নাম জুসফিকুর রহমান খান জুয়েল এলাকায় পাগল বেশে চলাফেরা, কথা বলে বেশি, দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ সকল এমপি মন্ত্রীদের হাতের মুঠোয় রাখেন তিনি। সে নাকি আগামীদিনে দেশের রাস্ট্রপতি হবেন। এমনটাই বলে বেরায় সর্বএ।

মানুষ তাকে পাগল বলে উরিয়ে দিলেও আসলে কি তিনি পাগল?
সম্প্রতি সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে এই যুবক সম্পর্কে বেরিয়ে এসেছে নানা তথ্য। জুসফিকুর রহমান খান জুয়েল ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা সদর সরকারী পশু হাসপাতাল সংলগ্ন খান বাড়ির মৃত্যু শাহাব উদ্দিন খার ওরফে সাহেব আলী কেরানীর ছেলে ও খুলনার কুখ্যাত খুনী এরশাদ সিকদারের আপন ভাইগ্নে। তিনি এলাকায় লেখাপড়া শেষে ঢাকা শহরে যান কাজের খোঁজে সেখানে নিযুক্ত হয় নানান অপকর্মের পেশায়। বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, সর্বশেষ এই যুবক লিপ্ত হয়েছেন দেশে ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীল নকশা তৈরিতে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা তারেক রহমানের এজেন্টদের তথ্য পাচার করছে এই তরুন। সুইডেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ বিশ্বের নানান দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিএনপি-জামাতের দূর্নীতিগ্রস্ত শীর্ষ নেতার ইন্ধনে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করছে এই যুবক। এর বিনিময়ে প্রতি মাসে পাচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা। জীবিকা নির্বাহের জন্য তার দৃশ্যমান কোন পেশা না থাকলেও ফিটফাট বাবুর মতো চলা ফেরা করেন তিনি। যা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন। পরিবারের স্বজনদের তার সাথে কোনো সখ্যতা নেই। জুসফিক এর আগে ঢাকায় একবার জঙ্গি মামলায় আটক হলেও ছারা পেয়ে এখন নিজ এলাকায় অবস্থান করছে। তার ফেসবুক আইডি খান মোহাম্মদ জুসফিকুর রহমান (Khan Muhommod Jusfiqur Rohman) ও তার নিজস্ব ওয়েব সাইট wsn24.networld special news  নামে ফেইসবুক পাতা তদন্ত করলে দেখা গেছে তিনি বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী, সরাষ্ট্রমন্ত্রী,পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহ বিভিন্ন মন্ত্রী এমপিদের নামে গুজব ছড়িয়েছে এবং গত বছরের ইউপি নির্বাচনে কাঠালিয়া উপজেলার চিহ্নিত এক রাজাকার পরিবারের ইন্ধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস-১, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব (সদ্য প্রমোশন পাওয়া অতিরিক্ত সচিব) খাইরুল ইসলাম মান্নান কে নিয়ে জুসফিক তার ফেইসবুক পাতায় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার সংক্রান্ত গুজব ছড়িয়ে সমালোচনা সৃষ্টি করে। কাঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এমাদুল হক মনির সহ সদর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলরুবা পারভীনের নামেও মিথ্যা তথ্য প্রচারসহ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর এপিএস আতিকুর রহমান রুবেল এর নামে মিথ্যা তথ্য প্রচার ফায়দা লুটের চেষ্টা করছে।
এছাড়াও তিনি জামায়াত ঘেঁষা পালাতক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন,কনক সারোয়ার ও জাওয়াদ সহ আলজাজিরার বিতর্কিত সাংবাদিকদের সাথে সখ্যতা রেখে দেশের তথ্য পাচার করছে। বর্তমানে তিনি কাঠালিয়া উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে সেখানে কর্মকর্তাদের সাংবাদিক পরিচয়ে মিথ্যা তথ্য সংগ্রহ করে সরকারকে বিতর্কিত করতে সেই তথ্য পাঠিয়ে দেয় দেশের বাহিরে।ইতিমধ্যে জুসফিক তার কাজের সহযোগী হিসাবে নিযুক্ত করছে এলাকার অনেক যুবককে।
তিনি প্রতিনিয়ত তার ফেইসবুক আইডি ও পেইজে সরকারের বিরুদ্ধে পোস্ট দেয়। অতি সম্প্রতি দেওয়া কয়েকটি পোস্ট তুলে ধরা হলো ‘‘বাংলাদেশ পুলিশ আওয়ামী লাঠিয়াল বাহিনী’‘মোশতাকের হত্যাকারী রাস্ট্র’ ‘বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীদের ব্যাপক অসন্তোষ তাই সরকারি অফিসে তালা ঝুলানোর হুশিয়ারি’ ‘বাংলাদেশ হিন্দু নির্যাতন’‘একটি কুকুরের মৃত্যু সন্ত্রাসীদের পাগলামি এবং শেখ হাসিনা’ ‘আমার পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধান --- এবার আমার কাশ্মীরের জনগনকে এবং কাশ্মীরকে উদ্ধার করেন।’ ‘ইমরান খান পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী --- তোমাকে সেনাবাহিনী দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলাম। বেয়াদব। আমার আদেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছো তাই বরখাস্ত করলাম’ ‘আমিই হবো বাংলাদেশের আগামী রাস্ট্রপতি ইনশাআল্লাহ’’এরকম সরকার বিরোধী নানান টিকার বার্তা আপডেট দেয় এই জুসফিক। যাহার স্কীন সর্ট প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়াও তিনি আলজাজিরা, বিএনপির বিদেশি এজেন্টদের ফেইক নিউজ পোর্টাল শেয়ার করে ও তাদেরকে সরকার বিরোধী তথ্য প্রেরন করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বর্তমানে তার কাজ হচ্ছে সরকারী অফিসার ও সমাজের গুরুত্ব পুর্ন লোকজনের সম্মানহানিকর তথ্য ফেইসবুক আইডি ও পেইজে প্রচার করা এবং উর্ধতন অফিসে লিখিত অভিযোগ দেয়া। সম্প্রতি কাঠালিয়া সমাজসেবা অফিসার দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ বিভিন্ন দুর্নিতীর অভিযোগ এনে ঝালকাঠি সমাজসেবা ডিডির কাছে লিখত অভিযোগ করলে তদন্তে সব অভিযোগ ভুয়া প্রমানিত হয়।
জুসফিকের বিষয়ে কাঠালিয়া থানার ওসি বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাইনি আমরা অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

প্রখ/ সাদ্দাম