ইডিসিএল গিলে খাচ্ছে জগলুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, 2:36 PM
ইডিসিএল গিলে খাচ্ছে জগলুল
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও স্বাচিপের নেতা প্রতিষ্ঠানটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবীর জগলুল ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে দুই বছরের চুক্তিতে এসে পার করলেন ১০ বছর।
সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। এখানকার কর্মকর্তাদের চাকরির বয়স শেষ হলেও তাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয় না। বারবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে বাড়তে থাকে চাকরির বয়সসীমা। এতে এই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যান।প্রয়োজন ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে দ্বিগুণ জনবল নিয়োগ দিয়ে বাণিজ্যও করেছেন তারা। দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় তৈরি করেন এখানকার কর্মকর্তারা। এ ছড়াও সরকারি ঔষুধ তৈরির কাঁচামাল ক্রয় করে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। নিম্মমানের কাঁচামাল ব্যবহার করায় কাজ হয় না দরকারি ওষুধে। সম্প্রতি অবসরে যাওয়া কর্মকর্তারাও বনে গেছেন আঙ্গুর ফুলে কলা গাছ। অবসরে গিয়েও বহাল তবিয়তে আছেন, এখনো নিয়ন্ত্রণ করছেন এই প্রতিষ্ঠান।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সরকারি ঔষুধ প্রস্তুতকারী ইডিসিএল প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায়ই দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়। এখানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে বারবার কর্মকর্তাদের মেয়াদ বাড়তে থাকে। যার ফলে এখানকার কর্মকর্তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এ প্রতিষ্ঠানে ছয় হাজারের বেশি মানুষ কাজ করেন। তাদের সিংহভাগ কর্মকর্তা। জনবল নিয়োগের মাধম্যে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করেন তারা।
তিনি দুইবার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের মনোনয়ন কেনেন। এই দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ নেতা আছেন বহাল তবিয়তে। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করছেন তিনি।দুদকে ৪৭৭ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে। হাইকোর্টে রিট হলে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় দুনীতি দমন কমিশনকে। কিন্ত তদন্ত কর্মকর্তাদের লোক নিয়োগ দিয়ে ম্যানেজ করে তদন্ত রিপোর্ট নিজের অনুকূলে নেন। তিনি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর প্রায় তিন হাজার লোক নিয়োগ করেন, যার মধ্যে বেশির ভাগই লক্ষ্মীপুর ও গোপালগঞ্জের। পাঁচ লাখ থেকে শুরু করে ২০ লাখ পর্যন্ত টাকা নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, টেন্ডার বাণিজ্যে জড়িত সিন্ডিকেটের মধ্যে অন্যতম হলেন এমডির এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা রিপন পন্ডিত, হিসাব শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, কম্পানি সচিব ও অর্থ পরিচালক মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এফ সি এম এ, উপমহাব্যবস্থাপক ভান্ডার বিভাগ আব্দুল কাইয়ুম খান পাঠান, সৈয়দ জহির উদ্দিন জামাল মহাব্যবস্থাপক পকিউরমেন্ট, মোহাম্মদ শওকত আলী উপমহাব্যবস্থাপক পকিউরমেন্ট, এমডির এপিএস মো. শামীম, হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন, প্রশাসন বিভাগের উপব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান, প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, প্রশাসন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আহসান রেজা, প্রকিউর ম্যান বিভাগের কর্মকর্তা মিজান ও জুয়েল, মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ইসমাইল ও মোহাম্মদ জহির, উপব্যবস্থাপক মান নিয়ন্ত্রণ।
শুধু ব্যবস্থাপনা পরিচালক নয়, এখানের প্রায় সিনিয়র কর্মকর্তাগণ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। ইডিসিএলের হিসাব বিভাগের সচিব খুরশিদ আলম ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর যোগদান করেন। ২০২৩ সালের ৩১ মে ৫৯ বছর হওয়ায় অব অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি বিভিন্ন লবিইংয়ের মাধ্যেমে এমডির অনুমতিতে ফের এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান, যা ৩১ মে ২০১৪ তারিখ শেষ হয় এবং আবারও চুক্তির জন্য টাকা দিয়ে ম্যনেজ করে চুক্তির মেয়াদ বাডানোর জন্য জোর চেষ্টা করছেন।
