হেনরি কিসিঞ্জারের ওপর চটেছেন জেলেনস্কি

প্রভাতী খবর ডেস্ক
২৭ মে, ২০২২, 12:12 AM
হেনরি কিসিঞ্জারের ওপর চটেছেন জেলেনস্কি
সামরিক অভিযান শুরুর আগে যেসব এলাকা রাশিয়ার দখলে ছিল সেগুলো বাদ দিয়েই ইউক্রেনকে শান্তি আলোচনা শুরুর করার কথা বলায় সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের ওপর চটেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বুধবার এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, হাজার হাজার রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে আঘাত হানা সত্ত্বেও, হাজার হাজার ইউক্রেনীয়কে হত্যা সত্ত্বেও, বুচা মারিওপোল সত্ত্বেও, শহরগুলো ধ্বংস করা সত্ত্বেও এবং রাশিয়ার বন্দিশালা নির্মাণ এবং সেখানে করা হত্যা নির্যাতন, ধর্ষণ সত্ত্বে একজন আছেন যিনি বলেছেন, ইউক্রেনের কিছু ভূমি রাশিয়াকে দিয়ে দেওয়া উচিত। খবর সিএনএনের।
জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া এসব কিছু করেছে ইউরোপে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মি. কিসিঞ্জার অতীত ফিরিয়ে আনলেন এবং বললেন ইউক্রেনের একটি অংশ রাশিয়াকে দিয়ে দেওয়া উচিত।
এর আগে মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) রাখা বক্তব্যে কিসিঞ্জার বলেন, নিজেদের ভূমির কিছু অংশ ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি মেনে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের শান্তি চুক্তি করা উচিত। রাশিয়াকে ক্ষেপানোর পরিবর্তে অতিসত্তর আলোচনায় বসে যুদ্ধ থামানো জরুরি। পুনরায় রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে ব্যর্থ হলে এবং মস্কোকে অব্যাহতভাবে ক্ষেপালে তা দীর্ঘমেয়াদে ইউরোপের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে বিপর্যয় আনবে।
কিসিঞ্জার বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে আলোচনা শুরু করতে হবে। না হয় যে তোলপাড় ও উত্তেজনা সৃষ্টি হবে সেটা সহজে কাটিয়ে ওঠা যাবে না।
কিসিঞ্জারের এই বক্তব্যকে জেলেনস্কি ১৯৩৮ সালের জার্মানির নাৎসি তুষ্টির সঙ্গে তুলনা করেন। কিসিঞ্জারের উদ্দেশে জেলনস্কি বলেন, এই মহান ভূ-রাজনীতিক কখনো সাধারণ মানুষকে দেখেন না। সাধারণ ইউক্রেনীয়কে। সত্যিকারভাবে ওই ভূমিতে বাস করা লাখ লাখ মানুষকে শান্তির বিভ্রমের বিনিময়ে দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সেনাদের বিচারের মুখোমুখি করার আগে কিয়েভের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত হবে ‘অপরিপক্ক’।
রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুদেনকো এ কথা বলেন। খবর বিবিসির।
রুশ সংবাদমাধ্যম ইন্টারফেক্সকে তিনি বলেন, আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সেনাদের ‘যথাযথভাবে দোষী সাব্যস্ত ও দণ্ডিত’ করার পর মস্কো কিয়েভের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি বিবেচনা করবে।
এর আগে, বন্দি বিনিময় নিয়ে সব ধরনের আলোচনা হবে ‘অপরিণত’, যোগ করেন তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার রাতে বলেছিলেন, কিয়েভ বন্দি বিনিময়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এর পর তিনি আন্তর্জাতিক মিত্রদের প্রতি অনুরোধ জানান, যেন এ বিষয়ে মস্কোকে চাপ দেওয়া হয়।
জেলেনস্কির এ বক্তব্যের পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে এর জবাব এলো।
বন্দরনগরী মারিওপোলের আজভস্টল ইস্পাত কারখানা থেকে আত্মসমর্পণ করা শত শত ইউক্রেনীয় সেনার কপালে কী অপেক্ষা করছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। যাদের রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রভাতী খবর ডেস্ক
