হাদিসে বর্ণিত কিছু ঔষধি খাবার
প্রভাতী খবর ডেস্ক
২৯ নভেম্বর, ২০২২, 11:30 PM
হাদিসে বর্ণিত কিছু ঔষধি খাবার
সুস্থতা আল্লাহ প্রদত্ত অমূল্য সম্পদ। মহান আল্লাহ সুস্থ-সবল মুমিনদের পছন্দ করেন। উবাইদুল্লাহ ইবনে মিহসান (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সু্স্থ দেহে দিন শুরু করে, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে নিরাপদে থাকে এবং তার কাছে সারা দিনের খাদ্য মজুদ থাকে, তাহলে যেন পুরো পৃথিবীর সম্পদ তাকে দেওয়া হয়েছে। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৪৬)
এ জন্য মানুষের উচিত সুস্থতা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। অনেক সময় মানুষের অসুস্থতা তৈরি হয় অপুষ্টিকর খাবার থেকে, তাই সুস্থতা ধরে রাখার জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা জরুরি। হাদিস শরিফে এমন অনেক খাবারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, প্রিয় নবী (সা.) যেগুলোকে ঔষধি গুণসম্পন্ন বলেছেন। নিম্নে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো;
আজওয়া খেজুর
মদিনার উত্কৃষ্টতম খেজুর আজওয়া। পবিত্র হাদিস শরিফে এই ফলটিকে জান্নাতের ফল আখ্যায়িত করা হয়েছে। রাসুল (সা.)-এর প্রিয় ফল ছিল খেজুর। এর উপকারিতা অপরিসীম। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালবেলা সাতটি আজওয়া (উত্কৃষ্ট) খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ ও জাদু তার ক্ষতি করবে না। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫৪৪৫)। হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্যও এটি মহা উপকারী ওষুধ। রাসুল (সা.) তাঁর এক সাহাবিকে হৃদরোগের জন্য আজওয়া খেজুরের তৈরি ওষুধ খেতে পরামর্শ দিয়েছেন। সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি অসুস্থ হলে রাসুল (সা.) আমাকে দেখতে আসেন। এ সময় তিনি তাঁর হাত আমার বুকের ওপর রাখলে আমি তাঁর শৈত্য আমার হৃদয়ে অনুভব করি। এরপর তিনি বলেন, তুমি হৃদরোগে আক্রান্ত। কাজেই তুমি সাকিফ গোত্রের অধিবাসী হারিসা ইবনে কালদার কাছে যাও। কেননা সে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। আর সে যেন মদিনার আজওয়া খেজুরের সাতটি খেজুর নিয়ে বিচিসহ চূর্ণ করে তোমার জন্য তা দিয়ে সাতটি বড়ি তৈরি করে দেয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৩৫)
এই হাদিস থেকে আরেকটি জিনিস বোঝা যায়, তা হলো, কোনো ওষুধ গ্রহণ করার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ মহান আল্লাহ তাঁর বহু সৃষ্টিতে ঔষধি গুণ রেখেছেন, তবে রোগভেদে তার প্রয়োগেরও ভিন্ন ভিন্ন পন্থা রেখেছেন, যারা তা নিয়ে গবেষণা করে, তারাই তা জানতে পারেন।
কালোজিরা
বিস্ময়কর এই জিনিসটির প্রশংসা করেছেন খোদ রাসুল (সা.)। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, কালোজিরায় সকল প্রকার রোগের উপশম আছে, তবে ‘আসসাম’ ব্যতীত। আর ‘আসসাম’ হলো মৃত্যু। এর ‘আল হাব্বাতুস সাওদা’ হলো (স্থানীয় ভাষায়) ‘শুনিজ’ (অর্থাৎ কালোজিরা)। (মুসলিম, হাদিস : ৫৬৫৯)
তাই যেকোনো রোগ নিরাময়ে, রোগ থেকে নিরাপদ থেকে অন্যান্য সতর্কতার পাশাপাশি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে কালোজিরা সেবন করা যেতে পারে। আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও কবিরাজি চিকিৎসায় এর ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই যারা এসব চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করেন, তাঁদের কাছে রোগ অনুযায়ী সঠিক ব্যবহারবিধি পাওয়া যাবে। কারণ একেক ধরনের রোগের জন্য কালোজিরার ব্যবহারবিধিও একেক রকম।
জয়তুন
প্রিয় নবী (সা.)-এর পছন্দের ফলগুলোর একটি ছিল জয়তুন। এর তেলও শরীরের জন্য বেশ উপকারী। রাসুল (সা.) তা নিজে ব্যবহার করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকেও ব্যবহার করার তাগিদ দিতেন। হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা (জয়তুনের) তেল খাও এবং তা শরীরে মালিশ করো। কেননা এটি বরকত ও প্রাচুর্যময় গাছের তেল। (তিরমিজি, হাদিস : ১৮৫১)
কোরআনে বর্ণিত ফলগুলোর অন্যতম একটি ফল জলপাই বা জয়তুন। সুরা ত্বিনের প্রথম আয়াতে মহান আল্লাহ যে ফলের কসম খেয়েছেন। সুরা নুরের ২৪ নম্বর আয়াতে তিনি এই ফলের গাছকে আখ্যা দিয়েছেন মুবারক গাছ হিসেবে। রাসুল (সা.)-এর একটি হাদিস থেকেও জানা যায় যে আগের নবীরাও এই বরকতময় গাছের ফল ও তেল ব্যবহার করতেন। মিসওয়াক হিসেবে ব্যবহার করতেন এই গাছের ডালকে। (আল মুজামুল আওসাত)
