শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে জেলেরা, ঝাঁকে ঝাঁকে মিলছে ইলিশ

#
news image

সাগর ও নদীতে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। এখন ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে নদীতে ইলিশ শিকারে নেমেছেন জেলেরা। মৎস্যঘাটেও উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আসছে প্রচুর ইলিশ। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করা ভোলার জেলেরা জানান, নদীতে জাল ফেললেই মিলছে ইলিশ। প্রতিবারে জালে ১০-১৫ টি ইলিশ উঠে আসছে। তাই খুশি তারা। নিষেধাজ্ঞার সময় করা ধার-দেনা শোধ করে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন জেলেরা।

ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি গ্রামের মিজান মাঝি, ইউসুফ মাঝি ও আবদুল বর মাঝি জানান, ২২ দিন পর নদীতে ইলিশ শিকারে নেমেছেন তারা। নদীতে জাল ফেলে ভালো ইলিশ পাঁচ্ছেন। এতে তারা খুশি। তবে এভাবে ইলিশ যদি আরও কিছুদিন পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিগত দিনের লোকসান পুষিয়ে যাবে। ভবিষ্যতের জন্য কিছু টাকা জমাও করতে পারবেন তারা। এদিকে মৎস্যঘাটে গিয়ে জানা যায়, প্রচুর ইলিশ পাওয়া গেলেও দাম কিছুটা চড়া। এক কেজির নিচের সাইজের ইলিশের কেজি ১০০০ টাকা, এক কেজির বেশি ১৩০০ টাকা, দেড় কেজির বেশি সাইজের ১৫০০-১৮০০ টাকা। ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ বলেন, নদীতে এখন প্রচুর ইলিশ আছে। জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাঁচ্ছে।

ইলিশের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রি ও বিনিময়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। এদিকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নদীতে নেমেছেন চাঁদপুরের জেলেরা। তবে আশানুরূপ মাছ পাননি বলে দাবি তাদের। সারারাত নদীতে কাটিয়ে তেল খরচের টাকাও জোগাড় হয়নি। এদিকে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় ২২ দিন পর কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাটে। সকাল থেকেই ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। ক্রেতা বিক্রেতার হাঁক-ডাকে প্রাণ ফিরে পেয়েছে মাছ ঘাট। আড়তদাররা বলছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাছের পরিমাণ বাড়বে। আগামী দু-তিন দিন পর ইলিশের সরবরাহ আরও বাড়বে। এর আগে ৭ অক্টোবর মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিতে নদী ও সাগরে মাছ ধরা ও বিপণন নিষিদ্ধ করে সরকার। গত শুক্রবার শেষ হয় এ নিষেধাজ্ঞা।

মধ্যরাত থেকে নদীতে নেমে পড়েন জেলেরা। শনিবার সকালে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাট ঘুরে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে জেলেরা ঘাটে ফিরতে শুরু করেন। তারা জানান, নদীতে কাক্সিক্ষত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। যা মিলছে তা দিয়ে তেলের খরচ উঠবে না। শরীফ মাঝি ও সবুজ খান বলেন, ধারদেনা ও কিস্তিতে টাকা নিয়ে নৌকা ও জালের মেরামত করেছি। নদীতে নেমে যদি এমন মাছ পাই তাহলে কিস্তি পরিশোধ করতে পারবো না। দুই হাজার টাকার জ্বালানি তেল নিয়ে সাত-আটজন জেলে নদীতে গেছি। তবে মাছ বিক্রি করেছি মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। তারা আরও বলেন, সব খরচ বাদ দিয়ে আমাদরে কপালে জুটবে মাত্র ৩০০-৪০০ টাকা করে। এ টাকা দিয়ে সংসার চালাবো নাকি কিস্তি পরিশোধ করবো তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

আড়তদার হৃদয় খান, নবীর ও বিপ্লব খানসহ বেশ কয়েকজন জানান, প্রথম দিন হিসেবে তুলনামূলক মাছ কিছুটা কম আসলেও ঘাটের কর্মচঞ্চল্য ফিরে এসেছে। আগামী ১০-১৫ দিন যদি ইলিশ মাছের আমদানি তিন থেকে চার হাজার মণ হয় তাহলে লোকসান পুষিয়ে নেওয়া যাবে। তবে আমদানি কম থাকায় ইলিশের দাম কিছুটা বেশি। তারা আরও জানান, ঘাটে আসা অধিকাংশ ইলিশ বড় আকারের। ছোট আকারে ইলিশ কম হওয়ায় দাম কিছুটা বেশি। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি। এক কেজি ওজনের ইলিশ ১১০০ টাকা কেজি, ১২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৩০০-১৪০০ টাকা কেজি, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১৬০০-১৭০০ টাকা কেজি। চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার বলেন, প্রথম দিনে চাঁদপুর স্টেশন মাছ ঘাটে এক হাজার মণ ইলিশের আমদানি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে আগামী দু-তিন দিন পর আশা করছি তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মণ ইলিশ সরবরাহ হবে। সে ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অনেকটাই পুষে যাবে। অন্যদিকে

