শিরোনামঃ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল মানবাধিকার সংস্থা চেয়ারম্যান কে প্রাণনাশের হুমকি আদালতে মামলা জাতিসংঘে নারী সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন: কৃষি উন্নয়নে নতুন উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার

ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচনের মাধ্যমেই আসতে হবে: কাদের

#
news image

শনিবার (১৯ নভেম্বর) জয়দেবপুরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ি মাঠে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনও তারা (বিএনপি নেতারা) ক্ষমতার রঙিন খোয়াব দেখছে। খোয়াব দেখুন, আপত্তি নেই। ক্ষমতার পরিবর্তন হতে হলে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের সুযোগ নেই। দুনিয়ার সব দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে হবে। শেখ হাসিনা সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বিএনপি এখন বাংলাদেশ নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি আবারও আগুন-সন্ত্রাস শুরু করেছে। কাঁচপুর ব্রিজে শেখ হাসিনার উদ্বোধনী ফলক পুড়িয়ে ফেলেছে। এসব আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। প্রস্তুত হয়ে যান। ভোট চুরি, দুর্নীতি লুটপাট, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। কাদের বলেন, আপনারা (বিএনপি নেতারা) একটা মিছিলও করতে পারেন না। লজ্জা করে না। শেখ হাসিনা দয়া করে আপনাদের দণ্ডিত আসামি নেত্রীকে বাসায় থাকতে দিয়েছেন। এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি শুধু বলে তাদের সমাবেশে জনতার ঢল নেমেছে। গাজীপুরে আসেন ফখরুল ভাই! দেখেন ঢল কাকে বলে।

সিলেটে বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সিলেটে ঢল নেই, সুরমা নদীর ঢল। আর এখানে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গ। সিলেটের সঙ্গে গাজীপুরকে মিলিয়ে দেখুন। এখানে শুধু মহানগর, ওখানে ৫ জেলা। মিলিয়ে দেখুন। যেখানে সমাবেশ, সেখানে সারা দেশ থেকে ৭ দিন আগে থেকেই রওনা দেন। কারণ ওখানে শুধু খাওয়া আর খাওয়া। দেশের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন উন্নয়ন কাকে বলে। পদ্মা সেতু হয়ে গেল নিজের টাকায়। বিএনপির মনে বড় জ্বালা। কালো চশমা পড়ে তারা কিছুই দেখতে পায় না।

এসময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা বিষয়ে কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। খুনিদের পুরস্কৃত করে জিয়া। আর ২১ আগস্টের পরিকল্পনা করে তার ছেলে তারেক রহমান। এর আগে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। নির্বাচনে না এলে বিএনপির অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি-জামায়াত তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। বেগম জিয়া যে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, সেটাও তত্ত্বাবধায়কের আমলে। এরা কত নির্লজ্জ! তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের সব অর্জন নস্যাতের চেষ্টা করছে। এরা রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের শত্রু।

সেন্টার ফর গর্ভনেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) প্রসঙ্গে কামরুল ইসলাম বলেন, এরা বিভিন্ন দূতাবাসকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ করে দিচ্ছে। এরা জিয়া-এরশাদের মতো সরকার চায়। কিন্তু সেটা কখনো হবে না। উপস্থিত নেতাকর্মীদের সব অপশক্তির বিরুদ্ধে দুর্ভেদ্য ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর মহানগর আওয়ামী লীগ শাখার এটিই প্রথম সম্মেলন। এর আগে সবশেষ ২০১৫ সালে গঠিত হয় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি।

অনলাইন ডেস্ক

২০ নভেম্বর, ২০২২,  12:20 AM

news image

শনিবার (১৯ নভেম্বর) জয়দেবপুরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ি মাঠে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনও তারা (বিএনপি নেতারা) ক্ষমতার রঙিন খোয়াব দেখছে। খোয়াব দেখুন, আপত্তি নেই। ক্ষমতার পরিবর্তন হতে হলে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের সুযোগ নেই। দুনিয়ার সব দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে হবে। শেখ হাসিনা সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বিএনপি এখন বাংলাদেশ নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি আবারও আগুন-সন্ত্রাস শুরু করেছে। কাঁচপুর ব্রিজে শেখ হাসিনার উদ্বোধনী ফলক পুড়িয়ে ফেলেছে। এসব আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। প্রস্তুত হয়ে যান। ভোট চুরি, দুর্নীতি লুটপাট, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। কাদের বলেন, আপনারা (বিএনপি নেতারা) একটা মিছিলও করতে পারেন না। লজ্জা করে না। শেখ হাসিনা দয়া করে আপনাদের দণ্ডিত আসামি নেত্রীকে বাসায় থাকতে দিয়েছেন। এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি শুধু বলে তাদের সমাবেশে জনতার ঢল নেমেছে। গাজীপুরে আসেন ফখরুল ভাই! দেখেন ঢল কাকে বলে।

সিলেটে বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সিলেটে ঢল নেই, সুরমা নদীর ঢল। আর এখানে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গ। সিলেটের সঙ্গে গাজীপুরকে মিলিয়ে দেখুন। এখানে শুধু মহানগর, ওখানে ৫ জেলা। মিলিয়ে দেখুন। যেখানে সমাবেশ, সেখানে সারা দেশ থেকে ৭ দিন আগে থেকেই রওনা দেন। কারণ ওখানে শুধু খাওয়া আর খাওয়া। দেশের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন উন্নয়ন কাকে বলে। পদ্মা সেতু হয়ে গেল নিজের টাকায়। বিএনপির মনে বড় জ্বালা। কালো চশমা পড়ে তারা কিছুই দেখতে পায় না।

এসময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা বিষয়ে কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। খুনিদের পুরস্কৃত করে জিয়া। আর ২১ আগস্টের পরিকল্পনা করে তার ছেলে তারেক রহমান। এর আগে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। নির্বাচনে না এলে বিএনপির অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি-জামায়াত তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। বেগম জিয়া যে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, সেটাও তত্ত্বাবধায়কের আমলে। এরা কত নির্লজ্জ! তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের সব অর্জন নস্যাতের চেষ্টা করছে। এরা রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের শত্রু।

সেন্টার ফর গর্ভনেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) প্রসঙ্গে কামরুল ইসলাম বলেন, এরা বিভিন্ন দূতাবাসকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ করে দিচ্ছে। এরা জিয়া-এরশাদের মতো সরকার চায়। কিন্তু সেটা কখনো হবে না। উপস্থিত নেতাকর্মীদের সব অপশক্তির বিরুদ্ধে দুর্ভেদ্য ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর মহানগর আওয়ামী লীগ শাখার এটিই প্রথম সম্মেলন। এর আগে সবশেষ ২০১৫ সালে গঠিত হয় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি।