শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

আরও চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উ. কোরিয়া

#
news image

সিউল এবং ওয়াশিংটনের ছয় দিনের সামরিক মহড়ার শেষ দিনে আবারও চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। গত কয়েক দিনের টানা উত্তেজনার মাঝে শনিবার সকালের দিকে কোরীয় দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে মাঝারি পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে পিয়ংইয়ং।

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে; যার মধ্যে আন্তঃমহাদেশীয় একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল। যদিও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির নিক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান।

পিয়ংইয়ংয়ের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ফলে ২০১৭ সালের পর দেশটি আবারও পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।

কোরীয় দ্বীপে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া এযাবৎকালের বৃহত্তম যৌথ আকাশ প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করে। ‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’ নামের এই মহড়ায় দুই দেশের শত শত যুদ্ধবিমান প্রতীকী লক্ষ্যে টানা ২৪ ঘণ্টা আক্রমণ চালায়।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বলছে, শনিবার সিউল-ওয়াশিংটনের মহড়া শেষের দিনে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৩১ মিনিট থেকে ১১টা ৫৯ মিনিটের মাঝে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। সিউল বলেছে, নিক্ষেপের স্থান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের মতে, সিউল-ওয়াশিংটনের চালানো মহড়ায় প্রায় ২৪০টি সামরিক বিমান, দু’টি মার্কিন বি-ওয়ানবি বোমারু বিমানের পাশাপাশি, চারটি এফ-১৬ এবং চারটি এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছিল।

সিউল ও ওয়াশিংটনের জয়েন্ট চিফের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের পর দুই দেশের যৌথ মহড়ায় এবারই প্রথমবারের মতো বি-ওয়ানবি বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার যেকোনও ধরনের উসকানির কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য কোরিয়া প্রজাতন্ত্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা সক্ষমতা, দৃঢ় সংকল্প ও অভিপ্রায় প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এই বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়।

এর আগে, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার ‘উসকানিমূলক’ বিমান মহড়া বন্ধের দাবি জানায় পিয়ংইয়ং। দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, শুক্রবার দুই দেশের সীমান্তের কাছে উত্তর কোরিয়ার ১৮০টি সামরিক ফ্লাইটের প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধবিমানগুলো উড়ানো হয়েছিল।

গত বুধবার একদিনে রেকর্ড ২৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল উত্তর কোরিয়া; যার একটি প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলের কাছে গিয়ে অব্তরণ করে। দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে মিত্র ওয়াশিংটনের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ না হলে শক্তিশালী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উত্তর কোরিয়া হুমকি দেওয়ার পর নিক্ষেপ করে।

শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতি জারি করে সতর্ক করে দেন বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। তিনি বলেন, উসকানি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তার পাল্টায় দীর্ঘস্থায়ী জবাব দেওয়া হবে।

গত কয়েক বছরে উত্তর কোরিয়াকে কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে, সেই ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিভাজন দেখা গেছে। চলতি বছরের মে মাসে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের মার্কিন এক প্রচেষ্টায় ভেটো দেয় চীন ও রাশিয়া।

অনলাইন ডেস্ক

০৫ নভেম্বর, ২০২২,  10:25 PM

news image

সিউল এবং ওয়াশিংটনের ছয় দিনের সামরিক মহড়ার শেষ দিনে আবারও চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। গত কয়েক দিনের টানা উত্তেজনার মাঝে শনিবার সকালের দিকে কোরীয় দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে মাঝারি পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে পিয়ংইয়ং।

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে; যার মধ্যে আন্তঃমহাদেশীয় একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল। যদিও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির নিক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান।

পিয়ংইয়ংয়ের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ফলে ২০১৭ সালের পর দেশটি আবারও পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।

কোরীয় দ্বীপে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া এযাবৎকালের বৃহত্তম যৌথ আকাশ প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করে। ‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’ নামের এই মহড়ায় দুই দেশের শত শত যুদ্ধবিমান প্রতীকী লক্ষ্যে টানা ২৪ ঘণ্টা আক্রমণ চালায়।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বলছে, শনিবার সিউল-ওয়াশিংটনের মহড়া শেষের দিনে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৩১ মিনিট থেকে ১১টা ৫৯ মিনিটের মাঝে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। সিউল বলেছে, নিক্ষেপের স্থান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের মতে, সিউল-ওয়াশিংটনের চালানো মহড়ায় প্রায় ২৪০টি সামরিক বিমান, দু’টি মার্কিন বি-ওয়ানবি বোমারু বিমানের পাশাপাশি, চারটি এফ-১৬ এবং চারটি এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছিল।

সিউল ও ওয়াশিংটনের জয়েন্ট চিফের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের পর দুই দেশের যৌথ মহড়ায় এবারই প্রথমবারের মতো বি-ওয়ানবি বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার যেকোনও ধরনের উসকানির কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য কোরিয়া প্রজাতন্ত্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা সক্ষমতা, দৃঢ় সংকল্প ও অভিপ্রায় প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এই বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়।

এর আগে, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার ‘উসকানিমূলক’ বিমান মহড়া বন্ধের দাবি জানায় পিয়ংইয়ং। দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, শুক্রবার দুই দেশের সীমান্তের কাছে উত্তর কোরিয়ার ১৮০টি সামরিক ফ্লাইটের প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধবিমানগুলো উড়ানো হয়েছিল।

গত বুধবার একদিনে রেকর্ড ২৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল উত্তর কোরিয়া; যার একটি প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলের কাছে গিয়ে অব্তরণ করে। দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে মিত্র ওয়াশিংটনের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ না হলে শক্তিশালী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উত্তর কোরিয়া হুমকি দেওয়ার পর নিক্ষেপ করে।

শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতি জারি করে সতর্ক করে দেন বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। তিনি বলেন, উসকানি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তার পাল্টায় দীর্ঘস্থায়ী জবাব দেওয়া হবে।

গত কয়েক বছরে উত্তর কোরিয়াকে কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে, সেই ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিভাজন দেখা গেছে। চলতি বছরের মে মাসে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের মার্কিন এক প্রচেষ্টায় ভেটো দেয় চীন ও রাশিয়া।