সিলেটের জঙ্গিরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জুন, ২০২৩, 2:34 PM
সিলেটের জঙ্গিরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে
সিলেটের একই গ্রামে তিন হুজি জঙ্গি। শীর্ষক খবরটি দৈনিক ভোরের পাতা নামক পত্রিকায় গত ২৮ অক্টোবর ২০২২ খ্রি. তারিখে প্রকাশিত হওয়ার অনেক আগেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ ব্যাপারে অবগত ছিল। সে অনুসারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল গত ২৪ অক্টোবর ২০২২ খ্রি. তারিখে উক্ত গ্রামে তদন্তে গিয়ে দুই জঙ্গি (আবুল খায়ের জামালী ও জুবায়ের আহমেদ) কে স্বশরীরে পেলেও এক জঙ্গি (হুমায়ুন কবির) পলাতক ছিল। জঙ্গি দুইজনকে তাদের বাড়ীতে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্ধ্যাবেলায় তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাজী ফামর্স কিচেনে বসে কোন এক অজানা কারনে বিষয়টি রফাদফা করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঐ দলটি চলে যায়।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উক্ত দলটি চলে যাওয়ার পর জঙ্গি আবুল খায়ের জামালী তার সংগ্রহে থাকা রকেট লাঞ্চার সহ অন্যান্য অস্ত্র ও জঙ্গিপনায় উজ্জীবিত করার বই সমূহ নিরাপদ স্থানে দ্রুত সরিয়ে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বাড়ি থেকে উক্ত জিনিস পত্র হস্তান্তরের সময় তার বাড়ির নিচে উপস্থিত লোকজনের কৌতুহলী কেউ একজন জিজ্ঞেস করেন, বস্তার মধ্যে এসব কি? জবাবে সে জানায়, এসব তার দোকানের পন্য সামগ্রী, যা বাড়িতে মজুদ ছিল। উক্ত জিনিস পত্র পরিবহনের সময় মুল রাস্তা (ঘোষগাও-গোপালগঞ্জ) ব্যতিত অন্য রাস্তা (ঘোষগাও-রনকেলী-খাসিখালের পুল-গোপালগঞ্জ) কে সে নিরাপদ মনে করে। জিনিসপত্র নিয়ে খাসিখালের পুলের উপর পৌছালে, সে পুলের উপর থেকে রকেট লাঞ্চার সহ অন্যান্য সামগ্রী পানিতে ফেলে দেয়।
খাসিখালের পুল সংলগ্ন রনকেলী গোলোপাড় এলাকার শেখ সালেহ আহমদের ছেলে শেখ আলী হোসেন উক্ত খালে মাছ ধরতে নামলে, তার জালে মাছের পরিবর্তে একটি মূল্যবান দ্রব (যা রকেট লাঞ্চার ছিল প্রথমে সে বুঝতে পারেনি) পেয়ে সে মহা আনন্দিত হয়। উক্ত মূল্যবান দ্রব অর্থাৎ রকেট লাঞ্চারটি বিক্রির জন্য সে বিভিন্নভাবে প্রচেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী র্যাব এর নজরে আসলে র্যাব-৯ এর একটি দল রনকেলী গোলোপাড় এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় অবৈধ অত্যাধুনিক রকেট লঞ্চার অ্যামুনেশনসহ শেখ আলী হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রকেট লঞ্চারটি বিপজ্জনক হওয়ায় নিরাপত্তার কারণে আদালতের অনুমতিক্রমে ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশের প্রতিনিধি, স্থানীয় সাংবাদিক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে র্যাব-৯ এর বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড ঘটনাস্থলের পাশের একটি খোলা জায়গায় নিরাপদ স্থানে বিধিমোতাবেক নিরাপদে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। রকেট লাঞ্চার উদ্ধারের বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক সমূহতে গত ২৬-২৯ অক্টোবর, ২০২২ খ্রি. তারিখ সমূহে গোলাপগঞ্জে শক্তিশালী রকেট লঞ্চার উদ্ধার শিরোনামে প্রকাশিত হয়।
অবৈধভাবে রকেট লাঞ্চার সংগ্রহে রাখার অপরাধে তাকে অস্ত্র আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে র্যাব-৯ সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। শেখ আলী হোসেন আইনের আওতায় আসলেও এই অপরাধের মূল হোতা জঙ্গি আবুল খায়ের জামালী এখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরা-ছোয়ার বাইরে রয়েছে ও প্রশাসনের নাকের ডগা অর্থাৎ গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পাশে তার দোকানে আনাগোনা করছে। কথিত আছে যে, জঙ্গিপনায় ব্যবহৃত অর্থের মূল উৎস হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত তার চাচাতো ভাই-আব্দুল মাহফুজ। আব্দুল মাহফুজের আসল নাম মাহফুজ হোসেন। তিনি আব্দুল কাইয়ুমের দ্বিতীয় ছেলে। কোন এক অজ্ঞাত কারণে আসল নাম পরিবর্তন করে আব্দুল মাহফুজ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জুন, ২০২৩, 2:34 PM
