শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

ঋণ খেলাপির মামলায় ৩৭ কৃষকের জামিন

#
news image

পাবনার ঈশ্বরদীর চাঞ্চল্যকর ঋণ খেলাপি মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ৩৭ জন কৃষককে জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন। কারাগারে থাকা জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- আলম প্রামানিক (৫০), মাহাতাব মন্ডল (৪৫), কিতাব আলী (৫০), হান্নান মিয়া (৪৩), মজনু হোসেন (৪০), আতিয়ার রহমান (৫০), আব্দুল গণি মন্ডল (৫০), শামীম হোসেন (৪৫), সামাদ প্রামানিক (৪৩), নূর বক্স (৪৫), আকরাম হোসেন (৪৬), রজব আলী (৪০)। বাকিরা পালাতক।

গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের দায়ের করা ঋণ খেলাপি মামলায় ৩৭ জন আসামীর মধ্যে ১২ জন কৃষককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। জানা যায়, ২০১৬ সালে ৩৭ জন প্রান্তিক কৃষকের একটি গ্রুপকে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে। ঋণ খেলাপির দায়ে ২০২১ সালে ব্যাংকের পক্ষে তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোজাম্মেল হক মাহমুদ বাদী হয়ে ৩৭ জনের নামে মামলা করেন।

মামলায় আক্রান্ত একাধিক কৃষক ও তাদের পরিবারের দাবি, ঋণ গ্রহণের পর এক বছরের মাথায় অধিকাংশ ঋণগ্রহীতা তাদের ঋণ পরিশোধ করেছেন। তার পাশ বই ও জমা স্লিপও রয়েছে। অথচ সেই অর্থ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জমা না করে আত্মসাৎ করেছেন। ফলে তাদের হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।

আদালত চত্বরে বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ওরফে কুল ময়েজ বলেন, ‘গত বুধবারে যখন এসব কৃষকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় তখন সবাই এলাকায় শীতের রাতে গাজরের ক্ষেতে কাজ করছিলেন। বাড়িতে ও বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। বাকিরা গ্রেপ্তার আতংকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান।’

তিনি আরো বলেন, ‘যেসব কৃষক সকালে ঘুম থেকে উঠে সারাদেশের মানুষের খাদ্য পণ্য উৎপাদনে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন সেই কৃষককে হয়রানি মোটেও কাম্য নয়। অবিলম্বে কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই হয়রানির মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’ মামলায় হয়রানির শিকার কৃষক পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মিডিয়ার অগ্রণী ভূমিকার কারণে আজ তাদের স্বজনেরা আইনী সহায়তা পেলেন। আইনী সহায়তা দেওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপকেও ধন্যবাদ জানান তারা।

বসুন্ধরা গ্রুপের সামাজিক ফোরাম পাবনা শুভ সংঘের উপদেষ্টা প্রবীর কুমার সাহা বলেন, ‘কৃষক হয়রানির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপ কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মামলার ৩৭ জনের জামিন ও গ্রেপ্তার হওয়া ১২ জনকে জামিনে মুক্ত করতে এবং অর্থনৈতিক সব সহায়তা প্রদান করছে বসুন্ধরা গ্রুপ।’

মামলার বাদী বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোজাম্মেল হক মাহমুদ বলেন, ‘কৃষকরা ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলা করা হয়। খেলাপি ঋণ আদায়ে এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আমাদের অফিসিয়ালি ব্যবস্থা নিয়েছি। তারা তাদের আইনগত সহায়তা পেয়েছেন।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান সুমন বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া ১২ জন কৃষককে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। একই সঙ্গে বিচারক বাকি ২৫ জনকেও জামিন দিয়েছেন।’ আসামিদের পক্ষে আদালতে শুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট কাজী সাজ্জাদ ইকবাল লিটন ও অ্যাডভোকেট মইনুল ইসলাম মোহন।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ নভেম্বর, ২০২২,  10:45 PM

news image

পাবনার ঈশ্বরদীর চাঞ্চল্যকর ঋণ খেলাপি মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ৩৭ জন কৃষককে জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন। কারাগারে থাকা জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- আলম প্রামানিক (৫০), মাহাতাব মন্ডল (৪৫), কিতাব আলী (৫০), হান্নান মিয়া (৪৩), মজনু হোসেন (৪০), আতিয়ার রহমান (৫০), আব্দুল গণি মন্ডল (৫০), শামীম হোসেন (৪৫), সামাদ প্রামানিক (৪৩), নূর বক্স (৪৫), আকরাম হোসেন (৪৬), রজব আলী (৪০)। বাকিরা পালাতক।

গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের দায়ের করা ঋণ খেলাপি মামলায় ৩৭ জন আসামীর মধ্যে ১২ জন কৃষককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। জানা যায়, ২০১৬ সালে ৩৭ জন প্রান্তিক কৃষকের একটি গ্রুপকে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে। ঋণ খেলাপির দায়ে ২০২১ সালে ব্যাংকের পক্ষে তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোজাম্মেল হক মাহমুদ বাদী হয়ে ৩৭ জনের নামে মামলা করেন।

মামলায় আক্রান্ত একাধিক কৃষক ও তাদের পরিবারের দাবি, ঋণ গ্রহণের পর এক বছরের মাথায় অধিকাংশ ঋণগ্রহীতা তাদের ঋণ পরিশোধ করেছেন। তার পাশ বই ও জমা স্লিপও রয়েছে। অথচ সেই অর্থ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জমা না করে আত্মসাৎ করেছেন। ফলে তাদের হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।

আদালত চত্বরে বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ওরফে কুল ময়েজ বলেন, ‘গত বুধবারে যখন এসব কৃষকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় তখন সবাই এলাকায় শীতের রাতে গাজরের ক্ষেতে কাজ করছিলেন। বাড়িতে ও বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। বাকিরা গ্রেপ্তার আতংকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান।’

তিনি আরো বলেন, ‘যেসব কৃষক সকালে ঘুম থেকে উঠে সারাদেশের মানুষের খাদ্য পণ্য উৎপাদনে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন সেই কৃষককে হয়রানি মোটেও কাম্য নয়। অবিলম্বে কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই হয়রানির মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’ মামলায় হয়রানির শিকার কৃষক পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মিডিয়ার অগ্রণী ভূমিকার কারণে আজ তাদের স্বজনেরা আইনী সহায়তা পেলেন। আইনী সহায়তা দেওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপকেও ধন্যবাদ জানান তারা।

বসুন্ধরা গ্রুপের সামাজিক ফোরাম পাবনা শুভ সংঘের উপদেষ্টা প্রবীর কুমার সাহা বলেন, ‘কৃষক হয়রানির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপ কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মামলার ৩৭ জনের জামিন ও গ্রেপ্তার হওয়া ১২ জনকে জামিনে মুক্ত করতে এবং অর্থনৈতিক সব সহায়তা প্রদান করছে বসুন্ধরা গ্রুপ।’

মামলার বাদী বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোজাম্মেল হক মাহমুদ বলেন, ‘কৃষকরা ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলা করা হয়। খেলাপি ঋণ আদায়ে এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আমাদের অফিসিয়ালি ব্যবস্থা নিয়েছি। তারা তাদের আইনগত সহায়তা পেয়েছেন।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান সুমন বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া ১২ জন কৃষককে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। একই সঙ্গে বিচারক বাকি ২৫ জনকেও জামিন দিয়েছেন।’ আসামিদের পক্ষে আদালতে শুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট কাজী সাজ্জাদ ইকবাল লিটন ও অ্যাডভোকেট মইনুল ইসলাম মোহন।