শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

বোরো ধান উঠছে কিন্তু চালের দাম বাড়ছে

#
news image

সামনে নির্বাচন, তাই সরকার চালের দাম বাড়তে দেবে না, বলে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদ এ মাসের মাঝামাঝি এক মত বিনিময় সভায় ঘোষণা দিলেও বাস্তবে চালের দাম বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে। মন্ত্রীর এ ঘোষণা দেওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই পাইকারি বাজারে চাল ধরন ভেদে কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। ফলে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। যদিও খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীদের চাল আগের কেনা। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ১ থেকে ২টাকা। সাধারনত বোরো মৌসুম শুরু হলে চালের দাম অনেকটাই কমে যায়। মানুষ স্বস্তি পায়। বোরোতে দেশের মোট চালের প্রায় ৫৫ শতাংশ উৎপাদিত হয়। বিপুল সরবরাহের কারণে দাম কমে যায়। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে বিপরীত চিত্র। নতুন চাল বাজারে আসার ফলে যেখানে চালের দাম কমার কথা, সেখানে দেখা যাচ্ছে চালের দাম উর্ধ্বমূখী। 
এবার বোরো মৌসুমের শুরুতে হাওড়ে আগাম পানি এসে কিছু ধান নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া ঘুর্নিঝড় অশনির কারণে সারা দেশে ব্যাপক বৃষ্টিপাত পাকা ধানের ক্ষতি করেছে। ওদিকে রাশিয়া- ইউক্রেন ও ভারত থেকে বিশ^বাজারে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গমের দাম বাড়ছে। যার প্রভাব বাংলাদেশের বাজারেও পড়ছে। আর বিশ^বাজারে চালের দাম বাড়ছে। সব পরিস্থিতি বিবেচনা করলেও দেশে ধান উৎপাদন বেড়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, বোরো ধানের ৬২ শতাংশ ইতোমধ্যে কাটা হয়ে গেছে। এ ধান চালে রুপান্তর করলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কাছে সোয়া কোটি টন চাল আছে। হাওড়ে আগাম পানি এসে যাওয়া ও অতিবৃষ্টির কারণে ৮০ হাজার টন চাল নষ্ট হয়েছে। এত কিছুর পরও এবার বোরোতে ২ কোটি ৭ লাখ টনের উপরে চাল উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। 
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) চলতি সপ্তাহের বৈশি^ক দানাদার খাদ্য শষ্য উৎপাদন বিষয়ক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে আগের বছরের তুলনায় এবছর দেড়লাখ টন বেশি উৎপাদিত হবে। চলতি অর্থ বছরে সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৬০ লাখ টন চাল উৎপাদন হবার কথা। এত আশার পরও ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ছে। আসলে ধান ও চাল কিনে রেখে ভবিষ্যতে ভালো মুনাফা করার সুযোগ খুজছেন ব্যবসায়ীরা। উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের কারণে বিদেশ থেকে চাল আমদানির সুযোগ কম থাকায় প্রতিযোগীতার সম্ভাবনা নেই। এ পরিস্থিতিতে অনেক ব্যবসায়ী, চাল কলের মালিক ও সামর্থবান কৃষকরা ধান কিনে রাখতে বিনিয়োগ করছেন। ফলে সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে এবং বাজারে দাম বাড়ছে। 
সরকারের বিভন্ন সুত্রগুলো বলছে, গুদামে যথেষ্ট পরিমান চাল মজুদ আছে। এখন নতুন ধান উঠছে। বাজারে চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নাই। ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে দাম বাড়ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার কথা দায়িত্ববানরা বললেও বাজারে তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। মানুষজনকে বেশি দামেই চাল কিনতে হচ্ছে। করেনার কারণে জনগনের আর্থিক অবস্থা এমনিতেই নাজুক। তারপর বিশ^ বাজারে নিত্যপন্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব এখানেও পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চালের দাম বেড়ে গেলে সাধারন মানুষ নতুন সংকটে পড়ছে। সংকটের সে ভার বহন করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। তাই সরকারের উচিত বাজার স্থিতিশীল রাখতে যা যা করনীয় তা দ্রুততম সময়ে করা।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ মে, ২০২২,  11:37 PM

