সিলেটে দুই তরুণের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সাবেক মেয়র কামরানের বাসায় হামলা!

প্রভাতী খবর ডেস্ক:
০৭ এপ্রিল, ২০২২, 8:50 AM

সিলেটে দুই তরুণের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সাবেক মেয়র কামরানের বাসায় হামলা!
দুই তরুণের ঝগড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিলেট নগরের ছড়ারপাড় ও মাছিমপুর এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় ছড়ার পাড় এলাকায় সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মৃত বদরউদ্দিন কমরানের বাসায় হামলা চালায় একটি পক্ষ।
সংঘর্ষ চলাকালে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন। দুই তরুণের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। তবে প্রশ্ন ওঠেছে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাবেক মেয়রের বাসায় হামলা কেন?
কামরানের ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু জানান, আমরা তারাবিহের নামাজে ছিলাম। মারামারির খবর শুনে মসজিদ থেকে বেরিয়েছি- কিন্তু আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের বাসায় হামলা করা হয়েছে। পরে আমি দুইপক্ষকেই নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছি। হামলার সময় বাসার জানালার কাঁচ ও গাড়ির কাঁচ ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া আমার চাচার বাসা ও স্থানীয় ওয়ার্ড আাওয়ামী লীগের সভাপতির বাসায়ও হামলা চালানো হয়েছে।
শিপলু বলেন, আমাদের বাসায় হামলা চালানোর আলাদা কোন কারণ নেই। সংঘর্ষ চলাকালে এলোপাতাড়িভাবে বাসাবাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়। এতে আমাদের বাসাও পড়ে গেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ চলাকালে সাবেক মেয়রসহ কয়েকটি বাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষকালে দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। এবিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইয়াসিন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটেনি। ইট-পাটকেল নিক্ষেপে দুপক্ষের ৮-১০ জন সামান্য আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার নগরের ছড়ারপার এলাকার দুই তরুণের মধ্যে বিবাদ ঘটলে পরে ঘটনাটি কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নগরের ছড়ারপার ও মাছিমপুর এলাকাবাসীর মধ্যে একটি সংঘর্ষ রূপ নেয়। পরে বিষয়টি মীমাংসার দায়িত্ব নেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ। মঙ্গলবার এনিয়ে সালিশি বৈঠকও হয়। এরই মাঝে বুধবার রাত ৮টার দিকে মাছিমপুর এলাকার একদল লোক ছড়ারপাড়ে এসে হামলা চালায়। পরে দুইপক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে।
এদিকে, হামলা ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বাসভবনে ছুটে গেছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট জেলা-মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। সেখানে গিয়ে তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং কামরানের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন।
প্র.খ/ বিপ্লব
প্রভাতী খবর ডেস্ক:
০৭ এপ্রিল, ২০২২, 8:50 AM

দুই তরুণের ঝগড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিলেট নগরের ছড়ারপাড় ও মাছিমপুর এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় ছড়ার পাড় এলাকায় সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মৃত বদরউদ্দিন কমরানের বাসায় হামলা চালায় একটি পক্ষ।
সংঘর্ষ চলাকালে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন। দুই তরুণের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। তবে প্রশ্ন ওঠেছে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাবেক মেয়রের বাসায় হামলা কেন?
কামরানের ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু জানান, আমরা তারাবিহের নামাজে ছিলাম। মারামারির খবর শুনে মসজিদ থেকে বেরিয়েছি- কিন্তু আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের বাসায় হামলা করা হয়েছে। পরে আমি দুইপক্ষকেই নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছি। হামলার সময় বাসার জানালার কাঁচ ও গাড়ির কাঁচ ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া আমার চাচার বাসা ও স্থানীয় ওয়ার্ড আাওয়ামী লীগের সভাপতির বাসায়ও হামলা চালানো হয়েছে।
শিপলু বলেন, আমাদের বাসায় হামলা চালানোর আলাদা কোন কারণ নেই। সংঘর্ষ চলাকালে এলোপাতাড়িভাবে বাসাবাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়। এতে আমাদের বাসাও পড়ে গেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ চলাকালে সাবেক মেয়রসহ কয়েকটি বাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষকালে দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। এবিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইয়াসিন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটেনি। ইট-পাটকেল নিক্ষেপে দুপক্ষের ৮-১০ জন সামান্য আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার নগরের ছড়ারপার এলাকার দুই তরুণের মধ্যে বিবাদ ঘটলে পরে ঘটনাটি কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নগরের ছড়ারপার ও মাছিমপুর এলাকাবাসীর মধ্যে একটি সংঘর্ষ রূপ নেয়। পরে বিষয়টি মীমাংসার দায়িত্ব নেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ। মঙ্গলবার এনিয়ে সালিশি বৈঠকও হয়। এরই মাঝে বুধবার রাত ৮টার দিকে মাছিমপুর এলাকার একদল লোক ছড়ারপাড়ে এসে হামলা চালায়। পরে দুইপক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে।
এদিকে, হামলা ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বাসভবনে ছুটে গেছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট জেলা-মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। সেখানে গিয়ে তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং কামরানের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন।
প্র.খ/ বিপ্লব