ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী কিছুই আনতে পারেননি: মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 12:24 AM

ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী কিছুই আনতে পারেননি: মির্জা ফখরুল
ভারত সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য কিছুই নিয়ে আসতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সবাই আশা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী সেখানে আমাদের প্রধান যে সমস্যা তিস্তার পানি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনে যে সমস্যা, সীমান্তে হত্যার যে সমস্যা, এ বিষয়গুলোকে নিয়ে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। বরং দেখেছি তিনি সংবাদ সম্মেলনে সুস্পষ্টভাবে বলেননি তিনি ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কী কী নিয়ে এসেছেন।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের কালিবাড়ির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির বর্তমানে কোনো নেতা নেই, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির নেতা আছে বলেই তো তারা বিএনপিকে এত ভয় পাচ্ছেন। নেতা আছে বলেই তো আজকে বিএনপি উঠে দাঁড়াচ্ছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত। বিএনপি এখন উঠে দাঁড়িয়েছে। আন্দোলন করছে এবং আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যে আন্দোলন হবে বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বেই সেই আন্দোলন সফল করবে। আমরা আগেই বলেছি আমাদের নেতা হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার অবর্তমানে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই চলবে বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল, সন্ত্রাস করেই তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কোনো নির্বাচনে তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীকে দেখতে চায় না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী যদি থাকেই থাকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে তাকে কী করে পরাজয় করে টিকে থাকা যায় সে চেষ্টাই করে।
ফখরুল বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে আরেকটি জিনিস যুক্ত হয়েছে। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বীই থাকছে না, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তারা নির্বাচিত হচ্ছে। আমরা আমাদের বক্তব্যে পরিস্কারভাবে বলেছি, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাচ্ছি না। নির্বাচনকালে একটি নিরপেক্ষ তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এদেশের মানুষ কোনো নির্বাচনে যাবে না। কারণ তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।
নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমরা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মানি না, তাহলে রোডম্যাপ দিয়ে কী হবে। সারা দেশে আমরা কর্মসূচি দিয়েছি। ঢাকা মহানগরে জোনভিত্তিক শুরু হয়েছে, পরে দেশব্যাপী হবে। এখনকার নির্বাচন সম্পর্কে কোন বক্তব্য নেই। যতক্ষণ না নির্বাচনকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত না হয়। আসন্ন নির্বাচনের ব্যাপারে কে প্রার্থী দিল, কে প্রার্থী দিল না সে ব্যাপারে আমাদের কিছুই বলার নাই। তবে যুগপোযগী আন্দোলনের কথা বলেছি।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম, মমিনুল হক বাবু, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মো: জাফরুল্লাহ, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ আলম লাবুসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
অনলাইন ডেস্ক
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 12:24 AM

ভারত সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য কিছুই নিয়ে আসতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সবাই আশা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী সেখানে আমাদের প্রধান যে সমস্যা তিস্তার পানি, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনে যে সমস্যা, সীমান্তে হত্যার যে সমস্যা, এ বিষয়গুলোকে নিয়ে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। বরং দেখেছি তিনি সংবাদ সম্মেলনে সুস্পষ্টভাবে বলেননি তিনি ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কী কী নিয়ে এসেছেন।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের কালিবাড়ির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির বর্তমানে কোনো নেতা নেই, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির নেতা আছে বলেই তো তারা বিএনপিকে এত ভয় পাচ্ছেন। নেতা আছে বলেই তো আজকে বিএনপি উঠে দাঁড়াচ্ছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত। বিএনপি এখন উঠে দাঁড়িয়েছে। আন্দোলন করছে এবং আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যে আন্দোলন হবে বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বেই সেই আন্দোলন সফল করবে। আমরা আগেই বলেছি আমাদের নেতা হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার অবর্তমানে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই চলবে বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল, সন্ত্রাস করেই তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কোনো নির্বাচনে তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীকে দেখতে চায় না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী যদি থাকেই থাকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে তাকে কী করে পরাজয় করে টিকে থাকা যায় সে চেষ্টাই করে।
ফখরুল বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে আরেকটি জিনিস যুক্ত হয়েছে। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বীই থাকছে না, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তারা নির্বাচিত হচ্ছে। আমরা আমাদের বক্তব্যে পরিস্কারভাবে বলেছি, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাচ্ছি না। নির্বাচনকালে একটি নিরপেক্ষ তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এদেশের মানুষ কোনো নির্বাচনে যাবে না। কারণ তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।
নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমরা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মানি না, তাহলে রোডম্যাপ দিয়ে কী হবে। সারা দেশে আমরা কর্মসূচি দিয়েছি। ঢাকা মহানগরে জোনভিত্তিক শুরু হয়েছে, পরে দেশব্যাপী হবে। এখনকার নির্বাচন সম্পর্কে কোন বক্তব্য নেই। যতক্ষণ না নির্বাচনকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত না হয়। আসন্ন নির্বাচনের ব্যাপারে কে প্রার্থী দিল, কে প্রার্থী দিল না সে ব্যাপারে আমাদের কিছুই বলার নাই। তবে যুগপোযগী আন্দোলনের কথা বলেছি।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম, মমিনুল হক বাবু, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মো: জাফরুল্লাহ, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ আলম লাবুসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।