শিরোনামঃ
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে তথ্য অধিকার আইন চর্চার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ যশোর, বাগেরহাট ও নড়াইলের ছাত্রদলের কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তিন নেতা ইডিসিএল গিলে খাচ্ছে জগলুল জুড়ীতে ভূয়া রশিদ দিয়ে কুরবানীর পশু বিক্রির অভিযোগ মোমিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নাকচ করায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের বিক্ষোভ মিছিল বর্হিবিশ্বে লন্ডনে স্হাপিত জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ সামন্তলাল সেন সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ বিটিএ’র পক্ষ থেকে নব নিযুক্ত পরিচালককে অভিনন্দন বিকাশ দেওয়ান ছিলেন একজন সফল এমডি

প্রথম বাংলাদেশি নারীর ‘ডোলমা খাং' জয়

#
news image

হিমালয়ের অন্যতম দুর্গম পর্বত ডোলমা খাং জয় করেছেন পর্বতারোহী শায়লা বিথী। তিনি প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে দুর্গম এ পর্বতচূড়ায় পা রাখেন। তিনি গতকাল শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে পর্বতচূড়ায় পৌঁছান। উল্লেখ্য, ডোমলা খাং ৬ হাজার ৩৩২ মিটার উঁচু।

রোববার পর্বত থেকে সফলভাবে নেমে এসে শায়লা বিথী নেপাল থেকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।

এবারের অভিযানের শিরোনাম ছিল— ‘দ্য ডোলমা খাং চ্যালেঞ্জ : ফিচার শায়লা বিথী অ্যান্ড জেডএম অ্যাকুয়াবোম্ব’।

গত ২৯ অক্টোবর অভিযানের উদ্দেশে ঢাকা থেকে বিমান যোগে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উদ্দেশে যাত্রা করেন। ৩১ অক্টোবর কাঠমান্ডু থেকে ডোলমা খাংয়ের এর উদ্দেশে রওনা হন শায়লা বিথী। সেদিন চেট চেট নামে একটি এলাকা থেকে ট্রেকিং শুরু হয়। শায়লা বিথীর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় একজন শেরপা। তিন ঘণ্টার ট্রেকিংয়ের পর তারা সিমিগাঁও নামে একটি গ্রামে পৌঁছান।

পরদিন সকালে আবারও শুরু করেন ট্রেকিং। এর পরের চারদিনে চুষা, চোডার গ্রাম হয়ে পৌঁছে যান বেদিং নামে একটি গ্রামে। সেখানেই ডোলমা খাং পর্বতের বেজক্যাম্প অবস্থিত। পরদিন হাইক্যাম্প হয়ে ৫ নভেম্বর সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ডোলমা খাং চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়ান শায়লা বিথী। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করে শুরু হয় নামার পালা। সেদিন তিনি ডংখাং নামে একটি গ্রামে ফেরেন। আজ রোববার তিনি সিমিগাঁও ফেরেন। এখান থেকে তিনি সোমবার বা আগামী মঙ্গলবার কাঠমান্ডুতে ফিরবেন।

শায়লা বিথী বলেন, ডোলমা খাং পর্বতটির চূড়ার দিকের অংশ খুবই দুর্গম। এ পর্বতে এখন পর্যন্ত খুব বেশি অভিযান পরিচালনা হয়নি। সে কারণে আমাদের জন্য শীর্ষে আরোহন করা খুবই কঠিন কাজ ছিল। অনেকখানি খাড়া পর্বত বেয়ে উঠতে হয়েছে। চূড়ার আগে খুবই সরু একটা রিজ লাইন পাড়ি দিতে হয়েছে। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। একটুখানি এদিক সেদিক হলেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।

