শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

যুগপৎ আন্দোলনের পথে বিএনপি-গণতন্ত্র মঞ্চ

#
news image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে সংলাপ করেছে বিএনপি। সংলাপে সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলনে একমত হয়েছে দুই দল।

দুই ঘণ্টার সংলাপ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, “এই সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে একটা গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করতে আমরা একযোগে যুগপৎ আন্দোলন করব– এ ব্যাপারে আজকে বৈঠকে আমরা একমত হয়েছি। ইতোমধ্যে এই কাজ আমরা শুরু করেছি।”

মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাত দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব ফখরুল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'এ অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় আন্দোলন হবে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির আন্দোলন। এর মাধ্যমে আমরা একটি গণআন্দোলন গড়ে তুলব। আপাতত সরকার পতনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা হবে। পরে সমমনা দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এ আন্দোলনকে বেগবান করব। জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এদের (আওয়ামী লীগ) পরাজিত করতে সক্ষম হবো।'

বিএনপির মহাসচিব বলেন, 'জনগণের কাছে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ফ্যাসিস্ট সরকার হটানোর আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোর কাছে নির্বাচনের পর একটি জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র মেরামতের সূচনা করা যেতে পারে। এ লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছি। তারই অংশ হিসেবে আজ গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।'

এই সংলাপকে বাংলাদেশের জন্য একটি ‘ঐতিহাসিক দিন’ বর্ণনা করে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, “সারা পৃথিবীর কাছে আজকে বার্তা যাবে যে, বাংলাদেশের জনগণ রাতের অন্ধকারে যারা ভোট চুরি করেছে অনৈতিকভাবে, অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে তাদেরকে সরানোর জন্য বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের সৃষ্টির মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই স্বৈরাচারের শুধু পতন ঘটাবে না, রাষ্ট্র মেরামত করবে, সংস্কার করবে, সংবিধান সংস্কার করবে এবং আন্দোলন ও নির্বাচন দুইটাই একসাথে করবে।”

যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “আমরা আপনাদের সামনে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে যুগপৎভাবে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবার জন্য এখন থেকেই, এরকম করেই… আন্দোলনে থাকব।”

বিএনপির ‘ভিশন-২০২০’ এ বর্ণিত বিভিন্ন প্রস্তাবের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের প্রস্তাবের সাদৃশ্য আছে বলেও মন্তব্য করেন মান্না।

সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর; তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। 

আসম আবদুর রবের ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ নিয়ে মন্তব্যের সূত্র ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “সংলাপে আমরা রাষ্ট্রের পরিবর্তনের যে কথা বলেছি, সেই পরিবর্তনগুলো আমরা আরো বিস্তারিত আলোচনা করে আশা করি একমত হতে পারব।“

আলোচনাকে এগিয়ে নিতে আগামীতে আরও কয়েকটি বৈঠক করা হবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন. “শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাব বলে আমরা নিশ্চিত।”

আন্দোলনকে তরান্বিত করতে লিয়াজোঁ কমিটি গঠন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আপনারা জানেন যে, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে প্রচন্ড রকমের একটা আগ্রহ- উদ্যম সৃষ্টি হয়েছে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতনের লক্ষ্যে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এ বিষয়কে তরান্বিত করার জন্যে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত অগ্রসর হতে একটা লিয়াজোঁ কমিটি আমরা গঠন করব।

“যার মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য, আমাদের দফাগুলো, আমাদের কর্মসূচি, রূপরেখা সবগুলো থাকবে। এই ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, সরকার পতনের লক্ষ্যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে আপাতত যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে পারব... ক্ষমতাসীনদের পরাজিত করতে সক্ষম হব।”

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির বক্তব্যেও উঠে আসে নির্বাচন প্রসঙ্গ।

তিনি বলেন, “এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা কেউ যাব না। আমরা যেটা দাবি করেছি, সেটা হচ্ছে এই সরকারের পদত্যাগ, অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা গুণগত পরিবর্তন সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে।”

