১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ জনস্বার্থে: রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ নভেম্বর, ২০২২, 12:44 AM
১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ জনস্বার্থে: রিজভী
আগামী ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ জনস্বার্থের সমাবেশ বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এটি হরণ হওয়া গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার সমাবেশ। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পানির মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি; সবমিলিয়ে যেন নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। এর প্রতিবাদে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। দুর্ভোগ এটি সরকারের সৃষ্টি। সরকারের গণবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে বিএনপি আন্দোলন করে আসছে। দেশের ১০টি বিভাগের মধ্যে আটটিতে বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে সমাবেশ হবে; এরপর ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগে।
ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা বলেন, বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার চক্রান্ত করে যাচ্ছে। যেটা তাদের চিরচেনা অভ্যাস। সেই পুরোনো গায়েবি মামলা ও নিজেরাই ষড়যন্ত্র করে গাড়ি ভাঙচুর করে আবার ককটেল বিস্ফোরণও হয়নি তবুও মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে। এই মামলাগুলো দেওয়ার উদ্দেশ্য আগের ন্যায় জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা। এই দূরভিসন্ধিমূলক চক্রান্ত এবং এই ঘৃণ্য মাস্টারপ্ল্যান। বিএনপির কোনো সমাবেশে জনস্রোত থামানো যাচ্ছে না। তখন তারা মিথ্যা আশ্রয় নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমদ অসীম তার ধানমন্ডির বাসায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন; তখন পুলিশ অতর্কিতভাবে তার বাসায় হামলা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে। জামালপুরের মেলান্দহ বিএনপির নেতা আমিরুল ইসলাম রেনু, আব্দুল আজিজ ও নবীনসহ পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন মিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা ও পৌর যুবদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে নৃশংস হামলায় চালিয়েছে। এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে এলাকা থেকে পালিয়েছে। চরফ্যাশন উপজেলা যুবদলের নবনির্বাচিত আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম প্রিন্স ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফ ফরাজীসহ শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।
রিজভী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় হামলার উদ্দেশ্যই হচ্ছে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ যেন গণজমায়েত না হয়। কিন্তু ঢাকার সমাবেশে সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে সাফল্যমণ্ডিত হবে। জনস্রোত নামবে ঢাকায়। গণসমাবেশ নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সাবেক যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ নভেম্বর, ২০২২, 12:44 AM
আগামী ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ জনস্বার্থের সমাবেশ বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এটি হরণ হওয়া গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার সমাবেশ। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পানির মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি; সবমিলিয়ে যেন নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। এর প্রতিবাদে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। দুর্ভোগ এটি সরকারের সৃষ্টি। সরকারের গণবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে বিএনপি আন্দোলন করে আসছে। দেশের ১০টি বিভাগের মধ্যে আটটিতে বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে সমাবেশ হবে; এরপর ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগে।
ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা বলেন, বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার চক্রান্ত করে যাচ্ছে। যেটা তাদের চিরচেনা অভ্যাস। সেই পুরোনো গায়েবি মামলা ও নিজেরাই ষড়যন্ত্র করে গাড়ি ভাঙচুর করে আবার ককটেল বিস্ফোরণও হয়নি তবুও মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে। এই মামলাগুলো দেওয়ার উদ্দেশ্য আগের ন্যায় জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা। এই দূরভিসন্ধিমূলক চক্রান্ত এবং এই ঘৃণ্য মাস্টারপ্ল্যান। বিএনপির কোনো সমাবেশে জনস্রোত থামানো যাচ্ছে না। তখন তারা মিথ্যা আশ্রয় নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমদ অসীম তার ধানমন্ডির বাসায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন; তখন পুলিশ অতর্কিতভাবে তার বাসায় হামলা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে। জামালপুরের মেলান্দহ বিএনপির নেতা আমিরুল ইসলাম রেনু, আব্দুল আজিজ ও নবীনসহ পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন মিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা ও পৌর যুবদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে নৃশংস হামলায় চালিয়েছে। এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে এলাকা থেকে পালিয়েছে। চরফ্যাশন উপজেলা যুবদলের নবনির্বাচিত আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম প্রিন্স ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফ ফরাজীসহ শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।
রিজভী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় হামলার উদ্দেশ্যই হচ্ছে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ যেন গণজমায়েত না হয়। কিন্তু ঢাকার সমাবেশে সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে সাফল্যমণ্ডিত হবে। জনস্রোত নামবে ঢাকায়। গণসমাবেশ নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সাবেক যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।