news image

সামনে নির্বাচন, তাই সরকার চালের দাম বাড়তে দেবে না, বলে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদ এ মাসের মাঝামাঝি এক মত বিনিময় সভায় ঘোষণা দিলেও বাস্তবে চালের দাম বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে। মন্ত্রীর এ ঘোষণা দেওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই পাইকারি বাজারে চাল ধরন ভেদে কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। ফলে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। যদিও খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীদের চাল আগের কেনা। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ১ থেকে ২টাকা। সাধারনত বোরো মৌসুম শুরু হলে চালের দাম অনেকটাই কমে যায়। মানুষ স্বস্তি পায়। বোরোতে দেশের মোট চালের প্রায় ৫৫ শতাংশ উৎপাদিত হয়। বিপুল সরবরাহের কারণে দাম কমে যায়। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে বিপরীত চিত্র। নতুন চাল বাজারে আসার ফলে যেখানে চালের দাম কমার কথা, সেখানে দেখা যাচ্ছে চালের দাম উর্ধ্বমূখী। 
এবার বোরো মৌসুমের শুরুতে হাওড়ে আগাম পানি এসে কিছু ধান নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া ঘুর্নিঝড় অশনির কারণে সারা দেশে ব্যাপক বৃষ্টিপাত পাকা ধানের ক্ষতি করেছে। ওদিকে রাশিয়া- ইউক্রেন ও ভারত থেকে বিশ^বাজারে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গমের দাম বাড়ছে। যার প্রভাব বাংলাদেশের বাজারেও পড়ছে। আর বিশ^বাজারে চালের দাম বাড়ছে। সব পরিস্থিতি বিবেচনা করলেও দেশে ধান উৎপাদন বেড়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, বোরো ধানের ৬২ শতাংশ ইতোমধ্যে কাটা হয়ে গেছে। এ ধান চালে রুপান্তর করলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কাছে সোয়া কোটি টন চাল আছে। হাওড়ে আগাম পানি এসে যাওয়া ও অতিবৃষ্টির কারণে ৮০ হাজার টন চাল নষ্ট হয়েছে। এত কিছুর পরও এবার বোরোতে ২ কোটি ৭ লাখ টনের উপরে চাল উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। 
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) চলতি সপ্তাহের বৈশি^ক দানাদার খাদ্য শষ্য উৎপাদন বিষয়ক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে আগের বছরের তুলনায় এবছর দেড়লাখ টন বেশি উৎপাদিত হবে। চলতি অর্থ বছরে সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৬০ লাখ টন চাল উৎপাদন হবার কথা। এত আশার পরও ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ছে। আসলে ধান ও চাল কিনে রেখে ভবিষ্যতে ভালো মুনাফা করার সুযোগ খুজছেন ব্যবসায়ীরা। উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের কারণে বিদেশ থেকে চাল আমদানির সুযোগ কম থাকায় প্রতিযোগীতার সম্ভাবনা নেই। এ পরিস্থিতিতে অনেক ব্যবসায়ী, চাল কলের মালিক ও সামর্থবান কৃষকরা ধান কিনে রাখতে বিনিয়োগ করছেন। ফলে সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে এবং বাজারে দাম বাড়ছে। 
সরকারের বিভন্ন সুত্রগুলো বলছে, গুদামে যথেষ্ট পরিমান চাল মজুদ আছে। এখন নতুন ধান উঠছে। বাজারে চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নাই। ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে দাম বাড়ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার কথা দায়িত্ববানরা বললেও বাজারে তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। মানুষজনকে বেশি দামেই চাল কিনতে হচ্ছে। করেনার কারণে জনগনের আর্থিক অবস্থা এমনিতেই নাজুক। তারপর বিশ^ বাজারে নিত্যপন্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব এখানেও পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চালের দাম বেড়ে গেলে সাধারন মানুষ নতুন সংকটে পড়ছে। সংকটের সে ভার বহন করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। তাই সরকারের উচিত বাজার স্থিতিশীল রাখতে যা যা করনীয় তা দ্রুততম সময়ে করা।