শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

সুনীল অর্থনীতি, সুফল পেতে সক্ষমতা বাড়াতে হবে

#
news image

এক যুগ আগে সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে মিয়ানমারের বিপক্ষে এবং নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী সালিসি আদালতে ভারতের বিপরীতে বাংলাদেশের বিজয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র দুটির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সমুদ্রসীমা বিরোধের সুরাহা হয়। বঙ্গোপসাগরে ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে আদালতের রায় অনুযায়ী বাংলাদেশ পেয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার। 
মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটারের মধ্যে ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ লাভ করে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই সমুদ্র বিজয়ের ফল আমরা কতটুকু ঘরে তুলতে পেরেছি? যদি কাঙ্ক্ষিত ফল আমরা ঘরে তুলতে না পারি, তাহলে তো দেশের সমুদ্রসীমায় আহরণযোগ্য বিপুল মৎস্যভাণ্ডার থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ব। ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতির সুফল থেকে আমাদের বঞ্চিত হতে হবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে বর্তমানে তিন থেকে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের কর্মকাণ্ড হচ্ছে সমুদ্র ঘিরে। বিশ্বের ৪৩০ কোটি মানুষের ১৫ শতাংশ আমিষের জোগান দিচ্ছে সমুদ্রের মাছ ও উদ্ভিদ। 
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার আয়তন মোট ৬৬৪ কিলোমিটার, কিন্তু মাছ আহরণ করা হয় মাত্র ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে। তাই মাছের বৈশ্বিক উৎপাদনে বাংলাদেশের হিস্যা মাত্র ২.৬ শতাংশ। বাংলাদেশ মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেছে এবং বর্তমানে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে; কিন্তু সমুদ্রে এখনো কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের পরিমাণ প্রতিবছর বাড়লেও তা আশানুরূপ নয়। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৪ টন সামুদ্রিক মৎস্য আহরিত হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আহরিত হয়েছে ছয় লাখ ২৬ হাজার ৫২৮ টন। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সাত লাখ টনের মতো সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ করা হয়। প্রায় ৫০ লাখ জেলে এই মৎস্য আহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। 
কিন্তু সক্ষমতার অভাবে আমাদের মৎস্যসম্পদ আহরণের পরিমাণ কম। অন্য দেশের জেলেরা কোটি টাকা দামের বোটে আধুনিক জাল নিয়ে সাগরে গেলেও আমাদের জেলেদের ভরসা পুরনো আমলের জাল ও নৌকা। এর ওপর আছে মহাজনের দাদন। আর্থিক সংকট ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে অনেকটাই দূরে থেকে যাচ্ছে সুনীল অর্থনীতির স্বপ্ন। সমুদ্র অর্থনীতির ব্যাপক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে আমাদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। অত্যাধুনিক বোট, নিরাপত্তা সরঞ্জাম, জিপিএস সিস্টেমসহ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। জেলেদের প্রশিক্ষিত করে সক্ষমতা না বাড়ালে সম্ভাবনা কাজে লাগানো  কঠিন হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ জুন, ২০২২,  10:51 PM

news image

এক যুগ আগে সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে মিয়ানমারের বিপক্ষে এবং নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী সালিসি আদালতে ভারতের বিপরীতে বাংলাদেশের বিজয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র দুটির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সমুদ্রসীমা বিরোধের সুরাহা হয়। বঙ্গোপসাগরে ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে আদালতের রায় অনুযায়ী বাংলাদেশ পেয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার। 
মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটারের মধ্যে ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ লাভ করে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই সমুদ্র বিজয়ের ফল আমরা কতটুকু ঘরে তুলতে পেরেছি? যদি কাঙ্ক্ষিত ফল আমরা ঘরে তুলতে না পারি, তাহলে তো দেশের সমুদ্রসীমায় আহরণযোগ্য বিপুল মৎস্যভাণ্ডার থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ব। ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতির সুফল থেকে আমাদের বঞ্চিত হতে হবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে বর্তমানে তিন থেকে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের কর্মকাণ্ড হচ্ছে সমুদ্র ঘিরে। বিশ্বের ৪৩০ কোটি মানুষের ১৫ শতাংশ আমিষের জোগান দিচ্ছে সমুদ্রের মাছ ও উদ্ভিদ। 
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার আয়তন মোট ৬৬৪ কিলোমিটার, কিন্তু মাছ আহরণ করা হয় মাত্র ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে। তাই মাছের বৈশ্বিক উৎপাদনে বাংলাদেশের হিস্যা মাত্র ২.৬ শতাংশ। বাংলাদেশ মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেছে এবং বর্তমানে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে; কিন্তু সমুদ্রে এখনো কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের পরিমাণ প্রতিবছর বাড়লেও তা আশানুরূপ নয়। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৪ টন সামুদ্রিক মৎস্য আহরিত হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আহরিত হয়েছে ছয় লাখ ২৬ হাজার ৫২৮ টন। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সাত লাখ টনের মতো সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ করা হয়। প্রায় ৫০ লাখ জেলে এই মৎস্য আহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। 
কিন্তু সক্ষমতার অভাবে আমাদের মৎস্যসম্পদ আহরণের পরিমাণ কম। অন্য দেশের জেলেরা কোটি টাকা দামের বোটে আধুনিক জাল নিয়ে সাগরে গেলেও আমাদের জেলেদের ভরসা পুরনো আমলের জাল ও নৌকা। এর ওপর আছে মহাজনের দাদন। আর্থিক সংকট ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে অনেকটাই দূরে থেকে যাচ্ছে সুনীল অর্থনীতির স্বপ্ন। সমুদ্র অর্থনীতির ব্যাপক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে আমাদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। অত্যাধুনিক বোট, নিরাপত্তা সরঞ্জাম, জিপিএস সিস্টেমসহ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। জেলেদের প্রশিক্ষিত করে সক্ষমতা না বাড়ালে সম্ভাবনা কাজে লাগানো  কঠিন হবে।