জমজমের পানি
জমজমের পানি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পানি। পবিত্র জমজম নিয়ে রাসুল (সা.)-এর বহু হাদিস রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পানি হলো জমজমের পানি। তাতে রয়েছে তৃপ্তির খাদ্য ও ব্যাধির আরোগ্য। ’ (আল-মুজামুল আউসাত, হাদিস : ৩৯১২)। রাসুল (সা.) জমজমের পানি ভীষণ পছন্দ করতেন। বেশির ভাগ সময় তিনি জমজমের পানি পান করার চেষ্টা করতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি জমজমের পানি সঙ্গে করে নিয়ে আসতেন, আর বলতেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তা বহন করে আনতেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৩)
মহান আল্লাহ এই পানিতে এতটাই বরকত রেখেছেন যে কেউ (আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে) কোনো উপকার লাভের আশায় এই পানি পান করলে মহান আল্লাহ তাঁর আশা পূরণ করেন। জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলাল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, জমজমের পানি যে উপকার লাভের আশায় পান করা হবে, তা অর্জিত হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩০৬২)
মধু
মধুর ঔষধি গুণ সবারই কম বেশি জানা। মহান আল্লাহ মধুর মধ্যে বহু রোগের আরোগ্য রেখেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তার (মৌমাছির) পেট থেকে নির্গত হয় বিবিধ বর্ণের পানীয়, যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য। অবশ্যই তাতে চিন্তাশীল সমপ্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে। ’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৮-৬৯)
রাসুল (সা.) মধু বেশ পছন্দ করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মিষ্টি ও মধু খুব ভালোবাসতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫২৭০)। এ ছাড়া তিনি অন্যদের বিভিন্ন রোগের জন্য মধু পান করার পরামর্শ দিতেন। মহানবী (সা.)-এর কাছে এক সাহাবি এসে তার ভাইয়ের পেটের অসুখের কথা বললে রাসুল (সা.) তাকে মধু পান করানোর পরামর্শ দেন এবং এতে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। (বুখারি, হাদিস : ৫৩৬০)
প্রভাতী খবর ডেস্ক
২৯ নভেম্বর, ২০২২, 11:30 PM
সুস্থতা আল্লাহ প্রদত্ত অমূল্য সম্পদ। মহান আল্লাহ সুস্থ-সবল মুমিনদের পছন্দ করেন। উবাইদুল্লাহ ইবনে মিহসান (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সু্স্থ দেহে দিন শুরু করে, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে নিরাপদে থাকে এবং তার কাছে সারা দিনের খাদ্য মজুদ থাকে, তাহলে যেন পুরো পৃথিবীর সম্পদ তাকে দেওয়া হয়েছে। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৪৬)
এ জন্য মানুষের উচিত সুস্থতা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। অনেক সময় মানুষের অসুস্থতা তৈরি হয় অপুষ্টিকর খাবার থেকে, তাই সুস্থতা ধরে রাখার জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা জরুরি। হাদিস শরিফে এমন অনেক খাবারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, প্রিয় নবী (সা.) যেগুলোকে ঔষধি গুণসম্পন্ন বলেছেন। নিম্নে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো;
আজওয়া খেজুর
মদিনার উত্কৃষ্টতম খেজুর আজওয়া। পবিত্র হাদিস শরিফে এই ফলটিকে জান্নাতের ফল আখ্যায়িত করা হয়েছে। রাসুল (সা.)-এর প্রিয় ফল ছিল খেজুর। এর উপকারিতা অপরিসীম। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালবেলা সাতটি আজওয়া (উত্কৃষ্ট) খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ ও জাদু তার ক্ষতি করবে না। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫৪৪৫)। হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্যও এটি মহা উপকারী ওষুধ। রাসুল (সা.) তাঁর এক সাহাবিকে হৃদরোগের জন্য আজওয়া খেজুরের তৈরি ওষুধ খেতে পরামর্শ দিয়েছেন। সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি অসুস্থ হলে রাসুল (সা.) আমাকে দেখতে আসেন। এ সময় তিনি তাঁর হাত আমার বুকের ওপর রাখলে আমি তাঁর শৈত্য আমার হৃদয়ে অনুভব করি। এরপর তিনি বলেন, তুমি হৃদরোগে আক্রান্ত। কাজেই তুমি সাকিফ গোত্রের অধিবাসী হারিসা ইবনে কালদার কাছে যাও। কেননা সে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। আর সে যেন মদিনার আজওয়া খেজুরের সাতটি খেজুর নিয়ে বিচিসহ চূর্ণ করে তোমার জন্য তা দিয়ে সাতটি বড়ি তৈরি করে দেয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৩৫)