ইডিসিএলের এক সূত্র জানান, খুরশিদ আলম এই প্রতিষ্ঠানে মাত্র তিন বছর। তাকে প্রতিষ্ঠানে ডিএমডি হিসেবে ডাকা হয়। তিনি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন। ক্ষমতার দাপটে বাড়তি বেতন ও অন্যান্য সুবিধা নেন এবং তিনি প্রায় ৩০০ লোক নিয়োগ করেছেন, যাদের একেকজন থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। এ ছাড়াও দুর্নীতির মাধ্যেমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে গাড়ি, বাড়ি, স্ত্রী-ছেলে-মেয়ের নামে জমি কিনেছেন। যেহেতু তিনি ক্রয় ও নিয়োগ কমিটির সদস্য তাই নিয়োগ, পদোন্নতি, ক্রয়, সব কিছুই তিনি পরিচালনা করে থাকেন। তার রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট বাহিনী তিনি নিজস্ব সাপ্লাইয়ার দ্বারা ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর গাড়ি কিনেছেন, বসিলায় ৩৫০০ বর্গফুটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন, এনবিআর কর্তৃক তার একাউন্ট প্রিজ করা হয়েছে। এমডির পিএস উপব্যবস্থাপক প্রশাসন মো. মনিরুজ্জামান জাল সনদের মাধ্যমে তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। জাল সনদধারী অনেকেরই চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হলেও এই মনিরুজ্জামান আছেন বহাল তবিয়তে। বর্তমানে তিনি আছেন এমডির পিএস ওয়ান হিসেবে তিনি যেহেতু এমডির খুব কাছাকাছি তাই তিনি নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি সব কিছু করে থাকেন। ইতিমধ্যে তিনি ১০০ জন লোক নিয়োগ করেছেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। তার শ্বশুরেরদিকের আত্মীয় দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি এখানে দাপটে নিয়োগ-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সরকার পতনের পর বর্তমান এমডি ওই ৬০ জন কর্মী পুনরায় নিয়োগের জন্য নির্দেশ দেন যার বিনিময়ে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা লেনদেন সম্পন্ন হয়।
এমডিকে দুর্নীতি থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য তার আত্মীয়কে ব্যবহার করেছেন আর এমডি এই জন্য তাকে স্টোর থেকে তার পিএস হিসেবে নিয়োগ করেছেন। এমডির এপিএস শামীম তার পদবী হচ্ছে সহকারী কর্মকর্তা তার বাড়িতে রয়েছে ডুপ্লেক্স বাড়ি, শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক জমি ও অ্যাপার্টমেন্ট কিনা রয়েছে এবং তিনি ৫০০ লোক নিয়োগ দিয়েছেন। লোক প্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে নিয়েছেন। দুদক থেকে নোটিশ ও তদন্ত এসেছিল কিন্তু সে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে সে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার মালিক। ভান্ডার বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক আব্দুল কাইয়ুম খান পাঠান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ডক্টর সিরাজুল ইসলাম থাকাকালীন ১৬৭ জন জনবল নিয়োগ তার রুমে বসেই সম্পন্ন হয়েছে। যার বিনিময়ে ৫ থেকে ১৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়। বর্তমান এমডি ২০২৪ সালের হজে পালন করতে গেলে খুরশিদ আলম এফসিএমে, অর্থপরিচালক এমডির দায়িত্বে পালন করেন এবং তখন তিনি গজিএম প্রশাসন রেজা, পিএস শামিম, উপব্যবস্থাপক প্রশাসন মো. মনিরুজ্জামান সহসিন্ডিকেট ৬০ জন সিকিউরিটি গাড ও ক্লিনার নিয়োগ কার্য সম্পাদন করেন। বর্তমান এমডি হজ থেকে এসে তার অনুমতি বাকি রেখে এই কাজ সম্পাদনের জন্য তাদের নিয়োগ বাতিল করেন। যার প্রক্রিয়া চলমান।
ইডিসিএলের প্রকিউরমেন্ট বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. শওকত আলীকে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বরে অবসারে পাঠানো হলেও ক্ষমতার পেশিশক্তি দিয়ে তিনি বর্তমানেও কর্মরত রয়েছেন এবং বেতন ও অন্যন্য সুবিধা বহন করছেন। একই বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ জহির উদ্দিন জামালেরও চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের মার্চ মাসে কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত তার দায়িত্বে অটল রয়েছেন। এ ছাড়াও উপমহাব্যবস্থাপক কাইয়ুম খানকে গত বছরের ৭ জানুয়ারি অবসরে পাঠানো হলেও তিনি এখনো চলতি দায়িত্বে রয়েছেন। এরা সবাই প্রতিষ্ঠানটিতে ক্ষমতাবলে এখনো বসে আছেন। জনবল নিয়োগ, ঔষুধের কাঁচামাল, বিভিন্ন মেশিনারি ক্রয় ও বার বার প্রতিষ্ঠানের খরচে বিদেশ ভ্রমণ করেন তারা। দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।
