শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রুখতে সীমান্তে যৌথ টহল দেবে বিজিবি-বিজিপি

#
news image

‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপতৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার কারণে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। আমরা সীমান্ত সম্মেলনে বিষয়টি নজরে এনেছি। সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপতৎপরতা রোধে যৌথভাবে সীমান্তবর্তী স্থলপথ পর্যবেক্ষণ করবে বিজিবি-বিজিপি।’ 

সীমান্তের স্থলপথে যৌথ ও সমন্বিত টহলের বিষয়ে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

গত ২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে অনুষ্ঠিত ৮ম সীমান্ত সম্মেলন পরবর্তী এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ৪ দিনব্যাপী মিয়ানমারের রাজধানী নেপিতোতে এই সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেন। অপরদিকে ডেপুটি চিফ অব মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের পুলিশ মেজর জেনারেল অং নেইং ঘু- এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, যেসব জায়গায় চোরাচালান, মানবপাচারের ঘটনা বেশি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপতৎপরতা বেশি সেখানে মাইন আছে বলে তারা জানিয়েছে। আমরা বলেছি, সেখানে আমরা যৌথভাবে কাজ করতে চাই। যেখানে ঝুঁকি কম সেখানে যেন মাইন সরিয়ে নেওয়া হয়। এসব বলার পর আমরা দেখব কতটুকু কাজ হচ্ছে। আমরা আপডেট জানব। এই তৎপরতা যদি অব্যাহত থাকলে একটা ইতিবাচক ফলাফল আসবে। 

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন থেকে ইতিবাচক বলা হলেও সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা বিষয় নিয়ে যখন আলোচনা হয়। তখন যিনি বলেছেন তিনি গুরুত্ব সহকারে বলেন। যিনি বিষয়টি শুনেছেন তিনিও কেমনভাবে নিচ্ছেন সেটি বোঝা যায়। আমরা যেসব বিষয়গুলো বলেছি, তারা প্রত্যেকটি জায়গায় অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে শুনেছেন। এসব গ্রহণ করে ইতিবাচক মনোভাব দেখানো আমরা পেয়েছি এবং তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়টা একটা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছে তারা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। এদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, এমন ভিডিও আমরা তাদের দেখিয়েছি। যুব জনগোষ্ঠীকে টেকনিক্যাল শিক্ষা দিয়ে ম্যানপাওয়ারে রূপান্তরিত করছি। যাতে তারা নিজেদের আবাসে ফিরে যাওয়ার পর নিজেদের চালিয়ে নিতে পারে।

বাংলাদেশ অস্থায়ীভাবে তাদের সেল্টার দিয়েছে মানবিক কারণে। এ বিষয়গুলো বলার পরে তারা এটা গ্রহণ করে আলোচনা করে কাজ করার কথা বলেছেন। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও কাজ করছে। আমরা আশা করতেই পারি, তাদের কার্যক্রম চলমান আছে।

প্রভাতী খবর ডেস্ক

২৯ নভেম্বর, ২০২২,  11:57 PM

news image

‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপতৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার কারণে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। আমরা সীমান্ত সম্মেলনে বিষয়টি নজরে এনেছি। সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপতৎপরতা রোধে যৌথভাবে সীমান্তবর্তী স্থলপথ পর্যবেক্ষণ করবে বিজিবি-বিজিপি।’ 

সীমান্তের স্থলপথে যৌথ ও সমন্বিত টহলের বিষয়ে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

গত ২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে অনুষ্ঠিত ৮ম সীমান্ত সম্মেলন পরবর্তী এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ৪ দিনব্যাপী মিয়ানমারের রাজধানী নেপিতোতে এই সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেন। অপরদিকে ডেপুটি চিফ অব মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের পুলিশ মেজর জেনারেল অং নেইং ঘু- এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, যেসব জায়গায় চোরাচালান, মানবপাচারের ঘটনা বেশি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপতৎপরতা বেশি সেখানে মাইন আছে বলে তারা জানিয়েছে। আমরা বলেছি, সেখানে আমরা যৌথভাবে কাজ করতে চাই। যেখানে ঝুঁকি কম সেখানে যেন মাইন সরিয়ে নেওয়া হয়। এসব বলার পর আমরা দেখব কতটুকু কাজ হচ্ছে। আমরা আপডেট জানব। এই তৎপরতা যদি অব্যাহত থাকলে একটা ইতিবাচক ফলাফল আসবে। 

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন থেকে ইতিবাচক বলা হলেও সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা বিষয় নিয়ে যখন আলোচনা হয়। তখন যিনি বলেছেন তিনি গুরুত্ব সহকারে বলেন। যিনি বিষয়টি শুনেছেন তিনিও কেমনভাবে নিচ্ছেন সেটি বোঝা যায়। আমরা যেসব বিষয়গুলো বলেছি, তারা প্রত্যেকটি জায়গায় অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে শুনেছেন। এসব গ্রহণ করে ইতিবাচক মনোভাব দেখানো আমরা পেয়েছি এবং তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়টা একটা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছে তারা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। এদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, এমন ভিডিও আমরা তাদের দেখিয়েছি। যুব জনগোষ্ঠীকে টেকনিক্যাল শিক্ষা দিয়ে ম্যানপাওয়ারে রূপান্তরিত করছি। যাতে তারা নিজেদের আবাসে ফিরে যাওয়ার পর নিজেদের চালিয়ে নিতে পারে।

বাংলাদেশ অস্থায়ীভাবে তাদের সেল্টার দিয়েছে মানবিক কারণে। এ বিষয়গুলো বলার পরে তারা এটা গ্রহণ করে আলোচনা করে কাজ করার কথা বলেছেন। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও কাজ করছে। আমরা আশা করতেই পারি, তাদের কার্যক্রম চলমান আছে।