এই হাদিস থেকে আরেকটি জিনিস বোঝা যায়, তা হলো, কোনো ওষুধ গ্রহণ করার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ মহান আল্লাহ তাঁর বহু সৃষ্টিতে ঔষধি গুণ রেখেছেন, তবে রোগভেদে তার প্রয়োগেরও ভিন্ন ভিন্ন পন্থা রেখেছেন, যারা তা নিয়ে গবেষণা করে, তারাই তা জানতে পারেন।
কালোজিরা
বিস্ময়কর এই জিনিসটির প্রশংসা করেছেন খোদ রাসুল (সা.)। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, কালোজিরায় সকল প্রকার রোগের উপশম আছে, তবে ‘আসসাম’ ব্যতীত। আর ‘আসসাম’ হলো মৃত্যু। এর ‘আল হাব্বাতুস সাওদা’ হলো (স্থানীয় ভাষায়) ‘শুনিজ’ (অর্থাৎ কালোজিরা)। (মুসলিম, হাদিস : ৫৬৫৯)
তাই যেকোনো রোগ নিরাময়ে, রোগ থেকে নিরাপদ থেকে অন্যান্য সতর্কতার পাশাপাশি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে কালোজিরা সেবন করা যেতে পারে। আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও কবিরাজি চিকিৎসায় এর ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই যারা এসব চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করেন, তাঁদের কাছে রোগ অনুযায়ী সঠিক ব্যবহারবিধি পাওয়া যাবে। কারণ একেক ধরনের রোগের জন্য কালোজিরার ব্যবহারবিধিও একেক রকম।
জয়তুন
প্রিয় নবী (সা.)-এর পছন্দের ফলগুলোর একটি ছিল জয়তুন। এর তেলও শরীরের জন্য বেশ উপকারী। রাসুল (সা.) তা নিজে ব্যবহার করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকেও ব্যবহার করার তাগিদ দিতেন। হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা (জয়তুনের) তেল খাও এবং তা শরীরে মালিশ করো। কেননা এটি বরকত ও প্রাচুর্যময় গাছের তেল। (তিরমিজি, হাদিস : ১৮৫১)
কোরআনে বর্ণিত ফলগুলোর অন্যতম একটি ফল জলপাই বা জয়তুন। সুরা ত্বিনের প্রথম আয়াতে মহান আল্লাহ যে ফলের কসম খেয়েছেন। সুরা নুরের ২৪ নম্বর আয়াতে তিনি এই ফলের গাছকে আখ্যা দিয়েছেন মুবারক গাছ হিসেবে। রাসুল (সা.)-এর একটি হাদিস থেকেও জানা যায় যে আগের নবীরাও এই বরকতময় গাছের ফল ও তেল ব্যবহার করতেন। মিসওয়াক হিসেবে ব্যবহার করতেন এই গাছের ডালকে। (আল মুজামুল আওসাত)
জমজমের পানি
জমজমের পানি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পানি। পবিত্র জমজম নিয়ে রাসুল (সা.)-এর বহু হাদিস রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পানি হলো জমজমের পানি। তাতে রয়েছে তৃপ্তির খাদ্য ও ব্যাধির আরোগ্য। ’ (আল-মুজামুল আউসাত, হাদিস : ৩৯১২)। রাসুল (সা.) জমজমের পানি ভীষণ পছন্দ করতেন। বেশির ভাগ সময় তিনি জমজমের পানি পান করার চেষ্টা করতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি জমজমের পানি সঙ্গে করে নিয়ে আসতেন, আর বলতেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তা বহন করে আনতেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৩)
মহান আল্লাহ এই পানিতে এতটাই বরকত রেখেছেন যে কেউ (আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে) কোনো উপকার লাভের আশায় এই পানি পান করলে মহান আল্লাহ তাঁর আশা পূরণ করেন। জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলাল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, জমজমের পানি যে উপকার লাভের আশায় পান করা হবে, তা অর্জিত হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩০৬২)
মধু
মধুর ঔষধি গুণ সবারই কম বেশি জানা। মহান আল্লাহ মধুর মধ্যে বহু রোগের আরোগ্য রেখেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তার (মৌমাছির) পেট থেকে নির্গত হয় বিবিধ বর্ণের পানীয়, যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য। অবশ্যই তাতে চিন্তাশীল সমপ্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে। ’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৮-৬৯)
রাসুল (সা.) মধু বেশ পছন্দ করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মিষ্টি ও মধু খুব ভালোবাসতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫২৭০)। এ ছাড়া তিনি অন্যদের বিভিন্ন রোগের জন্য মধু পান করার পরামর্শ দিতেন। মহানবী (সা.)-এর কাছে এক সাহাবি এসে তার ভাইয়ের পেটের অসুখের কথা বললে রাসুল (সা.) তাকে মধু পান করানোর পরামর্শ দেন এবং এতে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। (বুখারি, হাদিস : ৫৩৬০)