বর্তমানে যে কয়টি প্রতিষ্ঠান থেকে টোল উৎপাদন করা হয় পপুলার ফার্মাসিটিক্যাল, জিসকা ফার্মাসিউটিক্যাল, শরীফ ফার্মাসিটিক্যাল, এপেক্স ফার্মাসিটিক্যাল, এ লাইড ফার্মাসিটিক্যাল, আমিকো ফার্মাসিটিক্যাল, মার্কেটিং বিভাগের উপব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মোহাম্মদ রিয়াদ আরিফিন ম্যানেজার মার্কেটিং বিভাগ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও মোটা অংকের কমিশনের জন্য প্রাইভেট ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিতে ঔষধ উৎপাদন করেন। এতে করে প্রতিষ্ঠানের লাভের চেয়ে ব্যক্তির লাভই বেশি হয়। যার ভাগ এমডি থেকে শুরু করে পুরা সিন্ডিকেট মাঝে বণ্টন করেন। অনেক সময় কোনো পণ্য উৎপাদনের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয় সে চায় তাহলে উক্ত টেন্ডার বাতিল করে নতুন টেন্ডার।
বর্তমানে যত প্রকার কাঁচামাল ক্রয় করা হয় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সকল প্রকার ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রকৃত মূল্য অপেক্ষা বেশি মূল্যে ক্রয় করা হয়। ক্রয় কমিটিতে উত্থাপনের পূর্বেই সরবরাহকারীর সাথে দর কষাকষি করা হয় ও অতিরিক্ত টাকা কিভাবে প্রদান করা হবে চূড়ান্ত হয়। এইভাবে কম্পানির কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করা হচ্ছে।
অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস এর বোর্ড অফ ডিরেক্টর ডক্টর জামাল উদ্দিন তিনি সাবেক জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং দুর্নীতির কারণে সেখান থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকেও দুর্নীতির কারণে বাদ হয় তার পদ-পদবি। ২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী সেনবাগ আসন থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র কেনেন কিন্তু দুর্নীতির কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিন অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগসে ২০০ লোক নিয়োগ দিয়ছেন এবং প্রত্যেকর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা করে নিয়েছেন। তিনি প্রায় ১২ বছর বোর্ডের মেম্বার। অধ্যাপক ডাক্তার ইসমাইল হোসেন অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগসের বোর্ড অফ ডিরেক্টর। তিনি ঢাকা মেডিক্যালের শিক্ষক থাকাকালীন অ্যাসেন্সিয়াল ড্রাগসের বোর্ড অফ দিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি নিয়োগ হন তারপরও অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগসে পরিচালক পদ বহাল তবিয়তে আছেন। মূলত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক পরিচালক থাকার কথা থাকলেও ডাক্তার ইসমাইল হোসেন জোর করে এখানে বোর্ড অফ ডিরেক্টর পদে বহাল থাকেন।
প্রতিবছর অ্যাসেন্সিয়াল ড্রাগস থেকে এক কোটি টাকার ওপর তার নিয়োগ বাণিজ্য থেকে আসে। ৫ তারিখে সরকার পরিবর্তনের পরেও পরিবর্তন হয় না অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগসের দুর্নীতি মনে হয় যেন আরো বেশি দুর্নীতি এখন বেড়েই যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমান এমডি বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে অর্থাৎ তাদেরকে চাকরি পদোন্নতি বাণিজ্যের সুযোগ করে দিয়ে তিনি এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। এমনকি প্রতিদিন নতুন যোগদান অব্যাহত আছে শোনা যায় বগুড়া শাখায় বিএনপি নেতা ফালু ৫ তারিখের পরে বগুড়া অফিসে ২০০ এর উপরে জনবল নিয়োগ দিয়েছেন। এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম নিরবের নাম ভাঙিয়ে ৩০০ জনের ওপরে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চলছে কোটি কোটি টাকা লেনদেন যার ভাগ বিএনপি নেতাদের পকেটে যায় বলে জানা যায়। চুক্তিভিত্তিক যারা রয়েছেন তারা কয়েক দফা চুক্তির পরেও এখন আবার চুক্তি বৃদ্ধির জন্য দৌড় ঝাঁপ দিচ্ছেন যার মাধ্যম বর্তমান এমডি। এবিষয়ে ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবীর জগলুল’ এর সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, 2:36 PM
