বিস্ময়ে নাকি বিপদে ৮০০ কোটির বসুন্ধরা?

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ নভেম্বর, ২০২২, 2:17 AM

বিস্ময়ে নাকি বিপদে ৮০০ কোটির বসুন্ধরা?
আজ ১৫ নভেম্বর । আজ ধরিত্রীর ৮০০ কোটি জনসংখ্যার মাইলফলক স্পর্শ করার দিন। জাতিসংঘ ঘটা করে দিনটির নাম দিয়েছে ‘ডে অব এইট বিলিয়ন’।
এ বিষয়ে জাতিসংঘ জানায়, বিশ্বের জনসংখ্যা নির্ভুলভাবে গণনা করা খুবই কঠিন কাজ, তবে ১৫ নভেম্বর বিশ্ব জনসংখ্যা ৮০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করেছে বলে তাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য, পুষ্টি, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও ওষুধের উন্নতির কারণে মানুষের আয়ু বেড়ে যাওয়ায় জনসংখ্যা এ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মনে করছে সংস্থাটি। এ ছাড়া বেশ কিছু দেশের জন্মের উচ্চহারের কারণেও জনসংখ্যা এ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
পৃথিবীতে আরও ১০০ কোটি মানুষ বাড়তে লাগতে পারে আরও ১৫ বছর। ২০৩৭ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছাড়াতে পারে ৯০০ কোটি। সমীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের ইঙ্গিত, ২০৮৬ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা হতে পারে ১০৫০ কোটির কাছাকাছি।
জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ বছর সময় লেগেছে ৭০০ কোটি থেকে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটিতে পৌঁছাতে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালেই ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। ৮০০ কোটির মাইলফলকে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে ভারত। ১৫ নভেম্বর এই মাইলফলকে (৭০০ কোটির পর) ভারত যোগ করবে ১৭ কোটি ৭০ লাখ । যেখানে চীনের অবদান ৭ কোটি ৩০ লাখ। তবে সামনে এত দ্রুত জনসংখ্যা বাড়বে না বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
পৃথিবীর জনসংখ্যা সম্পর্কিত জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের জনসংখ্যা ১৯৫০ সালে যা ছিল, আজকের সংখ্যা তার তিনগুণ। বিশ্বে যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি জনসংখ্যার জন্য দীর্ঘ আয়ুকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২০ সালে বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ শতাংশের নিচে নামে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, জন্মাহার কমেছে, নারীদের কম সন্তান হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের ওপর। ২০৫০ সালে এটা ১৬ শতাংশে উন্নীত হবে। বিশ্বে চীন ও ভারতে যৌথভাবে ১০৪ কোটি করে মানুষ বসবাস করে। কিন্তু জাতিসংঘের অনুমান, ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো চীনকে অতিক্রম করবে ভারত।
প্রতিবেদনে জনসংখ্যার পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, তার অর্ধেক হবে আটটি দেশে। সেগুলো হলো- গণপ্রজাতন্ত্র কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইনস এবং সংযুক্ত তাঞ্জানিয়া।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাটালিয়া কানেম ৮০০ কোটি জনসংখ্যা বিষয়ে বলেন, ‘যদিও আমি বুঝতে পারছি, মুহূর্তটি সবাই উদ্যাপন না–ও করতে পারে। আমাদের বিশ্বে অতিরিক্ত জনসংখ্যা বলে কেউ কেউ উদ্বিগ্ন।’
"পৃথিবীর উপর আমাদের নেতিবাচক প্রভাব মূলতঃ সংখ্যা নির্ভর নয় আচরণ নির্ভর।" এমনটা মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের উইলসন সেন্টারের গবেষক জেনিফার স্কিউবা।
তিনি আরও বলেন, "জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ধনী দেশের নাগরিকদের ভোগবিলাস বাড়ছে আর দায় দেয়া হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে শুধুমাত্র জনসংখ্যা বৃদ্ধিহার বেশি থাকার কারনে। সত্যিই আমি ও আপনি, আমরা যে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ, পুল, রাতের বারবিকিউ উপভোগ করি তা সবই পৃথিবীর ক্ষতির কারন।"
গ্লোবাল ফুটপ্রিন্ট নেটওয়ার্কের মতে, "আজ পৃথিবীর সবাই যদি ভারতের একজন নাগরিকের মতো এখানে বসবাস করতো তবে বছরে পৃথিবীর সক্ষমতার ৮০ শতাংশ প্রয়োজন হতো। আর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলে বছরে দরকার হতো ৫ পৃথিবীর সক্ষমতা।"
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ নভেম্বর, ২০২২, 2:17 AM