২৭ মে, ২০২২, 12:12 AM
সামরিক অভিযান শুরুর আগে যেসব এলাকা রাশিয়ার দখলে ছিল সেগুলো বাদ দিয়েই ইউক্রেনকে শান্তি আলোচনা শুরুর করার কথা বলায় সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের ওপর চটেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বুধবার এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, হাজার হাজার রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে আঘাত হানা সত্ত্বেও, হাজার হাজার ইউক্রেনীয়কে হত্যা সত্ত্বেও, বুচা মারিওপোল সত্ত্বেও, শহরগুলো ধ্বংস করা সত্ত্বেও এবং রাশিয়ার বন্দিশালা নির্মাণ এবং সেখানে করা হত্যা নির্যাতন, ধর্ষণ সত্ত্বে একজন আছেন যিনি বলেছেন, ইউক্রেনের কিছু ভূমি রাশিয়াকে দিয়ে দেওয়া উচিত। খবর সিএনএনের।
জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া এসব কিছু করেছে ইউরোপে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মি. কিসিঞ্জার অতীত ফিরিয়ে আনলেন এবং বললেন ইউক্রেনের একটি অংশ রাশিয়াকে দিয়ে দেওয়া উচিত।
এর আগে মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) রাখা বক্তব্যে কিসিঞ্জার বলেন, নিজেদের ভূমির কিছু অংশ ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি মেনে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের শান্তি চুক্তি করা উচিত। রাশিয়াকে ক্ষেপানোর পরিবর্তে অতিসত্তর আলোচনায় বসে যুদ্ধ থামানো জরুরি। পুনরায় রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে ব্যর্থ হলে এবং মস্কোকে অব্যাহতভাবে ক্ষেপালে তা দীর্ঘমেয়াদে ইউরোপের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে বিপর্যয় আনবে।
কিসিঞ্জার বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে আলোচনা শুরু করতে হবে। না হয় যে তোলপাড় ও উত্তেজনা সৃষ্টি হবে সেটা সহজে কাটিয়ে ওঠা যাবে না।
কিসিঞ্জারের এই বক্তব্যকে জেলেনস্কি ১৯৩৮ সালের জার্মানির নাৎসি তুষ্টির সঙ্গে তুলনা করেন। কিসিঞ্জারের উদ্দেশে জেলনস্কি বলেন, এই মহান ভূ-রাজনীতিক কখনো সাধারণ মানুষকে দেখেন না। সাধারণ ইউক্রেনীয়কে। সত্যিকারভাবে ওই ভূমিতে বাস করা লাখ লাখ মানুষকে শান্তির বিভ্রমের বিনিময়ে দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সেনাদের বিচারের মুখোমুখি করার আগে কিয়েভের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত হবে ‘অপরিপক্ক’।
রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুদেনকো এ কথা বলেন। খবর বিবিসির।
রুশ সংবাদমাধ্যম ইন্টারফেক্সকে তিনি বলেন, আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সেনাদের ‘যথাযথভাবে দোষী সাব্যস্ত ও দণ্ডিত’ করার পর মস্কো কিয়েভের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি বিবেচনা করবে।
এর আগে, বন্দি বিনিময় নিয়ে সব ধরনের আলোচনা হবে ‘অপরিণত’, যোগ করেন তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার রাতে বলেছিলেন, কিয়েভ বন্দি বিনিময়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এর পর তিনি আন্তর্জাতিক মিত্রদের প্রতি অনুরোধ জানান, যেন এ বিষয়ে মস্কোকে চাপ দেওয়া হয়।
জেলেনস্কির এ বক্তব্যের পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে এর জবাব এলো।
বন্দরনগরী মারিওপোলের আজভস্টল ইস্পাত কারখানা থেকে আত্মসমর্পণ করা শত শত ইউক্রেনীয় সেনার কপালে কী অপেক্ষা করছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। যাদের রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।