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও স্বাচিপের নেতা প্রতিষ্ঠানটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবীর জগলুল ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে দুই বছরের চুক্তিতে এসে পার করলেন ১০ বছর।
সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। এখানকার কর্মকর্তাদের চাকরির বয়স শেষ হলেও তাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয় না। বারবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে বাড়তে থাকে চাকরির বয়সসীমা। এতে এই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যান।প্রয়োজন ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে দ্বিগুণ জনবল নিয়োগ দিয়ে বাণিজ্যও করেছেন তারা। দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় তৈরি করেন এখানকার কর্মকর্তারা। এ ছড়াও সরকারি ঔষুধ তৈরির কাঁচামাল ক্রয় করে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। নিম্মমানের কাঁচামাল ব্যবহার করায় কাজ হয় না দরকারি ওষুধে। সম্প্রতি অবসরে যাওয়া কর্মকর্তারাও বনে গেছেন আঙ্গুর ফুলে কলা গাছ। অবসরে গিয়েও বহাল তবিয়তে আছেন, এখনো নিয়ন্ত্রণ করছেন এই প্রতিষ্ঠান।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সরকারি ঔষুধ প্রস্তুতকারী ইডিসিএল প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায়ই দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়। এখানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে বারবার কর্মকর্তাদের মেয়াদ বাড়তে থাকে। যার ফলে এখানকার কর্মকর্তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এ প্রতিষ্ঠানে ছয় হাজারের বেশি মানুষ কাজ করেন। তাদের সিংহভাগ কর্মকর্তা। জনবল নিয়োগের মাধম্যে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করেন তারা।
তিনি দুইবার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের মনোনয়ন কেনেন। এই দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ নেতা আছেন বহাল তবিয়তে। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করছেন তিনি।দুদকে ৪৭৭ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে। হাইকোর্টে রিট হলে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় দুনীতি দমন কমিশনকে। কিন্ত তদন্ত কর্মকর্তাদের লোক নিয়োগ দিয়ে ম্যানেজ করে তদন্ত রিপোর্ট নিজের অনুকূলে নেন। তিনি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর প্রায় তিন হাজার লোক নিয়োগ করেন, যার মধ্যে বেশির ভাগই লক্ষ্মীপুর ও গোপালগঞ্জের। পাঁচ লাখ থেকে শুরু করে ২০ লাখ পর্যন্ত টাকা নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, টেন্ডার বাণিজ্যে জড়িত সিন্ডিকেটের মধ্যে অন্যতম হলেন এমডির এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা রিপন পন্ডিত, হিসাব শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, কম্পানি সচিব ও অর্থ পরিচালক মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এফ সি এম এ, উপমহাব্যবস্থাপক ভান্ডার বিভাগ আব্দুল কাইয়ুম খান পাঠান, সৈয়দ জহির উদ্দিন জামাল মহাব্যবস্থাপক পকিউরমেন্ট, মোহাম্মদ শওকত আলী উপমহাব্যবস্থাপক পকিউরমেন্ট, এমডির এপিএস মো. শামীম, হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন, প্রশাসন বিভাগের উপব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান, প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, প্রশাসন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আহসান রেজা, প্রকিউর ম্যান বিভাগের কর্মকর্তা মিজান ও জুয়েল, মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ইসমাইল ও মোহাম্মদ জহির, উপব্যবস্থাপক মান নিয়ন্ত্রণ।
শুধু ব্যবস্থাপনা পরিচালক নয়, এখানের প্রায় সিনিয়র কর্মকর্তাগণ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। ইডিসিএলের হিসাব বিভাগের সচিব খুরশিদ আলম ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর যোগদান করেন। ২০২৩ সালের ৩১ মে ৫৯ বছর হওয়ায় অব অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি বিভিন্ন লবিইংয়ের মাধ্যেমে এমডির অনুমতিতে ফের এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান, যা ৩১ মে ২০১৪ তারিখ শেষ হয় এবং আবারও চুক্তির জন্য টাকা দিয়ে ম্যনেজ করে চুক্তির মেয়াদ বাডানোর জন্য জোর চেষ্টা করছেন।
