ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে সাগরে

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার, বরগুনা
২৫ জুলাই, ২০২২, 12:46 AM

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে সাগরে
বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। গতকাল সকাল থেকেই ট্রালারভর্তি ইলিশগুলো ঝুড়িতে করে এনে কক্সবাজার ফিশারি ঘাট মৎস্য আড়তে ফেলছেন শ্রমিকরা। এরপরই ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে আড়তদারদের।
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বাঁকখালী নদীর মোহনা দিয়ে বড় বড় ট্রলার যা”েছ সাগরে মাছ শিকারে। আবার কিছু ট্রলার ফিরছে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে। প্রতিটি ট্রলারে জেলেদের মুখে হাসি।
একদিকে চলছে মাপজোখ। অন্যদিকে চলছে দরদাম। পাইকারি ক্রেতারা দরদাম শেষে দেশের বিভিন্ন ¯’ানে পাঠানোর জন্য কার্টনে ভরা শুরু করেন। ট্রাক ও অন্যান্য গণপরিবহনের ছাদে করে সাগরের এসব ইলিশ চলে যাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
জেলেরা বলছেন, সাগরে জাল ফেলতেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। তারা এতে অনেক খুশি। এক-একটা মাছের ওজন হবে দেড় কেজির মতো।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুন মৎস্য ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও জেলেদের হাঁকডাকে সরগরম। দীর্ঘদিন পর পন্টুনে ইলিশ দেখে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে দাম বাড়তি বলেও জানান তারা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, মাছের সরবরাহ ভালো। তবে বড় মাছের দাম অনেক। ১০০ ইলিশের দাম ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা চা”েছ।
কক্সবাজারে মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ওসমান গণি টুটুল বলেন, সরকারের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফল পাওয়া যা”েছ। এ বছর লাভবান হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারে লক্ষাধিক জেলে থাকলেও নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৩ হাজারের বেশি। এ ছাড়া নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজারের বেশি।
আমাদের বরগুনা প্রতিনিধি জানান, দীর্ঘ ৬৫ দিন অলস সময় কাটিয়ে শনিবার (২৩ জুলাই) রাত ১২টার পর মাছ শিকারের জন্য নেমে পড়েন পাথরঘাটার উপকূলের জেলেরা। প্রথম দিনেই জেলেদের জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে।
জালভর্তি মাছ পাওয়ায় জেলেদের মুখে হাসি। এ যেন স্বপ্নের যাত্রা শেষে সোনার হরিণ পাওয়া। তড়িঘড়ি করে নদী ও সাগর মোহনায় মাছ শিকার করে প্রথম দিন বাজার ধরেন জেলেরা। দীর্ঘদিন পর জালভর্তি মাছ নিয়ে বিএফডিসি ঘাটে এলে ট্রলার মালিক, অনেক আড়তদার ও জেলেদের মাঝে আনন্দ উল্লাস দেখা গেছে।
ফিরে আসা জেলে আবদুল জলিল, আব্বাস মিয়া বলেন, এক খেও দিছি, যা পাইছি তড়িঘড়ি করে ভালো দাম পাওয়ার জন্য প্রথম বাজার ধরলাম।
জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার, বরগুনা
২৫ জুলাই, ২০২২, 12:46 AM

বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। গতকাল সকাল থেকেই ট্রালারভর্তি ইলিশগুলো ঝুড়িতে করে এনে কক্সবাজার ফিশারি ঘাট মৎস্য আড়তে ফেলছেন শ্রমিকরা। এরপরই ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে আড়তদারদের।
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বাঁকখালী নদীর মোহনা দিয়ে বড় বড় ট্রলার যা”েছ সাগরে মাছ শিকারে। আবার কিছু ট্রলার ফিরছে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে। প্রতিটি ট্রলারে জেলেদের মুখে হাসি।
একদিকে চলছে মাপজোখ। অন্যদিকে চলছে দরদাম। পাইকারি ক্রেতারা দরদাম শেষে দেশের বিভিন্ন ¯’ানে পাঠানোর জন্য কার্টনে ভরা শুরু করেন। ট্রাক ও অন্যান্য গণপরিবহনের ছাদে করে সাগরের এসব ইলিশ চলে যাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
জেলেরা বলছেন, সাগরে জাল ফেলতেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। তারা এতে অনেক খুশি। এক-একটা মাছের ওজন হবে দেড় কেজির মতো।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুন মৎস্য ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও জেলেদের হাঁকডাকে সরগরম। দীর্ঘদিন পর পন্টুনে ইলিশ দেখে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে দাম বাড়তি বলেও জানান তারা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, মাছের সরবরাহ ভালো। তবে বড় মাছের দাম অনেক। ১০০ ইলিশের দাম ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা চা”েছ।
কক্সবাজারে মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ওসমান গণি টুটুল বলেন, সরকারের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফল পাওয়া যা”েছ। এ বছর লাভবান হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারে লক্ষাধিক জেলে থাকলেও নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৩ হাজারের বেশি। এ ছাড়া নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজারের বেশি।
আমাদের বরগুনা প্রতিনিধি জানান, দীর্ঘ ৬৫ দিন অলস সময় কাটিয়ে শনিবার (২৩ জুলাই) রাত ১২টার পর মাছ শিকারের জন্য নেমে পড়েন পাথরঘাটার উপকূলের জেলেরা। প্রথম দিনেই জেলেদের জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে।
জালভর্তি মাছ পাওয়ায় জেলেদের মুখে হাসি। এ যেন স্বপ্নের যাত্রা শেষে সোনার হরিণ পাওয়া। তড়িঘড়ি করে নদী ও সাগর মোহনায় মাছ শিকার করে প্রথম দিন বাজার ধরেন জেলেরা। দীর্ঘদিন পর জালভর্তি মাছ নিয়ে বিএফডিসি ঘাটে এলে ট্রলার মালিক, অনেক আড়তদার ও জেলেদের মাঝে আনন্দ উল্লাস দেখা গেছে।
ফিরে আসা জেলে আবদুল জলিল, আব্বাস মিয়া বলেন, এক খেও দিছি, যা পাইছি তড়িঘড়ি করে ভালো দাম পাওয়ার জন্য প্রথম বাজার ধরলাম।