শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

বৃহত্তর আন্দোলনের সূচনা ঢাকা থেকেইঃ ফখরুল

#
news image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন,  রাজধানীতে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে চাইছে।

বৃহস্পতিবার দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, জনসভা বানচালের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ‘অনিয়ন্ত্রিত’ মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে যুদ্ধ হবে।

তবে বিএনপি নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি নস্যাৎ করার কোনও অপচেষ্টা দেশের মানুষ কখনই মেনে নেবে না। সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে জনগণ এই সমাবেশ সফল করবে।

তিনি বলেন,  ‘সব বাধা, হামলা ও দমন-পীড়ন সহ্য করে অত্যন্ত দায়িত্বশীলভাবে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিএনপি তার কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু অনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ বানচাল করার ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।’

ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দলের চলমান আন্দোলনের বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকারের সব অপকর্ম নস্যাৎ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের তাদের দাবি তুলে ধরতে এবং ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য সর্বস্তরের জনগণ তাদের সমাবেশে যোগ দেবেন।’

তিনি অভিযোগ করেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে এমন পরিবেশ তৈরি করছে যেন ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় যুদ্ধ হবে। কিন্তু আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি যে এটা আমাদের ১০টি বিভাগীয় সমাবেশের অংশ, যা আমরা আগেই ঘোষণা করেছি এবং ঢাকার সমাবেশটি আমাদের শেষ নির্ধারিত কর্মসূচি।’

ফখরুল বলেন,  ঢাকার সমাবেশ থেকে তাদের দল পরবর্তী কর্মপন্থা ঘোষণা করবে এবং তাদের দাবিগুলো নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাবে। ‘এটা আমাদের চূড়ান্ত সমাবেশ বা আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি নয়। এটা আমাদের সাধারণ ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকে প্রতি মুহূর্তে ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে, এজন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সেই ভয় থেকে তারা সব রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আমাদের হুমকি দিচ্ছে... আপনি কি গুন্ডা না মাফিয়াদের সরকার?  যদি তাই হয়, স্পষ্টভাবে ঘোষণা করুন, এবং তারপরে আমরা আপনাদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচনা করব না।’

১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে হেফাজতের মতো পরিণতি হবে বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মন্তব্যের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফখরুল বলেন, জনগণ এখন সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় সেই দিন আর নেই।

তিনি বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই যে সে সময় তারা (সরকার) হেফাজতের সঙ্গে যা করেছিল তা জনগণের সঙ্গে করতে পারবে না। কারণ জনগণ দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে এবং তারা যেকোনও মূল্যে তাদের দাবি আদায় করবে।’

বিএনপি নেতা আশ্বস্ত করেছেন যে তাদের দল জনগণকে বিপদে ফেলবে এবং তাদের স্বার্থের ক্ষতি করবে এমন কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করবে না। ‘আমরা জনগণের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

ফখরুল বলেন, সরকারের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ এবং ওএমএস চালের জন্য মানুষের দীর্ঘ লাইন প্রমাণ করছে যে প্রধানমন্ত্রীর দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা অমূলক নয়। শুধুমাত্র আ.লীগের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও লুণ্ঠনের কারণে এটা হতে পারে।

তিনি বলেন, সরকার দেশের ব্যাংকিং খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্যাংকে তারল্য সংকট নেই এমন একটি বিবৃতি দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বাধ্য করেছে তারা।

‘যদি তারল্য সংকট না থাকে তাহলে আপনি কেন বিবৃতি দেবেন?  মানুষ ভয় পায় কেন? দেশের অর্থনীতির অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখার সাহসও পায় না। কারণ সেখান থেকে টাকা চুরি হয়ে যেতে পারে।’

অনলাইন ডেস্ক

১৭ নভেম্বর, ২০২২,  11:57 PM

news image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন,  রাজধানীতে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে চাইছে।

বৃহস্পতিবার দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, জনসভা বানচালের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ‘অনিয়ন্ত্রিত’ মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে যুদ্ধ হবে।

তবে বিএনপি নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি নস্যাৎ করার কোনও অপচেষ্টা দেশের মানুষ কখনই মেনে নেবে না। সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে জনগণ এই সমাবেশ সফল করবে।

তিনি বলেন,  ‘সব বাধা, হামলা ও দমন-পীড়ন সহ্য করে অত্যন্ত দায়িত্বশীলভাবে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিএনপি তার কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু অনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ বানচাল করার ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।’

ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দলের চলমান আন্দোলনের বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকারের সব অপকর্ম নস্যাৎ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের তাদের দাবি তুলে ধরতে এবং ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য সর্বস্তরের জনগণ তাদের সমাবেশে যোগ দেবেন।’

তিনি অভিযোগ করেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে এমন পরিবেশ তৈরি করছে যেন ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় যুদ্ধ হবে। কিন্তু আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি যে এটা আমাদের ১০টি বিভাগীয় সমাবেশের অংশ, যা আমরা আগেই ঘোষণা করেছি এবং ঢাকার সমাবেশটি আমাদের শেষ নির্ধারিত কর্মসূচি।’

ফখরুল বলেন,  ঢাকার সমাবেশ থেকে তাদের দল পরবর্তী কর্মপন্থা ঘোষণা করবে এবং তাদের দাবিগুলো নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাবে। ‘এটা আমাদের চূড়ান্ত সমাবেশ বা আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি নয়। এটা আমাদের সাধারণ ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকে প্রতি মুহূর্তে ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে, এজন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সেই ভয় থেকে তারা সব রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আমাদের হুমকি দিচ্ছে... আপনি কি গুন্ডা না মাফিয়াদের সরকার?  যদি তাই হয়, স্পষ্টভাবে ঘোষণা করুন, এবং তারপরে আমরা আপনাদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচনা করব না।’

১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে হেফাজতের মতো পরিণতি হবে বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মন্তব্যের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফখরুল বলেন, জনগণ এখন সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় সেই দিন আর নেই।

তিনি বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই যে সে সময় তারা (সরকার) হেফাজতের সঙ্গে যা করেছিল তা জনগণের সঙ্গে করতে পারবে না। কারণ জনগণ দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে এবং তারা যেকোনও মূল্যে তাদের দাবি আদায় করবে।’

বিএনপি নেতা আশ্বস্ত করেছেন যে তাদের দল জনগণকে বিপদে ফেলবে এবং তাদের স্বার্থের ক্ষতি করবে এমন কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করবে না। ‘আমরা জনগণের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

ফখরুল বলেন, সরকারের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ এবং ওএমএস চালের জন্য মানুষের দীর্ঘ লাইন প্রমাণ করছে যে প্রধানমন্ত্রীর দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা অমূলক নয়। শুধুমাত্র আ.লীগের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও লুণ্ঠনের কারণে এটা হতে পারে।

তিনি বলেন, সরকার দেশের ব্যাংকিং খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্যাংকে তারল্য সংকট নেই এমন একটি বিবৃতি দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বাধ্য করেছে তারা।

‘যদি তারল্য সংকট না থাকে তাহলে আপনি কেন বিবৃতি দেবেন?  মানুষ ভয় পায় কেন? দেশের অর্থনীতির অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখার সাহসও পায় না। কারণ সেখান থেকে টাকা চুরি হয়ে যেতে পারে।’