ইডিসিএলের এক সূত্র জানান, খুরশিদ আলম এই প্রতিষ্ঠানে মাত্র তিন বছর। তাকে প্রতিষ্ঠানে ডিএমডি হিসেবে ডাকা হয়। তিনি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন। ক্ষমতার দাপটে বাড়তি বেতন ও অন্যান্য সুবিধা নেন এবং তিনি প্রায় ৩০০ লোক নিয়োগ করেছেন, যাদের একেকজন থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। এ ছাড়াও দুর্নীতির মাধ্যেমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে গাড়ি, বাড়ি, স্ত্রী-ছেলে-মেয়ের নামে জমি কিনেছেন। যেহেতু তিনি ক্রয় ও নিয়োগ কমিটির সদস্য তাই নিয়োগ, পদোন্নতি, ক্রয়, সব কিছুই তিনি পরিচালনা করে থাকেন। তার রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট বাহিনী তিনি নিজস্ব সাপ্লাইয়ার দ্বারা ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর গাড়ি কিনেছেন, বসিলায় ৩৫০০ বর্গফুটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন, এনবিআর কর্তৃক তার একাউন্ট প্রিজ করা হয়েছে। এমডির পিএস উপব্যবস্থাপক প্রশাসন মো. মনিরুজ্জামান জাল সনদের মাধ্যমে তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। জাল সনদধারী অনেকেরই চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হলেও এই মনিরুজ্জামান আছেন বহাল তবিয়তে। বর্তমানে তিনি আছেন এমডির পিএস ওয়ান হিসেবে তিনি যেহেতু এমডির খুব কাছাকাছি তাই তিনি নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি সব কিছু করে থাকেন। ইতিমধ্যে তিনি ১০০ জন লোক নিয়োগ করেছেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। তার শ্বশুরেরদিকের আত্মীয় দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি এখানে দাপটে নিয়োগ-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সরকার পতনের পর বর্তমান এমডি ওই ৬০ জন কর্মী পুনরায় নিয়োগের জন্য নির্দেশ দেন যার বিনিময়ে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা লেনদেন সম্পন্ন হয়।
এমডিকে দুর্নীতি থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য তার আত্মীয়কে ব্যবহার করেছেন আর এমডি এই জন্য তাকে স্টোর থেকে তার পিএস হিসেবে নিয়োগ করেছেন। এমডির এপিএস শামীম তার পদবী হচ্ছে সহকারী কর্মকর্তা তার বাড়িতে রয়েছে ডুপ্লেক্স বাড়ি, শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক জমি ও অ্যাপার্টমেন্ট কিনা রয়েছে এবং তিনি ৫০০ লোক নিয়োগ দিয়েছেন। লোক প্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে নিয়েছেন। দুদক থেকে নোটিশ ও তদন্ত এসেছিল কিন্তু সে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে সে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার মালিক। ভান্ডার বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক আব্দুল কাইয়ুম খান পাঠান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ডক্টর সিরাজুল ইসলাম থাকাকালীন ১৬৭ জন জনবল নিয়োগ তার রুমে বসেই সম্পন্ন হয়েছে। যার বিনিময়ে ৫ থেকে ১৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়। বর্তমান এমডি ২০২৪ সালের হজে পালন করতে গেলে খুরশিদ আলম এফসিএমে, অর্থপরিচালক এমডির দায়িত্বে পালন করেন এবং তখন তিনি গজিএম প্রশাসন রেজা, পিএস শামিম, উপব্যবস্থাপক প্রশাসন মো. মনিরুজ্জামান সহসিন্ডিকেট ৬০ জন সিকিউরিটি গাড ও ক্লিনার নিয়োগ কার্য সম্পাদন করেন। বর্তমান এমডি হজ থেকে এসে তার অনুমতি বাকি রেখে এই কাজ সম্পাদনের জন্য তাদের নিয়োগ বাতিল করেন। যার প্রক্রিয়া চলমান।
ইডিসিএলের প্রকিউরমেন্ট বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. শওকত আলীকে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বরে অবসারে পাঠানো হলেও ক্ষমতার পেশিশক্তি দিয়ে তিনি বর্তমানেও কর্মরত রয়েছেন এবং বেতন ও অন্যন্য সুবিধা বহন করছেন। একই বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ জহির উদ্দিন জামালেরও চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের মার্চ মাসে কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত তার দায়িত্বে অটল রয়েছেন। এ ছাড়াও উপমহাব্যবস্থাপক কাইয়ুম খানকে গত বছরের ৭ জানুয়ারি অবসরে পাঠানো হলেও তিনি এখনো চলতি দায়িত্বে রয়েছেন। এরা সবাই প্রতিষ্ঠানটিতে ক্ষমতাবলে এখনো বসে আছেন। জনবল নিয়োগ, ঔষুধের কাঁচামাল, বিভিন্ন মেশিনারি ক্রয় ও বার বার প্রতিষ্ঠানের খরচে বিদেশ ভ্রমণ করেন তারা। দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।
