বাড়ি উচ্ছেদ বন্ধে গোলাম মাওলা রনির রিট হাইকোর্টে খারিজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ জুলাই, ২০২২, 8:49 PM
বাড়ি উচ্ছেদ বন্ধে গোলাম মাওলা রনির রিট হাইকোর্টে খারিজ
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বাজার এলাকায় নির্মিত সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির বাড়ি উচ্ছেদ বন্ধে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ।
বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে গোলাম মাওলা রনির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট মো. এমদাদুল হক কাজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এডভোকেট এমদাদুল হক কাজী বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে আবেদন করব। তিনি বলেন, ‘আজকে শুনানিতে আদালতকে বলেছি, গোলাম মাওলা রনি ১৯৬০ সাল থেকে এ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। জ্ঞানেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরীর কাছ থেকে গোলাম মওলা রনির বাবা বাড়িটি ক্রয় করেছেন। ১৯৭০ সালের বন্যায় এ বাড়ি পানিতে ডুবে যায়, তখন বাড়ির সব ডকুমেন্ট হারিয়ে যায়। ২০০১ সালে এ বাড়িতে দুই তলা ভবন করা হয়। তখনও সরকার কোনো কিছু জানায়নি। ২০১০ সালে রনির বাবা মারা যান। এত বছর পর বাড়ি উচ্ছেদ নিয়ে নোটিশ দিলে আমরা সেটি চ্যালেঞ্জ করে গত ৩০ জুন হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রিটটি খারিজ করে দেন।’
সরকারি জমি থেকে সাবেক এই সংসদ সদস্যর স্থাপনা সরিয়ে নিতে একাধিকবার নোটিশ দেয়া হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ জুলাই সকালে জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বাড়িটি উচ্ছেদ করে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ জুলাই, ২০২২, 8:49 PM
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বাজার এলাকায় নির্মিত সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির বাড়ি উচ্ছেদ বন্ধে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ।
বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে গোলাম মাওলা রনির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট মো. এমদাদুল হক কাজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এডভোকেট এমদাদুল হক কাজী বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে আবেদন করব। তিনি বলেন, ‘আজকে শুনানিতে আদালতকে বলেছি, গোলাম মাওলা রনি ১৯৬০ সাল থেকে এ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। জ্ঞানেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরীর কাছ থেকে গোলাম মওলা রনির বাবা বাড়িটি ক্রয় করেছেন। ১৯৭০ সালের বন্যায় এ বাড়ি পানিতে ডুবে যায়, তখন বাড়ির সব ডকুমেন্ট হারিয়ে যায়। ২০০১ সালে এ বাড়িতে দুই তলা ভবন করা হয়। তখনও সরকার কোনো কিছু জানায়নি। ২০১০ সালে রনির বাবা মারা যান। এত বছর পর বাড়ি উচ্ছেদ নিয়ে নোটিশ দিলে আমরা সেটি চ্যালেঞ্জ করে গত ৩০ জুন হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রিটটি খারিজ করে দেন।’
সরকারি জমি থেকে সাবেক এই সংসদ সদস্যর স্থাপনা সরিয়ে নিতে একাধিকবার নোটিশ দেয়া হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ জুলাই সকালে জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বাড়িটি উচ্ছেদ করে।