অটিস্টিক শিশুদের আবাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে সরকার : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ এপ্রিল, ২০২২, 12:46 PM
অটিস্টিক শিশুদের আবাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে সরকার : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের স্থায়ী আবাসন ও তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে সরকার। শনিবার (২ এপ্রিল) বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি একটি প্রকল্প প্রণয়ন করে নিয়ে আসার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুরা বিশেষ প্রতিভার অধিকারী হয়। তাদের সঠিক যত্ন নেওয়া হলে সে প্রতিভা বিকাশ সম্ভব।
খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ও আবিষ্কারকদের নাম উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্টিফেন হকিংসহ অনেকের এই বৈশিষ্ট্য ছিল। কিন্তু তারা তো তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। সুযোগ পেলে আমাদের এই শিশু-কিশোররা রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে।
এ সময় অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের আপন করে নেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব জায়গায় তাদের বিষয়ে সচেতন ও যত্নবান হতে হবে। আগে তো বড় পরিবার ছিল, সেখানে সবার সঙ্গে মিশে এটি ওভারকাম করা গেছে। এখন ছোট পরিবারে এটি দুষ্কর হয়ে গেছে। এজন্য সব যায়গায় তাদের বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। আপন করে নিতে হবে। যত্ন নিতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে এটা কোনো সমস্যা নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, অটিজমসহ এনডিডি ব্যক্তির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সাধারণ বিমা করপোরেশনের সঙ্গে ট্রাস্ট যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বিমা’ বাস্তবায়ন করছে। এছাড়াও এনডিডি ব্যক্তিকে প্রতিবছর এককালীন আর্থিক চিকিৎসা অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের সরকার ইতোমধ্যে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সুরক্ষা ট্রাস্ট গঠন করেছে। এর মাধ্যমে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তির গৃহভিত্তিক পরিচর্যা ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য কোভিড পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ৫৩টি জেলার ১৯০টি উপজেলার ৩৯০ জন পিতা-মাতা/অভিভাবকদের অনলাইন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৬০টি জেলার ১০৫টি উপজেলার ১১৫টি বিদ্যালয়ের ৪৫০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এটি এখনো চলমান রয়েছে। এছাড়াও ‘বলতে চাই’ ও ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ নামক দুটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহায়ক প্রযুক্তি হিসেবে ‘বলতে চাই’ অমৌখিক যোগাযোগ সহজ করবে। শিশুর অটিজম আছে সন্দেহ হলে সহজেই ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ অ্যাপ দ্বারা ঘরে বসেই অটিজম আছে কি না তা জানা যাবে।
তিনি বলেন, এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় এ বছরই ১৪টি উপজেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে ‘অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এ কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে অটিজমসহ অন্যান্য এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদেরকে জীবনচক্রের বিভিন্ন ধাপে সোশ্যাল ও মেডিকেল পদ্ধতির সমন্বয়ে ১৭ ধরনের বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হবে। মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিম দ্বারা আন্তর্জাতিক মানের আর্লি ইন্টারভেনশনসহ এসব সেবা প্রদান করা হবে। এ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সারা দেশে সম্প্রসারণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এতিম, অভিভাবকহীন এনডিডি ব্যক্তির অভিভাবক নিয়োগ এবং তাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সংগঠন নিবন্ধন নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ট্রাস্ট কর্তৃক গুচ্ছ পদ্ধতিতে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। প্রযুক্তিনির্ভর এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এজন্য আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ এপ্রিল, ২০২২, 12:46 PM
ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের স্থায়ী আবাসন ও তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে সরকার। শনিবার (২ এপ্রিল) বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি একটি প্রকল্প প্রণয়ন করে নিয়ে আসার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুরা বিশেষ প্রতিভার অধিকারী হয়। তাদের সঠিক যত্ন নেওয়া হলে সে প্রতিভা বিকাশ সম্ভব।
খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ও আবিষ্কারকদের নাম উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্টিফেন হকিংসহ অনেকের এই বৈশিষ্ট্য ছিল। কিন্তু তারা তো তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। সুযোগ পেলে আমাদের এই শিশু-কিশোররা রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে।
এ সময় অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের আপন করে নেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব জায়গায় তাদের বিষয়ে সচেতন ও যত্নবান হতে হবে। আগে তো বড় পরিবার ছিল, সেখানে সবার সঙ্গে মিশে এটি ওভারকাম করা গেছে। এখন ছোট পরিবারে এটি দুষ্কর হয়ে গেছে। এজন্য সব যায়গায় তাদের বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। আপন করে নিতে হবে। যত্ন নিতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে এটা কোনো সমস্যা নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, অটিজমসহ এনডিডি ব্যক্তির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সাধারণ বিমা করপোরেশনের সঙ্গে ট্রাস্ট যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বিমা’ বাস্তবায়ন করছে। এছাড়াও এনডিডি ব্যক্তিকে প্রতিবছর এককালীন আর্থিক চিকিৎসা অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের সরকার ইতোমধ্যে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সুরক্ষা ট্রাস্ট গঠন করেছে। এর মাধ্যমে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তির গৃহভিত্তিক পরিচর্যা ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য কোভিড পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ৫৩টি জেলার ১৯০টি উপজেলার ৩৯০ জন পিতা-মাতা/অভিভাবকদের অনলাইন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৬০টি জেলার ১০৫টি উপজেলার ১১৫টি বিদ্যালয়ের ৪৫০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এটি এখনো চলমান রয়েছে। এছাড়াও ‘বলতে চাই’ ও ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ নামক দুটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহায়ক প্রযুক্তি হিসেবে ‘বলতে চাই’ অমৌখিক যোগাযোগ সহজ করবে। শিশুর অটিজম আছে সন্দেহ হলে সহজেই ‘স্মার্ট অটিজম বার্তা’ অ্যাপ দ্বারা ঘরে বসেই অটিজম আছে কি না তা জানা যাবে।
তিনি বলেন, এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় এ বছরই ১৪টি উপজেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে ‘অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এ কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে অটিজমসহ অন্যান্য এনডিডি শিশু ও ব্যক্তিদেরকে জীবনচক্রের বিভিন্ন ধাপে সোশ্যাল ও মেডিকেল পদ্ধতির সমন্বয়ে ১৭ ধরনের বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হবে। মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিম দ্বারা আন্তর্জাতিক মানের আর্লি ইন্টারভেনশনসহ এসব সেবা প্রদান করা হবে। এ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সারা দেশে সম্প্রসারণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এতিম, অভিভাবকহীন এনডিডি ব্যক্তির অভিভাবক নিয়োগ এবং তাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সংগঠন নিবন্ধন নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ট্রাস্ট কর্তৃক গুচ্ছ পদ্ধতিতে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। প্রযুক্তিনির্ভর এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এজন্য আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।