শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

রাশিয়ার হামলায় দনবাস ‘নরকে’ পরিণত হয়েছে: জেলেনস্কি

#
news image

রাশিয়ার হামলায় পূর্ব ইউক্রেনের শিল্পাঞ্চল দনবাস পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি রুশ সেনারা এই শিল্প অঞ্চলটিকে হামলার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করায় দনবাস রীতিমতো নরকে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এমনটাই দাবি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। খবর রয়টার্সের।
জেলেনস্কি তার ভাষণে বলেন, দখলকারীরা আরো বেশি চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে। তাতে জায়গাটি নরকে পরিণত হয়েছে। এটি কোনো অতিরঞ্জন নয়।
তিনি আরও বলেন, ওডেসা অঞ্চল-সহ মধ্য ইউক্রেনের শহরগুলোতে ক্রমাগত রুশ হামলা চলছে। আর দনবাস সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি বলেন, এটি যতটা সম্ভব ইউক্রেনীয়কে হত্যা করার, যতটা সম্ভব বাড়িঘর, সামাজিক সুবিধা এবং উদ্যোগগুলোকে ধ্বংস করার জন্য ইচ্ছাকৃত এবং অপরাধমূলক প্রচেষ্টা।
প্রায় তিনমাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রাশিয়া। প্রাথমিকভাবে রুশ সেনারা প্রায় পুরো ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে হামলা পরিচালনা করছে। তবে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস এলাকা আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই এই অঞ্চলে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে রুশ সেনারা।
মূলত রুশ-ভাষী মানুষকে রক্ষা এবং রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রক্ষার কথা বলে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত দনবাস ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা করছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। আর তাতে রুশ সেনাদের ব্যাপক গোলাবর্ষণে বিধ্বস্ত হচ্ছে ইউক্রেনের এই শিল্প এলাকা।
এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে স্বাভাবিক পরিস্থিতির স্বীকৃতি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুধবার থেকে আবার দূতাবাসের কাজ শুরু করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়ার বিবেকহীন হামলার মুখে ইউক্রেনের মানুষ নিজেদের দেশকে রক্ষা করেছে। ফলে দূতাবাসে আবার মার্কিন পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। তবে আপাতত হাতে গোনা কয়েকজন কূটনীতিক কাজ শুরু করবেন৷ কনসুলার বিভাগ এখনো খোলা হবে না। ব্রিজেট ব্রিংক নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মার্কিন সেনেটের অনুমোদন পেয়েছেন। উল্লেখ্য, ক্যানাডা, ব্রিটেন ও অন্যান্য কয়েকটি দেশও সম্প্রতি কিয়েভে দূতাবাস আবার খুলেছে।
ইউক্রেনের একটা বড় অংশে পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক হলেও চলমান যুদ্ধের ফলে সে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। শ্রমিক ও কর্মীরাও যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য হওয়ায় কৃষিকাজ ও উৎপাদন কমে গেছে৷ ফলে বাজেট সংকট দেখা দিচ্ছে।
এ অবস্থায় ইউক্রেনকে সহায়তা করতে বৈঠকে বসছেন জি-সেভেন অর্থমন্ত্রীরা। জার্মানির ক্যোনিগসভিন্টার শহরে বৃহস্পতিবার তারা আরও ব্যাপক উদ্যোগ নিতে চান। মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, এখনো পর্যন্ত ইউক্রেনকে যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে, তা এমনকি স্বল্পমেয়াদী ভিত্তিতেও যথেষ্ট নয়। তিনি অ্যামেরিকার সহযোগীদের উদ্দেশ্যে ইউক্রেনের জন্য আরও আর্থিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
জার্মান অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার ইউক্রেনকে দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচানোর আশ্বাস দিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউিনয়ন ইউক্রেনের জন্য আর্থিক সহায়তা ৯০০ কোটি ইউরো পর্যন্ত বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছে।
ইউক্রেন সংকটের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির উপর চাপ সম্পর্কেও অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানরা আলোচনা করছেন। মূল্যস্ফীতি থেকে শুরু করে মন্দার আশঙ্কা তাদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে। কাঁচামাল সংকটের ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়াও ব্যহত হচ্ছে৷ ফলে চাহিদা সত্ত্বেও যথেষ্ট জোগান সম্ভব হচ্ছে না।

