শিরোনামঃ
ইডিসিএল গিলে খাচ্ছে জগলুল জুড়ীতে ভূয়া রশিদ দিয়ে কুরবানীর পশু বিক্রির অভিযোগ মোমিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নাকচ করায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের বিক্ষোভ মিছিল বর্হিবিশ্বে লন্ডনে স্হাপিত জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ সামন্তলাল সেন সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ বিটিএ’র পক্ষ থেকে নব নিযুক্ত পরিচালককে অভিনন্দন বিকাশ দেওয়ান ছিলেন একজন সফল এমডি জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ কক্সবাজার বঙ্গবন্ধু বীচ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বীচ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল

‘ফুটবল যুদ্ধে’ মন যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের

#
news image

বর্তমান রাজনৈতিক বিশ্বের চরম বৈরী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশ দুটির মধ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজমান। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে যখন বিশ্বকাপ ফুটবলে দুই দেশের স্কোয়াড মুখোমুখি হচ্ছে, তখন সেখানেও এই বৈরিতার ছাপ দৃশ্যমান। তবে দুই দলের কোচ ও খেলোয়াড়দের মনোযোগ কেবল ‘ফুটবল যুদ্ধে’।

দ্বিপাক্ষিক শীতল সম্পর্ককে পাশ কাটিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাই তাদের লক্ষ্য। খেলাধুলা যে দুই শত্রুকেও একই ছায়াতলে আনে, সেটা প্রমাণ করতে উদগ্রীব দুই দল। যদিও এরই মধ্যে ইরানের পতাকা থেকে ‘আল্লাহ’ নাম বাদ দিয়ে টুইট করায় যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল সংস্থার ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে ইরান।

এই ঘটনার জন্য অবশ্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কোচ গ্রেগ বেরহল্টার। সব ধরনের উত্তেজনাকে সরিয়ে রেখে নকআউটে চোখ দুই দলের। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সামনে সহজ সমীকরণ, যে দল জিতবে তারা যাবে শেষ ষোলোতে। আর হেরে যাওয়া দল নেবে বিদায়।

১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে মার্কিনপন্থি শাহ সরকারের পতন হলে শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা। এর ১৯ বছর পর দুই দেশের দেখা হয়েছিল বিশ্বকাপে। রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছিল ওই ম্যাচেও। ‘মাদার অব অল গেমস’ খ্যাতি পাওয়া ওই ম্যাচে ২-১ গোলে যুক্তরাষ্ট্রকে হারায় ইরান।

অবশ্য ম্যাচের আগে দেখা যায় সম্প্রীতির দারুণ দৃষ্টান্ত। মার্কিন প্রতিপক্ষদের হাতে শান্তির প্রতীক সাদা গোলাপ তুলে দিয়েছিলেন ইরানি খেলোয়াড়রা। যদিও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনীর নির্দেশনা মেনে ইরানি খেলোয়াড়রা আমেরিকানদের সঙ্গে আগে হাত মেলাননি। পরে সমঝোতার মাধ্যমে আমেরিকানরাই ইরানি খেলোয়াড়দের দিকে এগিয়ে যায় হাত মেলাতে।

তবে এবার খেলার বাইরের সব গোলযোগ দূরে রাখার প্রত্যয় ইরানের কোচ কার্লোস কুইরোজের কণ্ঠে, ‘আমাদের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা নিশ্চিত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র দল দারুণ, ওয়েলসের বিপক্ষে তারা চমৎকার নৈপুণ্য দেখিয়েছিল। ইরানের ভক্ত-সমর্থকদের জয় উপহার দিতে চাই। তাই খেলার বাইরের সব প্রসঙ্গ মাথা থেকে সরিয়ে রাখছি আমরা।’

