতায়) মৃত ও আক্রান্ত শিশুদের প্রত্যেকেই এই ৫টি সিরাপের কোনো একটি সেবন করেছিল বলেও আমরা জানতে পেরেছি। যে সিরাপগুলোতে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, ইতোমধ্যে সেসব সিরাপের সব ব্যাচ অভ্যন্তরীণ ওষুধের বাজার ও ফার্মেসিগুলো থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন বুদি গুনাদি সাদিকিন।

সূত্র: আলজাজিরা

অনলাইন ডেস্ক

২২ অক্টোবর, ২০২২,  8:44 PM

news image

ইন্দোনেশিয়ায় গুরুতর কিডনি জটিলতায় (একেআই) মৃত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার ২২টি প্রদেশে ১৩৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন। শুক্রবার রাজধানী জাকার্তায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশের ২২ প্রদেশে গুরুতর কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৪১ জন এবং তাদের মধ্যে ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত এই শিশুদের অধিকাংশেরই বয়স ৫ বছরের কম।

আগের এক প্রতিবেদনে ৯৯ শিশুর মৃত্যুর কথা বলা হয়েছিল। সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়াতেও কিডনি বিকল হয়ে ৭০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি মেইডেন ফার্মাসিটিক্যালসের তৈরি চারটি সর্দিকাশির সিরাপ দায়ী এসব মৃত্যুর জন্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ওই তদন্তে আরও জানা গেছে, ওই চারটি কফ সিরাপে এথিলিন গ্লাইকল ও ডায়াথিলিন গ্লাইকল নামের দুটি রাসায়নিক উপাদানের বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন জানান, গাম্বিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় শিশুদের কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যুর কারণ একই; অর্থাৎ ঠাণ্ডাসর্দি ও কাশির সিরাপে এথিলিন গ্লাইকোল, ডায়াথিলিন গ্লাইকলসহ ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি। তবে ইন্দোনেশিয়ায় যে সিরাপগুলোতে এসব উপাদান পাওয়া গেছে—সেগুলোর কোনোটিই বাইরে থেকে আমদানি করা হয়নি, স্থানীয় ও দেশীয় বিভিন্ন কোম্পানির প্রস্তুত করেছে এসব সিরাপ।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রাথমিক তদন্তে শিশুদের ঠাণ্ডাজ্বর ও সর্দিকাশির চিকিৎসার জন্য উপযোগী ৫টি সিরাপে বিপজ্জনক মাত্রায় এথিলিন গ্লাইকোল, ডায়াতিলিন গ্লাইকোল ও এথেলিন গ্লাইকোল বিউটাইল ইথারের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। (কিডনি জটিলতায়) মৃত ও আক্রান্ত শিশুদের প্রত্যেকেই এই ৫টি সিরাপের কোনো একটি সেবন করেছিল বলেও আমরা জানতে পেরেছি। যে সিরাপগুলোতে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, ইতোমধ্যে সেসব সিরাপের সব ব্যাচ অভ্যন্তরীণ ওষুধের বাজার ও ফার্মেসিগুলো থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন বুদি গুনাদি সাদিকিন।

সূত্র: আলজাজিরা