করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্তের হার ১০ শতাংশ ছাড়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ জুন, ২০২২, 8:59 PM

করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্তের হার ১০ শতাংশ ছাড়াল
গত কয়েকদিন ধরেই দেশে ধারাবাহিকভাবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দৈনিক রোগী শনাক্তের সংখ্যার পাশাপাশি পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও বাড়ছে। আর সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির মধ্যে এবার মৃত্যুর খবরও এলো গতকাল টানা ২০ দিন পর।
এদিন (সোমবার) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৩ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, এবং শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এনিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ২০০ জনে।
গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮ হাজার ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৮৭। আগের দিন এই হার ছিল ৭ দশমিক ৩৮।
এর আগে দেশে করোনা শনাক্তের হার ১০–এর ওপরে ছিল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১০ দশমিক ২৪। এরপর শনাক্তের হার ধারাবাহিকভাবে কমে ছিল।
গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। টানা ২০দিন পর এ মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনায় মোট মারা যাওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১৩২ জনে। এর আগে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল গত ৩০ মে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫ হাজার ৮৯৯ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে এবং পর্যায়ক্রমে তা শুন্যে নেমে আসে। এর আগে দেশে সর্বশেষ করোনায় মৃত্যু হয়েছিল গত ৩০ মে।
দেশে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগসহ ছয় দফা ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারের করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। গত মঙ্গলবার রাতে ভার্চ্যুয়ালি এক সভায় কমিটি এসব পরামর্শ দেয়।
পরামর্শের মধ্যে আরও রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে আবারও উদ্বুদ্ধ করার জন্য সব গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানানো, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও জনসমাগম বর্জন করতে হবে। ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানে (যেমন মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ জুন, ২০২২, 8:59 PM

গত কয়েকদিন ধরেই দেশে ধারাবাহিকভাবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দৈনিক রোগী শনাক্তের সংখ্যার পাশাপাশি পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও বাড়ছে। আর সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির মধ্যে এবার মৃত্যুর খবরও এলো গতকাল টানা ২০ দিন পর।
এদিন (সোমবার) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৩ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, এবং শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এনিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ২০০ জনে।
গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮ হাজার ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৮৭। আগের দিন এই হার ছিল ৭ দশমিক ৩৮।
এর আগে দেশে করোনা শনাক্তের হার ১০–এর ওপরে ছিল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১০ দশমিক ২৪। এরপর শনাক্তের হার ধারাবাহিকভাবে কমে ছিল।
গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। টানা ২০দিন পর এ মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনায় মোট মারা যাওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১৩২ জনে। এর আগে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল গত ৩০ মে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫ হাজার ৮৯৯ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে এবং পর্যায়ক্রমে তা শুন্যে নেমে আসে। এর আগে দেশে সর্বশেষ করোনায় মৃত্যু হয়েছিল গত ৩০ মে।
দেশে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগসহ ছয় দফা ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারের করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। গত মঙ্গলবার রাতে ভার্চ্যুয়ালি এক সভায় কমিটি এসব পরামর্শ দেয়।
পরামর্শের মধ্যে আরও রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে আবারও উদ্বুদ্ধ করার জন্য সব গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানানো, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও জনসমাগম বর্জন করতে হবে। ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানে (যেমন মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।