শনিবার দুপুরে বরগুনার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা মাছ বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত শুক্রবার মধ্যরাতে। নিষেধাজ্ঞা শেষে নদী ও সাগর মোহনায় জাল ফেলে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে। এবারে ইলিশ বিক্রির টাকায় বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা। মৎস্য আড়ত সূত্র জানায়, ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার প্রথম দিনের মতো জেলেরা নদীতে জাল ফেলে প্রত্যাশারও বেশি মাছ পেয়েছেন। বড় ইলিশ ছাড়াও সম্প্রতি বড় বিষখালী নদীতে ৫ থেকে ২০ কেজি ওজনের কোরাল, বোয়াল, পাঙাশ, বাঘাইড়সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। জেলেরা নদী থেকে বাজারে মাছ আনতে শুরু করছেন দুপুর ১২ টা থেকে। বাজারে চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকার কারণে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারে পর্যাপ্ত মাছ সরবরাহ হলে দামও কমে যাবে।

আড়ৎদার কামাল বলেন, নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে। এ অবস্থা চললে জেলেরা বিগত দিনের সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন পর বাজারে শনিবার প্রথম বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তাই চাহিদাও প্রচুর। চাহিদার তুলনায় মাছের যোগান কম থাকার কারণে দাম একটু চড়া। মাছের সরবরাহ বাড়লে দামও কমে যাবে। এদিন সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বরগুনা পৌর মাছ বাজারে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা এক কেজি, ১ কেজি থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা কেজি দরে। ৬০০ গ্রাম - ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৪০ টাকা কেজি, আর তারও ছোট ২২০ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৬০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় স্থানীয় জেলেরা উপকৃত হচ্ছেন। এ কারণে নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার বেড়েছে। ফলে নদীতে টানা ও বসানো জালে বড় ইলিশ মাছ প্রচুর ধরা পড়ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ অক্টোবর, ২০২২,  10:51 PM

news image

সাগর ও নদীতে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। এখন ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে নদীতে ইলিশ শিকারে নেমেছেন জেলেরা। মৎস্যঘাটেও উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আসছে প্রচুর ইলিশ। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করা ভোলার জেলেরা জানান, নদীতে জাল ফেললেই মিলছে ইলিশ। প্রতিবারে জালে ১০-১৫ টি ইলিশ উঠে আসছে। তাই খুশি তারা। নিষেধাজ্ঞার সময় করা ধার-দেনা শোধ করে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন জেলেরা।

ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি গ্রামের মিজান মাঝি, ইউসুফ মাঝি ও আবদুল বর মাঝি জানান, ২২ দিন পর নদীতে ইলিশ শিকারে নেমেছেন তারা। নদীতে জাল ফেলে ভালো ইলিশ পাঁচ্ছেন। এতে তারা খুশি। তবে এভাবে ইলিশ যদি আরও কিছুদিন পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিগত দিনের লোকসান পুষিয়ে যাবে। ভবিষ্যতের জন্য কিছু টাকা জমাও করতে পারবেন তারা। এদিকে মৎস্যঘাটে গিয়ে জানা যায়, প্রচুর ইলিশ পাওয়া গেলেও দাম কিছুটা চড়া। এক কেজির নিচের সাইজের ইলিশের কেজি ১০০০ টাকা, এক কেজির বেশি ১৩০০ টাকা, দেড় কেজির বেশি সাইজের ১৫০০-১৮০০ টাকা। ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ বলেন, নদীতে এখন প্রচুর ইলিশ আছে। জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাঁচ্ছে।

ইলিশের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রি ও বিনিময়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। এদিকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নদীতে নেমেছেন চাঁদপুরের জেলেরা। তবে আশানুরূপ মাছ পাননি বলে দাবি তাদের। সারারাত নদীতে কাটিয়ে তেল খরচের টাকাও জোগাড় হয়নি। এদিকে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় ২২ দিন পর কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাটে। সকাল থেকেই ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। ক্রেতা বিক্রেতার হাঁক-ডাকে প্রাণ ফিরে পেয়েছে মাছ ঘাট। আড়তদাররা বলছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাছের পরিমাণ বাড়বে। আগামী দু-তিন দিন পর ইলিশের সরবরাহ আরও বাড়বে। এর আগে ৭ অক্টোবর মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিতে নদী ও সাগরে মাছ ধরা ও বিপণন নিষিদ্ধ করে সরকার। গত শুক্রবার শেষ হয় এ নিষেধাজ্ঞা।