প্রভাতী খবর ডেস্ক

২১ মে, ২০২২,  9:10 PM

news image

রাশিয়ার হামলায় পূর্ব ইউক্রেনের শিল্পাঞ্চল দনবাস পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি রুশ সেনারা এই শিল্প অঞ্চলটিকে হামলার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করায় দনবাস রীতিমতো নরকে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এমনটাই দাবি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। খবর রয়টার্সের।
জেলেনস্কি তার ভাষণে বলেন, দখলকারীরা আরো বেশি চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে। তাতে জায়গাটি নরকে পরিণত হয়েছে। এটি কোনো অতিরঞ্জন নয়।
তিনি আরও বলেন, ওডেসা অঞ্চল-সহ মধ্য ইউক্রেনের শহরগুলোতে ক্রমাগত রুশ হামলা চলছে। আর দনবাস সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি বলেন, এটি যতটা সম্ভব ইউক্রেনীয়কে হত্যা করার, যতটা সম্ভব বাড়িঘর, সামাজিক সুবিধা এবং উদ্যোগগুলোকে ধ্বংস করার জন্য ইচ্ছাকৃত এবং অপরাধমূলক প্রচেষ্টা।
প্রায় তিনমাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রাশিয়া। প্রাথমিকভাবে রুশ সেনারা প্রায় পুরো ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে হামলা পরিচালনা করছে। তবে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস এলাকা আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই এই অঞ্চলে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে রুশ সেনারা।
মূলত রুশ-ভাষী মানুষকে রক্ষা এবং রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রক্ষার কথা বলে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত দনবাস ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা করছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। আর তাতে রুশ সেনাদের ব্যাপক গোলাবর্ষণে বিধ্বস্ত হচ্ছে ইউক্রেনের এই শিল্প এলাকা।
এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে স্বাভাবিক পরিস্থিতির স্বীকৃতি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুধবার থেকে আবার দূতাবাসের কাজ শুরু করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়ার বিবেকহীন হামলার মুখে ইউক্রেনের মানুষ নিজেদের দেশকে রক্ষা করেছে। ফলে দূতাবাসে আবার মার্কিন পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। তবে আপাতত হাতে গোনা কয়েকজন কূটনীতিক কাজ শুরু করবেন৷ কনসুলার বিভাগ এখনো খোলা হবে না। ব্রিজেট ব্রিংক নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মার্কিন সেনেটের অনুমোদন পেয়েছেন। উল্লেখ্য, ক্যানাডা, ব্রিটেন ও অন্যান্য কয়েকটি দেশও সম্প্রতি কিয়েভে দূতাবাস আবার খুলেছে।
ইউক্রেনের একটা বড় অংশে পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক হলেও চলমান যুদ্ধের ফলে সে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। শ্রমিক ও কর্মীরাও যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য হওয়ায় কৃষিকাজ ও উৎপাদন কমে গেছে৷ ফলে বাজেট সংকট দেখা দিচ্ছে।
এ অবস্থায় ইউক্রেনকে সহায়তা করতে বৈঠকে বসছেন জি-সেভেন অর্থমন্ত্রীরা। জার্মানির ক্যোনিগসভিন্টার শহরে বৃহস্পতিবার তারা আরও ব্যাপক উদ্যোগ নিতে চান। মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, এখনো পর্যন্ত ইউক্রেনকে যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে, তা এমনকি স্বল্পমেয়াদী ভিত্তিতেও যথেষ্ট নয়। তিনি অ্যামেরিকার সহযোগীদের উদ্দেশ্যে ইউক্রেনের জন্য আরও আর্থিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
জার্মান অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার ইউক্রেনকে দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচানোর আশ্বাস দিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউিনয়ন ইউক্রেনের জন্য আর্থিক সহায়তা ৯০০ কোটি ইউরো পর্যন্ত বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছে।
ইউক্রেন সংকটের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির উপর চাপ সম্পর্কেও অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানরা আলোচনা করছেন। মূল্যস্ফীতি থেকে শুরু করে মন্দার আশঙ্কা তাদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে। কাঁচামাল সংকটের ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়াও ব্যহত হচ্ছে৷ ফলে চাহিদা সত্ত্বেও যথেষ্ট জোগান সম্ভব হচ্ছে না।