শায়লা বিথী বলেন, ‘ডোলমা খাং শীর্ষে আরোহন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। দেশের পতাকা শীর্ষে তুলে ধরতে পারার মধ্যে অন্যরকম একটা ভাললাগা কাজ করে। পর্বতচূড়ায় আমি যুদ্ধ বিরোধী বার্তা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে নিয়ে যাই ও ছবি তুলি। এ ছবিগুলো যুদ্ধবিরোধী প্রচারে ব্যবহার করব।’

শায়লা বিথী জানান, কাঠমান্ডু ফিরতে আরও এক-দুইদিন লেগে যাবে। এরপর সেখান থেকে দেশে ফিরবেন তিনি।

শায়লা বিথীর অভিজ্ঞতার ঝুলিতে রয়েছে নয়টি পর্বতাভিযান, ট্রেকিং ও ট্রেনিং। তিনি গত বছরের অক্টোবরে হিমালয়ের ৬ হাজার ১৮৯ মিটার উঁচু আইল্যান্ড পর্বতচূড়া জয় করেন।

শায়লা বিথী ২০১৬ সালে ভারতের নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টিনিয়ারিং থেকে পর্বতারোহণের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন। প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০১৮ সালের মে মাসে তিব্বতের লাকপারি (৭ হাজার ৪৫ মিটার) পর্বতচূড়া জয় করেন। ২০১৯ সালের মে মাসে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে হিমালয়ের দুর্গম তাশিলাপচা (৫ হাজার ৭৫৫ মিটার) গিরিপথ পার হন। প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০২১ সালের নভেম্বরে হিমালয়ের বিখ্যাত থ্রি-পাস অতিক্রম করেন।

এ ছাড়াও শায়লা বিথী ২০১৫ সালে নেপালের মাউন্ট কেয়াজুরির বেসক্যাম্প (১৫ হাজার ৫শ ফুট উচ্চতা) ট্রেকিং করেন। ২০১৬ সালের অক্টোবরে সফলভাবে নেপালের মেরা পর্বতের চূড়ায় (৬ হাজার ৪৭৪ মিটার) ওঠেন।

২০১৭ সালের এপ্রিলে নেপালের থ্রংলা পাস (৫ হাজার ৪১৬ মিটার) অতিক্রম করেন। ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রথম বাংলাদেশি দলের অংশ হয়ে মানাসলু সার্কিট (৫ হাজার ১০৬ মিটার) সম্পন্ন করেন।

 

অনলাইন ডেস্ক

০৭ নভেম্বর, ২০২২,  12:37 AM

news image
ডোলমা খাং পর্বতচূড়ায় পতাকা হাতে শায়লা বিথী

হিমালয়ের অন্যতম দুর্গম পর্বত ডোলমা খাং জয় করেছেন পর্বতারোহী শায়লা বিথী। তিনি প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে দুর্গম এ পর্বতচূড়ায় পা রাখেন। তিনি গতকাল শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে পর্বতচূড়ায় পৌঁছান। উল্লেখ্য, ডোমলা খাং ৬ হাজার ৩৩২ মিটার উঁচু।

রোববার পর্বত থেকে সফলভাবে নেমে এসে শায়লা বিথী নেপাল থেকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।

এবারের অভিযানের শিরোনাম ছিল— ‘দ্য ডোলমা খাং চ্যালেঞ্জ : ফিচার শায়লা বিথী অ্যান্ড জেডএম অ্যাকুয়াবোম্ব’।

গত ২৯ অক্টোবর অভিযানের উদ্দেশে ঢাকা থেকে বিমান যোগে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উদ্দেশে যাত্রা করেন। ৩১ অক্টোবর কাঠমান্ডু থেকে ডোলমা খাংয়ের এর উদ্দেশে রওনা হন শায়লা বিথী। সেদিন চেট চেট নামে একটি এলাকা থেকে ট্রেকিং শুরু হয়। শায়লা বিথীর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় একজন শেরপা। তিন ঘণ্টার ট্রেকিংয়ের পর তারা সিমিগাঁও নামে একটি গ্রামে পৌঁছান।