বর্তমানে যে কয়টি প্রতিষ্ঠান থেকে টোল উৎপাদন করা হয় পপুলার ফার্মাসিটিক্যাল, জিসকা ফার্মাসিউটিক্যাল, শরীফ ফার্মাসিটিক্যাল, এপেক্স ফার্মাসিটিক্যাল, এ লাইড ফার্মাসিটিক্যাল, আমিকো ফার্মাসিটিক্যাল, মার্কেটিং বিভাগের উপব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মোহাম্মদ রিয়াদ আরিফিন ম্যানেজার মার্কেটিং বিভাগ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও মোটা অংকের কমিশনের জন্য প্রাইভেট ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিতে ঔষধ উৎপাদন করেন। এতে করে প্রতিষ্ঠানের লাভের চেয়ে ব্যক্তির লাভই বেশি হয়। যার ভাগ এমডি থেকে শুরু করে পুরা সিন্ডিকেট মাঝে বণ্টন করেন। অনেক সময় কোনো পণ্য উৎপাদনের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয় সে চায় তাহলে উক্ত টেন্ডার বাতিল করে নতুন টেন্ডার।
বর্তমানে যত প্রকার কাঁচামাল ক্রয় করা হয় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সকল প্রকার ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রকৃত মূল্য অপেক্ষা বেশি মূল্যে ক্রয় করা হয়। ক্রয় কমিটিতে উত্থাপনের পূর্বেই সরবরাহকারীর সাথে দর কষাকষি করা হয় ও অতিরিক্ত টাকা কিভাবে প্রদান করা হবে চূড়ান্ত হয়। এইভাবে কম্পানির কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করা হচ্ছে।
অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস এর বোর্ড অফ ডিরেক্টর ডক্টর জামাল উদ্দিন তিনি সাবেক জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং দুর্নীতির কারণে সেখান থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকেও দুর্নীতির কারণে বাদ হয় তার পদ-পদবি। ২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী সেনবাগ আসন থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র কেনেন কিন্তু দুর্নীতির কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিন অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগসে ২০০ লোক নিয়োগ দিয়ছেন এবং প্রত্যেকর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা করে নিয়েছেন। তিনি প্রায় ১২ বছর বোর্ডের মেম্বার। অধ্যাপক ডাক্তার ইসমাইল হোসেন অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগসের বোর্ড অফ ডিরেক্টর। তিনি ঢাকা মেডিক্যালের শিক্ষক থাকাকালীন অ্যাসেন্সিয়াল ড্রাগসের বোর্ড অফ দিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি নিয়োগ হন তারপরও অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগসে পরিচালক পদ বহাল তবিয়তে আছেন। মূলত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক পরিচালক থাকার কথা থাকলেও ডাক্তার ইসমাইল হোসেন জোর করে এখানে বোর্ড অফ ডিরেক্টর পদে বহাল থাকেন।
প্রতিবছর অ্যাসেন্সিয়াল ড্রাগস থেকে এক কোটি টাকার ওপর তার নিয়োগ বাণিজ্য থেকে আসে। ৫ তারিখে সরকার পরিবর্তনের পরেও পরিবর্তন হয় না অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগসের দুর্নীতি মনে হয় যেন আরো বেশি দুর্নীতি এখন বেড়েই যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমান এমডি বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে অর্থাৎ তাদেরকে চাকরি পদোন্নতি বাণিজ্যের সুযোগ করে দিয়ে তিনি এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। এমনকি প্রতিদিন নতুন যোগদান অব্যাহত আছে শোনা যায় বগুড়া শাখায় বিএনপি নেতা ফালু ৫ তারিখের পরে বগুড়া অফিসে ২০০ এর উপরে জনবল নিয়োগ দিয়েছেন। এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম নিরবের নাম ভাঙিয়ে ৩০০ জনের ওপরে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চলছে কোটি কোটি টাকা লেনদেন যার ভাগ বিএনপি নেতাদের পকেটে যায় বলে জানা যায়। চুক্তিভিত্তিক যারা রয়েছেন তারা কয়েক দফা চুক্তির পরেও এখন আবার চুক্তি বৃদ্ধির জন্য দৌড় ঝাঁপ দিচ্ছেন যার মাধ্যম বর্তমান এমডি। এবিষয়ে ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবীর জগলুল’ এর সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।