 

অনলাইন ডেস্ক

১৬ নভেম্বর, ২০২২,  12:47 AM

news image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে সংলাপ করেছে বিএনপি। সংলাপে সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলনে একমত হয়েছে দুই দল।

দুই ঘণ্টার সংলাপ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, “এই সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে একটা গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করতে আমরা একযোগে যুগপৎ আন্দোলন করব– এ ব্যাপারে আজকে বৈঠকে আমরা একমত হয়েছি। ইতোমধ্যে এই কাজ আমরা শুরু করেছি।”

মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাত দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব ফখরুল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'এ অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় আন্দোলন হবে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির আন্দোলন। এর মাধ্যমে আমরা একটি গণআন্দোলন গড়ে তুলব। আপাতত সরকার পতনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা হবে। পরে সমমনা দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এ আন্দোলনকে বেগবান করব। জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এদের (আওয়ামী লীগ) পরাজিত করতে সক্ষম হবো।'

বিএনপির মহাসচিব বলেন, 'জনগণের কাছে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ফ্যাসিস্ট সরকার হটানোর আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোর কাছে নির্বাচনের পর একটি জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র মেরামতের সূচনা করা যেতে পারে। এ লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছি। তারই অংশ হিসেবে আজ গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।'

এই সংলাপকে বাংলাদেশের জন্য একটি ‘ঐতিহাসিক দিন’ বর্ণনা করে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, “সারা পৃথিবীর কাছে আজকে বার্তা যাবে যে, বাংলাদেশের জনগণ রাতের অন্ধকারে যারা ভোট চুরি করেছে অনৈতিকভাবে, অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে তাদেরকে সরানোর জন্য বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের সৃষ্টির মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই স্বৈরাচারের শুধু পতন ঘটাবে না, রাষ্ট্র মেরামত করবে, সংস্কার করবে, সংবিধান সংস্কার করবে এবং আন্দোলন ও নির্বাচন দুইটাই একসাথে করবে।”

যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “আমরা আপনাদের সামনে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে যুগপৎভাবে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবার জন্য এখন থেকেই, এরকম করেই… আন্দোলনে থাকব।”

বিএনপির ‘ভিশন-২০২০’ এ বর্ণিত বিভিন্ন প্রস্তাবের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের প্রস্তাবের সাদৃশ্য আছে বলেও মন্তব্য করেন মান্না।

সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর; তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। 

আসম আবদুর রবের ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ নিয়ে মন্তব্যের সূত্র ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “সংলাপে আমরা রাষ্ট্রের পরিবর্তনের যে কথা বলেছি, সেই পরিবর্তনগুলো আমরা আরো বিস্তারিত আলোচনা করে আশা করি একমত হতে পারব।“

আলোচনাকে এগিয়ে নিতে আগামীতে আরও কয়েকটি বৈঠক করা হবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন. “শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাব বলে আমরা নিশ্চিত।”

আন্দোলনকে তরান্বিত করতে লিয়াজোঁ কমিটি গঠন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আপনারা জানেন যে, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে প্রচন্ড রকমের একটা আগ্রহ- উদ্যম সৃষ্টি হয়েছে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতনের লক্ষ্যে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এ বিষয়কে তরান্বিত করার জন্যে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত অগ্রসর হতে একটা লিয়াজোঁ কমিটি আমরা গঠন করব।

“যার মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য, আমাদের দফাগুলো, আমাদের কর্মসূচি, রূপরেখা সবগুলো থাকবে। এই ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, সরকার পতনের লক্ষ্যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে আপাতত যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে পারব... ক্ষমতাসীনদের পরাজিত করতে সক্ষম হব।”

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির বক্তব্যেও উঠে আসে নির্বাচন প্রসঙ্গ।

তিনি বলেন, “এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা কেউ যাব না। আমরা যেটা দাবি করেছি, সেটা হচ্ছে এই সরকারের পদত্যাগ, অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা গুণগত পরিবর্তন সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে।”