সীতাকুণ্ডের ঘটনায় জাতীয় শোক ঘোষণা করা উচিত ছিল: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ জুন, ২০২২, 9:02 PM

সীতাকুণ্ডের ঘটনায় জাতীয় শোক ঘোষণা করা উচিত ছিল: ফখরুল
সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৯ জন নিহতের ঘটনায় জাতীয় শোক ঘোষণা করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘অন্য যেকোনও দেশে এমন ঘটনা ঘটলে শোক ঘোষণা করা হতো। আমেরিকাতে যে বাচ্চাগুলো মেরে ফেললো, তখনই আমেরিকা জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে।’
সোমবার (৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
একইসঙ্গে এ ঘটনায় হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং দেশের সব কনটেইনার ডিপোতে তদারিক ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
শনিবার (৬ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে বেসরকারি ওই কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
সীতাকুণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গতকাল একজন আর্মির দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের কথা টেলিভিশনে শুনছিলাম, তিনি বলছিলেন, তাদের কাছে প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই। আজকে আমি এই জায়গায় প্রশ্ন করতে চাই, এই সরকার তাহলে কী করছে।’
সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণে দেশের পোশাকশিল্পে অথবা অর্থনীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অলরেডি এ নিয়ে কথা-বার্তা শুরু হয়েছে। তাজরীন ফ্যাশনের অগ্নিকাণ্ড, রানা প্লাজাসহ এমন বিভিন্ন ঘটনার কারণে গার্মেন্টসে যেভাবে একটা নেগেটিভ অবস্থায় হয়েছিল, তা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে। বায়ার ও বিদেশিদের সহযোগিতায় আমাদের গার্মেন্টস প্রস্তুতকার ও মালিকদের আগ্রহের কারণে সেই ব্যাপারটা অনেকটাই কাটানো সম্ভব হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন শোষকের দলে পরিণত হয়েছে। এখন আর শোষিতের পক্ষে কথা বলার সুযোগ তাদের নেই। কারণ তারাই এখন শোষক হয়ে গেছে। এখন তারা লুট করছে, দুর্নীতি করছে, অর্থ পাঁচার করছে। মানুষের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষার ধ্বংস করে দিচ্ছে। এখন তো বাংলাদেশের সামনে কিচ্ছুই নেই। পদ্মা সেতু ছাড়া তাদের বলার মতো কিছুই নেই।’
তিনি বলেন, ‘আপনি দেখেন, আসলে এই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনও সম্পর্ক নেই। ওরা জনগণের প্লাস বুঝে না, জনগণ কী চাচ্ছে, কী আশা করছে। সেগুলো নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নেই। তারা মনে করে, আমরা বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছি। বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় থাকবো। সেই কারণে দুঃসময়ে মানুষ যখন একটু সান্ত্বনা আশা করে, তখন তারা জনগণের ওপর আরেকটা চাপিয়ে দেয়। তাদের একটাই লক্ষ্য এ দেশকে লুট করা।’
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ জুন, ২০২২, 9:02 PM

সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৯ জন নিহতের ঘটনায় জাতীয় শোক ঘোষণা করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘অন্য যেকোনও দেশে এমন ঘটনা ঘটলে শোক ঘোষণা করা হতো। আমেরিকাতে যে বাচ্চাগুলো মেরে ফেললো, তখনই আমেরিকা জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে।’
সোমবার (৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
একইসঙ্গে এ ঘটনায় হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং দেশের সব কনটেইনার ডিপোতে তদারিক ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
শনিবার (৬ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে বেসরকারি ওই কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
সীতাকুণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গতকাল একজন আর্মির দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের কথা টেলিভিশনে শুনছিলাম, তিনি বলছিলেন, তাদের কাছে প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই। আজকে আমি এই জায়গায় প্রশ্ন করতে চাই, এই সরকার তাহলে কী করছে।’
সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণে দেশের পোশাকশিল্পে অথবা অর্থনীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অলরেডি এ নিয়ে কথা-বার্তা শুরু হয়েছে। তাজরীন ফ্যাশনের অগ্নিকাণ্ড, রানা প্লাজাসহ এমন বিভিন্ন ঘটনার কারণে গার্মেন্টসে যেভাবে একটা নেগেটিভ অবস্থায় হয়েছিল, তা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে। বায়ার ও বিদেশিদের সহযোগিতায় আমাদের গার্মেন্টস প্রস্তুতকার ও মালিকদের আগ্রহের কারণে সেই ব্যাপারটা অনেকটাই কাটানো সম্ভব হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন শোষকের দলে পরিণত হয়েছে। এখন আর শোষিতের পক্ষে কথা বলার সুযোগ তাদের নেই। কারণ তারাই এখন শোষক হয়ে গেছে। এখন তারা লুট করছে, দুর্নীতি করছে, অর্থ পাঁচার করছে। মানুষের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষার ধ্বংস করে দিচ্ছে। এখন তো বাংলাদেশের সামনে কিচ্ছুই নেই। পদ্মা সেতু ছাড়া তাদের বলার মতো কিছুই নেই।’
তিনি বলেন, ‘আপনি দেখেন, আসলে এই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনও সম্পর্ক নেই। ওরা জনগণের প্লাস বুঝে না, জনগণ কী চাচ্ছে, কী আশা করছে। সেগুলো নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নেই। তারা মনে করে, আমরা বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছি। বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় থাকবো। সেই কারণে দুঃসময়ে মানুষ যখন একটু সান্ত্বনা আশা করে, তখন তারা জনগণের ওপর আরেকটা চাপিয়ে দেয়। তাদের একটাই লক্ষ্য এ দেশকে লুট করা।’