সিলেটের একই গ্রামে তিন হুজি জঙ্গি। শীর্ষক খবরটি দৈনিক ভোরের পাতা নামক পত্রিকায় গত ২৮ অক্টোবর ২০২২ খ্রি. তারিখে প্রকাশিত হওয়ার অনেক আগেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ ব্যাপারে অবগত ছিল। সে অনুসারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল গত ২৪ অক্টোবর ২০২২ খ্রি. তারিখে উক্ত গ্রামে তদন্তে গিয়ে দুই জঙ্গি (আবুল খায়ের জামালী ও জুবায়ের আহমেদ) কে স্বশরীরে পেলেও এক জঙ্গি (হুমায়ুন কবির) পলাতক ছিল। জঙ্গি দুইজনকে তাদের বাড়ীতে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্ধ্যাবেলায় তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাজী ফামর্স কিচেনে বসে কোন এক অজানা কারনে বিষয়টি রফাদফা করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঐ দলটি চলে যায়।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উক্ত দলটি চলে যাওয়ার পর জঙ্গি আবুল খায়ের জামালী তার সংগ্রহে থাকা রকেট লাঞ্চার সহ অন্যান্য অস্ত্র ও জঙ্গিপনায় উজ্জীবিত করার বই সমূহ নিরাপদ স্থানে দ্রুত সরিয়ে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বাড়ি থেকে উক্ত জিনিস পত্র হস্তান্তরের সময় তার বাড়ির নিচে উপস্থিত লোকজনের কৌতুহলী কেউ একজন জিজ্ঞেস করেন, বস্তার মধ্যে এসব কি? জবাবে সে জানায়, এসব তার দোকানের পন্য সামগ্রী, যা বাড়িতে মজুদ ছিল। উক্ত জিনিস পত্র পরিবহনের সময় মুল রাস্তা (ঘোষগাও-গোপালগঞ্জ) ব্যতিত অন্য রাস্তা (ঘোষগাও-রনকেলী-খাসিখালের পুল-গোপালগঞ্জ) কে সে নিরাপদ মনে করে। জিনিসপত্র নিয়ে খাসিখালের পুলের উপর পৌছালে, সে পুলের উপর থেকে রকেট লাঞ্চার সহ অন্যান্য সামগ্রী পানিতে ফেলে দেয়।
খাসিখালের পুল সংলগ্ন রনকেলী গোলোপাড় এলাকার শেখ সালেহ আহমদের ছেলে শেখ আলী হোসেন উক্ত খালে মাছ ধরতে নামলে, তার জালে মাছের পরিবর্তে একটি মূল্যবান দ্রব (যা রকেট লাঞ্চার ছিল প্রথমে সে বুঝতে পারেনি) পেয়ে সে মহা আনন্দিত হয়। উক্ত মূল্যবান দ্রব অর্থাৎ রকেট লাঞ্চারটি বিক্রির জন্য সে বিভিন্নভাবে প্রচেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী র্যাব এর নজরে আসলে র্যাব-৯ এর একটি দল রনকেলী গোলোপাড় এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় অবৈধ অত্যাধুনিক রকেট লঞ্চার অ্যামুনেশনসহ শেখ আলী হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রকেট লঞ্চারটি বিপজ্জনক হওয়ায় নিরাপত্তার কারণে আদালতের অনুমতিক্রমে ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশের প্রতিনিধি, স্থানীয় সাংবাদিক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে র্যাব-৯ এর বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড ঘটনাস্থলের পাশের একটি খোলা জায়গায় নিরাপদ স্থানে বিধিমোতাবেক নিরাপদে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। রকেট লাঞ্চার উদ্ধারের বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক সমূহতে গত ২৬-২৯ অক্টোবর, ২০২২ খ্রি. তারিখ সমূহে গোলাপগঞ্জে শক্তিশালী রকেট লঞ্চার উদ্ধার শিরোনামে প্রকাশিত হয়।
অবৈধভাবে রকেট লাঞ্চার সংগ্রহে রাখার অপরাধে তাকে অস্ত্র আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে র্যাব-৯ সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। শেখ আলী হোসেন আইনের আওতায় আসলেও এই অপরাধের মূল হোতা জঙ্গি আবুল খায়ের জামালী এখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরা-ছোয়ার বাইরে রয়েছে ও প্রশাসনের নাকের ডগা অর্থাৎ গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পাশে তার দোকানে আনাগোনা করছে। কথিত আছে যে, জঙ্গিপনায় ব্যবহৃত অর্থের মূল উৎস হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত তার চাচাতো ভাই-আব্দুল মাহফুজ। আব্দুল মাহফুজের আসল নাম মাহফুজ হোসেন। তিনি আব্দুল কাইয়ুমের দ্বিতীয় ছেলে। কোন এক অজ্ঞাত কারণে আসল নাম পরিবর্তন করে আব্দুল মাহফুজ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।