‘বি’ গ্রুপে চার পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ইংল্যান্ড। তারা মুখোমুখি হবে টেবিলের সবশেষ দল ওয়েলসের বিপক্ষে। ইরান ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়, আর যুক্তরাষ্ট্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে তিনে। মানে ইরান ড্র করলেও চলবে যদি ওয়েলস ড্র করে কিংবা হারে। কিন্তু শেষ ষোলোতে খেলতে হলে জেতার বিকল্প পথ নেই আমেরিকানদের সামনে।  

প্রভাতী খবর ডেস্ক

২৯ নভেম্বর, ২০২২,  9:51 PM

news image

বর্তমান রাজনৈতিক বিশ্বের চরম বৈরী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশ দুটির মধ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজমান। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে যখন বিশ্বকাপ ফুটবলে দুই দেশের স্কোয়াড মুখোমুখি হচ্ছে, তখন সেখানেও এই বৈরিতার ছাপ দৃশ্যমান। তবে দুই দলের কোচ ও খেলোয়াড়দের মনোযোগ কেবল ‘ফুটবল যুদ্ধে’।

দ্বিপাক্ষিক শীতল সম্পর্ককে পাশ কাটিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাই তাদের লক্ষ্য। খেলাধুলা যে দুই শত্রুকেও একই ছায়াতলে আনে, সেটা প্রমাণ করতে উদগ্রীব দুই দল। যদিও এরই মধ্যে ইরানের পতাকা থেকে ‘আল্লাহ’ নাম বাদ দিয়ে টুইট করায় যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল সংস্থার ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে ইরান।

এই ঘটনার জন্য অবশ্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কোচ গ্রেগ বেরহল্টার। সব ধরনের উত্তেজনাকে সরিয়ে রেখে নকআউটে চোখ দুই দলের। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সামনে সহজ সমীকরণ, যে দল জিতবে তারা যাবে শেষ ষোলোতে। আর হেরে যাওয়া দল নেবে বিদায়।

১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে মার্কিনপন্থি শাহ সরকারের পতন হলে শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা। এর ১৯ বছর পর দুই দেশের দেখা হয়েছিল বিশ্বকাপে। রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছিল ওই ম্যাচেও। ‘মাদার অব অল গেমস’ খ্যাতি পাওয়া ওই ম্যাচে ২-১ গোলে যুক্তরাষ্ট্রকে হারায় ইরান।

অবশ্য ম্যাচের আগে দেখা যায় সম্প্রীতির দারুণ দৃষ্টান্ত। মার্কিন প্রতিপক্ষদের হাতে শান্তির প্রতীক সাদা গোলাপ তুলে দিয়েছিলেন ইরানি খেলোয়াড়রা। যদিও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনীর নির্দেশনা মেনে ইরানি খেলোয়াড়রা আমেরিকানদের সঙ্গে আগে হাত মেলাননি। পরে সমঝোতার মাধ্যমে আমেরিকানরাই ইরানি খেলোয়াড়দের দিকে এগিয়ে যায় হাত মেলাতে।

তবে এবার খেলার বাইরের সব গোলযোগ দূরে রাখার প্রত্যয় ইরানের কোচ কার্লোস কুইরোজের কণ্ঠে, ‘আমাদের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা নিশ্চিত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র দল দারুণ, ওয়েলসের বিপক্ষে তারা চমৎকার নৈপুণ্য দেখিয়েছিল। ইরানের ভক্ত-সমর্থকদের জয় উপহার দিতে চাই। তাই খেলার বাইরের সব প্রসঙ্গ মাথা থেকে সরিয়ে রাখছি আমরা।’

‘বি’ গ্রুপে চার পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ইংল্যান্ড। তারা মুখোমুখি হবে টেবিলের সবশেষ দল ওয়েলসের বিপক্ষে। ইরান ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়, আর যুক্তরাষ্ট্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে তিনে। মানে ইরান ড্র করলেও চলবে যদি ওয়েলস ড্র করে কিংবা হারে। কিন্তু শেষ ষোলোতে খেলতে হলে জেতার বিকল্প পথ নেই আমেরিকানদের সামনে।