আজ ১৫ নভেম্বর । আজ ধরিত্রীর ৮০০ কোটি জনসংখ্যার মাইলফলক স্পর্শ করার দিন। জাতিসংঘ ঘটা করে দিনটির নাম দিয়েছে ‘ডে অব এইট বিলিয়ন’।
এ বিষয়ে জাতিসংঘ জানায়, বিশ্বের জনসংখ্যা নির্ভুলভাবে গণনা করা খুবই কঠিন কাজ, তবে ১৫ নভেম্বর বিশ্ব জনসংখ্যা ৮০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করেছে বলে তাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য, পুষ্টি, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও ওষুধের উন্নতির কারণে মানুষের আয়ু বেড়ে যাওয়ায় জনসংখ্যা এ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মনে করছে সংস্থাটি। এ ছাড়া বেশ কিছু দেশের জন্মের উচ্চহারের কারণেও জনসংখ্যা এ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
পৃথিবীতে আরও ১০০ কোটি মানুষ বাড়তে লাগতে পারে আরও ১৫ বছর। ২০৩৭ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছাড়াতে পারে ৯০০ কোটি। সমীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের ইঙ্গিত, ২০৮৬ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা হতে পারে ১০৫০ কোটির কাছাকাছি।
জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ বছর সময় লেগেছে ৭০০ কোটি থেকে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটিতে পৌঁছাতে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালেই ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। ৮০০ কোটির মাইলফলকে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে ভারত। ১৫ নভেম্বর এই মাইলফলকে (৭০০ কোটির পর) ভারত যোগ করবে ১৭ কোটি ৭০ লাখ । যেখানে চীনের অবদান ৭ কোটি ৩০ লাখ। তবে সামনে এত দ্রুত জনসংখ্যা বাড়বে না বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
পৃথিবীর জনসংখ্যা সম্পর্কিত জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের জনসংখ্যা ১৯৫০ সালে যা ছিল, আজকের সংখ্যা তার তিনগুণ। বিশ্বে যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি জনসংখ্যার জন্য দীর্ঘ আয়ুকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২০ সালে বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ শতাংশের নিচে নামে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, জন্মাহার কমেছে, নারীদের কম সন্তান হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের ওপর। ২০৫০ সালে এটা ১৬ শতাংশে উন্নীত হবে। বিশ্বে চীন ও ভারতে যৌথভাবে ১০৪ কোটি করে মানুষ বসবাস করে। কিন্তু জাতিসংঘের অনুমান, ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো চীনকে অতিক্রম করবে ভারত।
প্রতিবেদনে জনসংখ্যার পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, তার অর্ধেক হবে আটটি দেশে। সেগুলো হলো- গণপ্রজাতন্ত্র কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইনস এবং সংযুক্ত তাঞ্জানিয়া।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাটালিয়া কানেম ৮০০ কোটি জনসংখ্যা বিষয়ে বলেন, ‘যদিও আমি বুঝতে পারছি, মুহূর্তটি সবাই উদ্যাপন না–ও করতে পারে। আমাদের বিশ্বে অতিরিক্ত জনসংখ্যা বলে কেউ কেউ উদ্বিগ্ন।’
"পৃথিবীর উপর আমাদের নেতিবাচক প্রভাব মূলতঃ সংখ্যা নির্ভর নয় আচরণ নির্ভর।" এমনটা মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের উইলসন সেন্টারের গবেষক জেনিফার স্কিউবা।
তিনি আরও বলেন, "জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ধনী দেশের নাগরিকদের ভোগবিলাস বাড়ছে আর দায় দেয়া হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে শুধুমাত্র জনসংখ্যা বৃদ্ধিহার বেশি থাকার কারনে। সত্যিই আমি ও আপনি, আমরা যে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ, পুল, রাতের বারবিকিউ উপভোগ করি তা সবই পৃথিবীর ক্ষতির কারন।"
গ্লোবাল ফুটপ্রিন্ট নেটওয়ার্কের মতে, "আজ পৃথিবীর সবাই যদি ভারতের একজন নাগরিকের মতো এখানে বসবাস করতো তবে বছরে পৃথিবীর সক্ষমতার ৮০ শতাংশ প্রয়োজন হতো। আর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলে বছরে দরকার হতো ৫ পৃথিবীর সক্ষমতা।"