শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

ইসির সংলাপ পাতানো নির্বাচনের নাটক : রব

#
news image

নির্বাচন কমিশনের সংলাপকে পাতানো নির্বাচনের নাটক বলে দাবি করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় অনুষ্ঠিত জেএসডির স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

আ স ম আবদুর রব বলেন, আগামী দ্বাদশ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার প্রশ্নেই জরুরি, অন্যথায় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা চরম ঝুঁকিতে পড়বে। একইসঙ্গে ভূ রাজনীতিতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়বে। 

তিনি বলেন, কর্তৃত্ববাদী দলীয় সরকার ক্ষমতায় রেখে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে না। ফলে সরকারের ‘অধীন ও অধীনস্থ’ থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত ‘রোডম্যাপ’ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের সংলাপ পাতানো নির্বাচনের নাটক।

সভায় এক রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়, বাংলাদেশের বাস্তবতায় নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে দলীয় সরকার তার ‘অধীন’ ও ‘অধীনস্থ’ করে ফেলে, তাই প্রবল ক্ষমতাতন্ত্রের বিপরীতে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা বা আন্তরিকতা দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়।

এতে আরও বলা হয়, বর্তমান সরকারের কাছে নির্বাচন হচ্ছে ক্ষমতা ধরে রাখার উপায়। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে বাংলাদেশ নামে রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এই সরকার ছাড়া অন্য কারো জন্য প্রযোজ্য নয়। বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক চেতনা, বিবেক ও সত্য বিসর্জন দিয়ে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখার প্রতিজ্ঞায় অন্ধ। নির্বাচন মানেই সরকারের অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধতা দেওয়ার নামান্তর। 

এবারও দলীয় সরকার বহাল থাকলে প্রশাসন, পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও সরকার হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করবে। সংবিধান বহির্ভূত অবৈধ ও বেআইনি কাজে দেশ এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতির প্রয়োগ বা কারচুপি, ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা মিডিয়া ক্যু ছাড়া সরকারি দলের জয়লাভের কোনো সম্ভাবনাই নেই। ফলে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সরকার অনিচ্ছুক।

সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে বিদ্যমান নির্বাচন কমিশন সরকারের পাতানো দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করলে তা হবে দেশের জন্য চরম আত্মঘাতী পদক্ষেপ। তাই নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভার কোন মতামত বা অভিমত বিদ্যমান অবস্থায় নির্বাচনী ব্যবস্থায় কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আগামী ২৪ জুলাই নির্বাচন কমিশনের ডাকা সংলাপে জেএসডি অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব এবং কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ জুলাই, ২০২২,  10:32 PM

news image

নির্বাচন কমিশনের সংলাপকে পাতানো নির্বাচনের নাটক বলে দাবি করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় অনুষ্ঠিত জেএসডির স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

আ স ম আবদুর রব বলেন, আগামী দ্বাদশ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার প্রশ্নেই জরুরি, অন্যথায় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা চরম ঝুঁকিতে পড়বে। একইসঙ্গে ভূ রাজনীতিতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়বে। 

তিনি বলেন, কর্তৃত্ববাদী দলীয় সরকার ক্ষমতায় রেখে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে না। ফলে সরকারের ‘অধীন ও অধীনস্থ’ থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত ‘রোডম্যাপ’ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের সংলাপ পাতানো নির্বাচনের নাটক।

সভায় এক রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়, বাংলাদেশের বাস্তবতায় নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে দলীয় সরকার তার ‘অধীন’ ও ‘অধীনস্থ’ করে ফেলে, তাই প্রবল ক্ষমতাতন্ত্রের বিপরীতে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা বা আন্তরিকতা দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়।

এতে আরও বলা হয়, বর্তমান সরকারের কাছে নির্বাচন হচ্ছে ক্ষমতা ধরে রাখার উপায়। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে বাংলাদেশ নামে রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এই সরকার ছাড়া অন্য কারো জন্য প্রযোজ্য নয়। বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক চেতনা, বিবেক ও সত্য বিসর্জন দিয়ে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখার প্রতিজ্ঞায় অন্ধ। নির্বাচন মানেই সরকারের অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধতা দেওয়ার নামান্তর। 

এবারও দলীয় সরকার বহাল থাকলে প্রশাসন, পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও সরকার হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করবে। সংবিধান বহির্ভূত অবৈধ ও বেআইনি কাজে দেশ এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতির প্রয়োগ বা কারচুপি, ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা মিডিয়া ক্যু ছাড়া সরকারি দলের জয়লাভের কোনো সম্ভাবনাই নেই। ফলে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সরকার অনিচ্ছুক।

সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে বিদ্যমান নির্বাচন কমিশন সরকারের পাতানো দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করলে তা হবে দেশের জন্য চরম আত্মঘাতী পদক্ষেপ। তাই নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভার কোন মতামত বা অভিমত বিদ্যমান অবস্থায় নির্বাচনী ব্যবস্থায় কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আগামী ২৪ জুলাই নির্বাচন কমিশনের ডাকা সংলাপে জেএসডি অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব এবং কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।