দিরাইয়ে আ.লীগের সম্মেলনে তুমুল সংঘর্ষ, নিহত ১
অনলাইন ডেস্ক
১৫ নভেম্বর, ২০২২, 12:57 AM
দিরাইয়ে আ.লীগের সম্মেলনে তুমুল সংঘর্ষ, নিহত ১
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আজমল হোসেন চৌধুরী ওরফে আরমান (৩৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বিএডিসি মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন স্থলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত আরমান দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের কুলঞ্জ গ্রামের আবদুল হান্নান চৌধুরীর ছেলে। তবে তাদের বর্তমান ঠিকানা দিরাই শহরের হাসপাতাল রোড।
পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই ঘণ্টা পর আবার সম্মলন শুরু হয়।
পুলিশ ও দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়ার নেতৃত্বে সম্মেলন শুরু হলে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মঞ্চের সামনে এসে কেন্দ্রীয় নেতাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা চেয়ার হাতে নিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন। পরে পুলিশ এসে তাদের মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়।
এসময় মঞ্চে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ঢিলের আঘাতে আহত হন আরমানসহ অন্তত ৫০ জন।
আরমানের স্বজনরা জানান, ঢিলের আঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যান আরমান। কিন্তু মানুষের ভিড়ে চিকিৎসা নিতে না পেরে বাসায় চলে যান তিনি। এরপর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এসময় চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান যে তার মৃত্যু হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ বলেন, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। তার মৃত্যু স্বাভবিকভাবে হয়েছে, নাকি সংঘর্ষের কারণে হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক
১৫ নভেম্বর, ২০২২, 12:57 AM
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আজমল হোসেন চৌধুরী ওরফে আরমান (৩৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বিএডিসি মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন স্থলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত আরমান দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের কুলঞ্জ গ্রামের আবদুল হান্নান চৌধুরীর ছেলে। তবে তাদের বর্তমান ঠিকানা দিরাই শহরের হাসপাতাল রোড।
পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই ঘণ্টা পর আবার সম্মলন শুরু হয়।
পুলিশ ও দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়ার নেতৃত্বে সম্মেলন শুরু হলে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মঞ্চের সামনে এসে কেন্দ্রীয় নেতাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা চেয়ার হাতে নিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন। পরে পুলিশ এসে তাদের মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়।
এসময় মঞ্চে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ঢিলের আঘাতে আহত হন আরমানসহ অন্তত ৫০ জন।
আরমানের স্বজনরা জানান, ঢিলের আঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যান আরমান। কিন্তু মানুষের ভিড়ে চিকিৎসা নিতে না পেরে বাসায় চলে যান তিনি। এরপর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এসময় চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান যে তার মৃত্যু হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ বলেন, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। তার মৃত্যু স্বাভবিকভাবে হয়েছে, নাকি সংঘর্ষের কারণে হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।