মধ্যরাত থেকে নদীতে নেমে পড়েন জেলেরা। শনিবার সকালে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাট ঘুরে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে জেলেরা ঘাটে ফিরতে শুরু করেন। তারা জানান, নদীতে কাক্সিক্ষত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। যা মিলছে তা দিয়ে তেলের খরচ উঠবে না। শরীফ মাঝি ও সবুজ খান বলেন, ধারদেনা ও কিস্তিতে টাকা নিয়ে নৌকা ও জালের মেরামত করেছি। নদীতে নেমে যদি এমন মাছ পাই তাহলে কিস্তি পরিশোধ করতে পারবো না। দুই হাজার টাকার জ্বালানি তেল নিয়ে সাত-আটজন জেলে নদীতে গেছি। তবে মাছ বিক্রি করেছি মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। তারা আরও বলেন, সব খরচ বাদ দিয়ে আমাদরে কপালে জুটবে মাত্র ৩০০-৪০০ টাকা করে। এ টাকা দিয়ে সংসার চালাবো নাকি কিস্তি পরিশোধ করবো তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

আড়তদার হৃদয় খান, নবীর ও বিপ্লব খানসহ বেশ কয়েকজন জানান, প্রথম দিন হিসেবে তুলনামূলক মাছ কিছুটা কম আসলেও ঘাটের কর্মচঞ্চল্য ফিরে এসেছে। আগামী ১০-১৫ দিন যদি ইলিশ মাছের আমদানি তিন থেকে চার হাজার মণ হয় তাহলে লোকসান পুষিয়ে নেওয়া যাবে। তবে আমদানি কম থাকায় ইলিশের দাম কিছুটা বেশি। তারা আরও জানান, ঘাটে আসা অধিকাংশ ইলিশ বড় আকারের। ছোট আকারে ইলিশ কম হওয়ায় দাম কিছুটা বেশি। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি। এক কেজি ওজনের ইলিশ ১১০০ টাকা কেজি, ১২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৩০০-১৪০০ টাকা কেজি, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১৬০০-১৭০০ টাকা কেজি। চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার বলেন, প্রথম দিনে চাঁদপুর স্টেশন মাছ ঘাটে এক হাজার মণ ইলিশের আমদানি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে আগামী দু-তিন দিন পর আশা করছি তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মণ ইলিশ সরবরাহ হবে। সে ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অনেকটাই পুষে যাবে। অন্যদিকে

শনিবার দুপুরে বরগুনার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা মাছ বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত শুক্রবার মধ্যরাতে। নিষেধাজ্ঞা শেষে নদী ও সাগর মোহনায় জাল ফেলে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে। এবারে ইলিশ বিক্রির টাকায় বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা। মৎস্য আড়ত সূত্র জানায়, ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার প্রথম দিনের মতো জেলেরা নদীতে জাল ফেলে প্রত্যাশারও বেশি মাছ পেয়েছেন। বড় ইলিশ ছাড়াও সম্প্রতি বড় বিষখালী নদীতে ৫ থেকে ২০ কেজি ওজনের কোরাল, বোয়াল, পাঙাশ, বাঘাইড়সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। জেলেরা নদী থেকে বাজারে মাছ আনতে শুরু করছেন দুপুর ১২ টা থেকে। বাজারে চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকার কারণে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারে পর্যাপ্ত মাছ সরবরাহ হলে দামও কমে যাবে।

আড়ৎদার কামাল বলেন, নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে। এ অবস্থা চললে জেলেরা বিগত দিনের সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন পর বাজারে শনিবার প্রথম বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তাই চাহিদাও প্রচুর। চাহিদার তুলনায় মাছের যোগান কম থাকার কারণে দাম একটু চড়া। মাছের সরবরাহ বাড়লে দামও কমে যাবে। এদিন সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বরগুনা পৌর মাছ বাজারে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা এক কেজি, ১ কেজি থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা কেজি দরে। ৬০০ গ্রাম - ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৪০ টাকা কেজি, আর তারও ছোট ২২০ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৬০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় স্থানীয় জেলেরা উপকৃত হচ্ছেন। এ কারণে নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার বেড়েছে। ফলে নদীতে টানা ও বসানো জালে বড় ইলিশ মাছ প্রচুর ধরা পড়ছে।