পরদিন সকালে আবারও শুরু করেন ট্রেকিং। এর পরের চারদিনে চুষা, চোডার গ্রাম হয়ে পৌঁছে যান বেদিং নামে একটি গ্রামে। সেখানেই ডোলমা খাং পর্বতের বেজক্যাম্প অবস্থিত। পরদিন হাইক্যাম্প হয়ে ৫ নভেম্বর সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ডোলমা খাং চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়ান শায়লা বিথী। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করে শুরু হয় নামার পালা। সেদিন তিনি ডংখাং নামে একটি গ্রামে ফেরেন। আজ রোববার তিনি সিমিগাঁও ফেরেন। এখান থেকে তিনি সোমবার বা আগামী মঙ্গলবার কাঠমান্ডুতে ফিরবেন।

শায়লা বিথী বলেন, ডোলমা খাং পর্বতটির চূড়ার দিকের অংশ খুবই দুর্গম। এ পর্বতে এখন পর্যন্ত খুব বেশি অভিযান পরিচালনা হয়নি। সে কারণে আমাদের জন্য শীর্ষে আরোহন করা খুবই কঠিন কাজ ছিল। অনেকখানি খাড়া পর্বত বেয়ে উঠতে হয়েছে। চূড়ার আগে খুবই সরু একটা রিজ লাইন পাড়ি দিতে হয়েছে। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। একটুখানি এদিক সেদিক হলেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।

শায়লা বিথী বলেন, ‘ডোলমা খাং শীর্ষে আরোহন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। দেশের পতাকা শীর্ষে তুলে ধরতে পারার মধ্যে অন্যরকম একটা ভাললাগা কাজ করে। পর্বতচূড়ায় আমি যুদ্ধ বিরোধী বার্তা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে নিয়ে যাই ও ছবি তুলি। এ ছবিগুলো যুদ্ধবিরোধী প্রচারে ব্যবহার করব।’

শায়লা বিথী জানান, কাঠমান্ডু ফিরতে আরও এক-দুইদিন লেগে যাবে। এরপর সেখান থেকে দেশে ফিরবেন তিনি।

শায়লা বিথীর অভিজ্ঞতার ঝুলিতে রয়েছে নয়টি পর্বতাভিযান, ট্রেকিং ও ট্রেনিং। তিনি গত বছরের অক্টোবরে হিমালয়ের ৬ হাজার ১৮৯ মিটার উঁচু আইল্যান্ড পর্বতচূড়া জয় করেন।

শায়লা বিথী ২০১৬ সালে ভারতের নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টিনিয়ারিং থেকে পর্বতারোহণের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন। প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০১৮ সালের মে মাসে তিব্বতের লাকপারি (৭ হাজার ৪৫ মিটার) পর্বতচূড়া জয় করেন। ২০১৯ সালের মে মাসে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে হিমালয়ের দুর্গম তাশিলাপচা (৫ হাজার ৭৫৫ মিটার) গিরিপথ পার হন। প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০২১ সালের নভেম্বরে হিমালয়ের বিখ্যাত থ্রি-পাস অতিক্রম করেন।

এ ছাড়াও শায়লা বিথী ২০১৫ সালে নেপালের মাউন্ট কেয়াজুরির বেসক্যাম্প (১৫ হাজার ৫শ ফুট উচ্চতা) ট্রেকিং করেন। ২০১৬ সালের অক্টোবরে সফলভাবে নেপালের মেরা পর্বতের চূড়ায় (৬ হাজার ৪৭৪ মিটার) ওঠেন।

২০১৭ সালের এপ্রিলে নেপালের থ্রংলা পাস (৫ হাজার ৪১৬ মিটার) অতিক্রম করেন। ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রথম বাংলাদেশি দলের অংশ হয়ে মানাসলু সার্কিট (৫ হাজার ১০৬ মিটার) সম্পন্ন করেন।