শিরোনামঃ
প্রভাবশালী দুই ভাইয়ের ছায়ায় জুড়ীতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ জুড়ীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল: নেতৃত্বে জাকিরের পিএস নোমান কে এই প্রতারক নাহিদ,পরিচয় ও তার পেশা কি জুড়ীতে দলীয় বিভাজন সৃষ্টি‌ করছেন‌ যুবদল নেতা নিপার রেজা  তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে সাজুর মোটরসাইকেল শোডাউনে হতাশ নেতাকর্মীরা রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল মানবাধিকার সংস্থা চেয়ারম্যান কে প্রাণনাশের হুমকি আদালতে মামলা জাতিসংঘে নারী সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা

ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত ‘গরিবের ঘোড়া রোগ’: চুন্নু

#
news image

বর্তমান নির্বাচন ক‌মিশন নিরপেক্ষ নয়, বরং এটি আওয়ামী লীগেরই কমিশন- অভিযোগ ক‌রে‌ জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত ‘গরিবের ঘোড়া রোগ’। রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে পল্লীবন্ধু পরিষদের সাথে এক মতবিনিয়ম সভায় চুন্নু্ এসব কথা বলেন। এসময় তিনি ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

জাপা মহাসচিব ব‌লেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন হচ্ছে আওয়ামী লীগের। কমিশনের প্রত্যেককে আমরা চিনি। এরা সবাই আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভালো নিয়োগ, প্রমোশন এবং পোস্টিং পেয়েছেন। এরা সবাই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। নির্বাচন কমিশনের মত সাংবিধানিক পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা ছাড়া তিনি নিয়োগ দিতে পারেন না। তাই, আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরাই নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ পেয়েছেন।

তিনি বলেন, পাকিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশই ইভিএম এ নির্বাচন বন্ধ করেছে। ভারতেও সমালোচনা হচ্ছে ইভিএমে নির্বাচন নিয়ে। ভারতের কংগ্রেস ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে, তারা আর ইভিএমে ভোট করবে না। সারা বিশ্বেই ইভিএম নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। কিন্তু আমাদের নির্বাচন কমিশন প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ইভিএম কিনতে উঠেপড়ে লেগেছে। 

চুন্নু বলেন, ইভিএম’র কোনও দোষ নেই। কিন্তু যারা ইভিএম পরিচালনা করবে তাদের তো দোষ আছে। তাছাড়া, এতে অনেক সময় আঙুলের ছাপ মেলে না। এতে ঝামেলা সৃষ্টি হয়, ভোট গ্রহণে বিলম্ব হয়। দেশের মানুষ এখনও ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। দেশের মানুষ মনে করে, ইভিএম হচ্ছে নীরবে ভোট কারচুপির মেশিন।

মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, সব রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হলো। শাসকদল শুধু ইভিএমে ভোট নেওয়ার পক্ষে কথা বলেছে। সরকারের শরীক কিছু দল বিভিন্ন শর্ত আরোপ করে ইভিএম চেয়েছে। আর, দেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ এর বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। যদি রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের মতামতের গুরুত্ব না থাকে, তাহলে কেন আমাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করলেন? নির্বাচন কমিশনের আচরণ প্রমাণ করে তারা নিরপেক্ষ নয়।

চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন খান, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় জিয়াউর রহমান বিপুল, ফারুক শেঠ, প্রিন্সিপাল মোস্তফা চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, ইঞ্জিনিয়ার তসলিম উদ্দিন প্রমুখ।

অনলাইন ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  11:42 PM

news image

বর্তমান নির্বাচন ক‌মিশন নিরপেক্ষ নয়, বরং এটি আওয়ামী লীগেরই কমিশন- অভিযোগ ক‌রে‌ জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত ‘গরিবের ঘোড়া রোগ’। রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে পল্লীবন্ধু পরিষদের সাথে এক মতবিনিয়ম সভায় চুন্নু্ এসব কথা বলেন। এসময় তিনি ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

জাপা মহাসচিব ব‌লেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন হচ্ছে আওয়ামী লীগের। কমিশনের প্রত্যেককে আমরা চিনি। এরা সবাই আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভালো নিয়োগ, প্রমোশন এবং পোস্টিং পেয়েছেন। এরা সবাই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। নির্বাচন কমিশনের মত সাংবিধানিক পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা ছাড়া তিনি নিয়োগ দিতে পারেন না। তাই, আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরাই নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ পেয়েছেন।

তিনি বলেন, পাকিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশই ইভিএম এ নির্বাচন বন্ধ করেছে। ভারতেও সমালোচনা হচ্ছে ইভিএমে নির্বাচন নিয়ে। ভারতের কংগ্রেস ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে, তারা আর ইভিএমে ভোট করবে না। সারা বিশ্বেই ইভিএম নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। কিন্তু আমাদের নির্বাচন কমিশন প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ইভিএম কিনতে উঠেপড়ে লেগেছে। 

চুন্নু বলেন, ইভিএম’র কোনও দোষ নেই। কিন্তু যারা ইভিএম পরিচালনা করবে তাদের তো দোষ আছে। তাছাড়া, এতে অনেক সময় আঙুলের ছাপ মেলে না। এতে ঝামেলা সৃষ্টি হয়, ভোট গ্রহণে বিলম্ব হয়। দেশের মানুষ এখনও ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। দেশের মানুষ মনে করে, ইভিএম হচ্ছে নীরবে ভোট কারচুপির মেশিন।

মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, সব রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হলো। শাসকদল শুধু ইভিএমে ভোট নেওয়ার পক্ষে কথা বলেছে। সরকারের শরীক কিছু দল বিভিন্ন শর্ত আরোপ করে ইভিএম চেয়েছে। আর, দেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ এর বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। যদি রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের মতামতের গুরুত্ব না থাকে, তাহলে কেন আমাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করলেন? নির্বাচন কমিশনের আচরণ প্রমাণ করে তারা নিরপেক্ষ নয়।

চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন খান, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় জিয়াউর রহমান বিপুল, ফারুক শেঠ, প্রিন্সিপাল মোস্তফা চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, ইঞ্জিনিয়ার তসলিম উদ্দিন প্রমুখ।