বিশ্বখ্যাত জাপানি ও সুইচ ঘড়ি এখন বাংলাদেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ এপ্রিল, ২০২২, 3:22 AM
বিশ্বখ্যাত জাপানি ও সুইচ ঘড়ি এখন বাংলাদেশে
সাঁকো ওয়াচ এন্ড কোম্পানির সহপ্রতিষ্ঠান এম্পায়ার ওয়াচ কোম্পানি আজ রবিবার রাজধানীর ইকবাল সেন্টারে বিশ্বখ্যাত সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের ঘড়ি বাজারজাত করার লক্ষ্যে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সাঁকো ওয়াচ এন্ড কোম্পানির কর্পোরেট এফেয়ার্স ডিরেক্টর মিসেস নাহিদ ফারজানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুইজারল্যান্ড টাইম রিসার্চ এক্সপিরিয়েন্সের নির্মাতা প্রফেসর সেবাস্তিন রুসু, এম্পায়ার ওয়াচর কর্ণধার ইকরামুর রহমান ও কবির ওয়াচ'র স্বত্বাধিকারী আরাফাত কবির।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যাবসায়ী সংগঠনের কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যাবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এম্পায়ার ওয়াচ বাংলাদেশে সুইচ ব্রান্ডের অ্যারো ওয়াচ, ম্যাথে টিসো এবং রিদম, জাপানিজ ওরিয়েন্ট, ক্যাসিও ও কিউ এন্ড কিউ-এর মতো বিশ্বখ্যাত সুইস ঘড়ির ব্র্যান্ডের পরিবেশক। ক্রেতাদের সক্ষমতা ও চাহিদার দিকে নজর রেখে এসব ঘড়ি মিলবে ১০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে।
এম্পায়ার ওয়াচ কোম্পানিতে নিজস্ব ব্র্যান্ডের জাপানি মুভমেন্ট মেশিনে তৈরি দেয়াল ঘড়িও রয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত রিথাম জাপানি ব্র্যান্ডের দেয়াল ঘড়ি ও টেবিল ঘড়ি বাংলাদেশে একমাত্র সোল ডিস্ট্রিবিউটরও (আমদানিকারক ও সরবরাহকারী)এম্পায়ার ওয়াচ কোম্পানি।
এছাড়াও বিখ্যাত সব ঘড়ির পাশাপাশি সুইজারল্যান্ড এর "ক্যারেন ডি'আচ " ব্র্যান্ড কলম এবং বাহরাইনের ব্র্যান্ড পিকাসো অ্যান্ড কো. ফাইন রলেরবল পেন ও এম্পায়ার ওয়াচ কোম্পানিতে পাওয়া যাচ্ছে।রেগুলার অফিস কলম রয়েছে ১,৯০০টাকা থেকে শুরু করে ২,৯০০টাকার মধ্যে, এবং লাক্সারি ফাইন রাইটিং পেন ও ফাউন্টেন পেন ১৯,০০০-৮৬,০০০ টাকার মধ্যে। ক্যারেন ডি'আচ জেনেভার তৈরি কাঠ পেন্সিলও রঙ পেন্সিল এবং অ্যাক্রিলিক কলম ও এখানে পাওয়া যাবে স্বল্প মূল্যে।
পেইন্টিং শিল্পীরা বলেছেন রঙটি গভীর এবং প্রাণবন্ত এবং পেন্সিলগুলি ভালভাবে তৈরি এবং ধারালো করা সহজ, এছাড়াও উল্লেখ করার মতো খুব আকর্ষণীয় লাইটফাস্টনেসও।
প্রধান অতিথি বলেন, ঘড়ির আবেদন এখনো ফুরায়নি। ঘড়ির প্রযুক্তিতে রূপান্তর ঘটেছ। অ্যানালগের বদলে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল সার্কিট। এ ছাড়া যুগের সঙ্গে ঘড়িও স্মার্ট হয়েছে, প্রযুক্তির দিক থেকে এগিয়েছে আর নকশাতে এসেছে পরিবর্তন। তবে ঘড়ির ঐতিহ্যের যে আবেদন, তা থেকেই গেছে।
বাজারে সব বয়সের ও পেশার মানুষের কথা মাথায় রেখে বিক্রেতারা নানা ধরনের হাতঘড়ি বিক্রি করে। মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে ফ্যাশনের কথা মাথায় রেখে ঘড়ি কেনেন। তবে এখনকার হাতঘড়িতেও প্রযুক্তির নানা সুবিধা যুক্ত করে দেন এর নির্মাতারা। সময়ের পাশাপাশি দিন, তারিখও দেখায় অনেক হাতঘড়ি।
প্রফেসর সেবাস্তিন রুসু বলেন, সুইজারল্যান্ডে ঘড়ি মানে, দামী বা বিলাসী পণ্য এমন ন। বিশ্ববাসীর কাছে এটি সুইসদের শৈল্পিক চেতনা তুলে ধরে’। বিশ্বের সেরা ঘড়ির বাজার মানেই সুইজারল্যান্ড। গুণগত মান, আভিজাত্য ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তিই বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে এগিয়ে রেখেছে সুইস ঘড়িকে।
প্রতিটি ঘড়ি যেন এক একটি শিল্পকর্ম। ধাতব ক্যানভাসে তুলির নিপুণ আঁচড় খেলা করে এখান। মেকানিক্যাল বা যান্ত্রিক ঘড়ি তৈরি হয় শিল্প ও শিল্পীর সার্থক সমন্বয়ে। শতাধিক যন্ত্রাংশের সন্নিবেশে নির্মাণের পর নিখুঁত সময় দেয়ার পরীক্ষা। তাতে সফল হলে ছাড়পত্র মেলে ক্রেতার কাছে যাবার।
উদ্যোক্তা ইকরামুর রহমান বলেন, বেশিরভাগ সুইস ঘড়িতেই থাকে দুই বছরের ওয়ারেন্ট। সমস্যা হলে বিশ্বের যে কোনো দেশের আউটলেট থেকে বদলে নেয়া যাবে। তবে, কোনো কোনো অভিজাত ব্র্যান্ডে এই সুবিধা মিলছে ৫ বছর পর্যন্ত।
প্রখ/ সাদ্দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ এপ্রিল, ২০২২, 3:22 AM
সাঁকো ওয়াচ এন্ড কোম্পানির সহপ্রতিষ্ঠান এম্পায়ার ওয়াচ কোম্পানি আজ রবিবার রাজধানীর ইকবাল সেন্টারে বিশ্বখ্যাত সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের ঘড়ি বাজারজাত করার লক্ষ্যে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সাঁকো ওয়াচ এন্ড কোম্পানির কর্পোরেট এফেয়ার্স ডিরেক্টর মিসেস নাহিদ ফারজানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুইজারল্যান্ড টাইম রিসার্চ এক্সপিরিয়েন্সের নির্মাতা প্রফেসর সেবাস্তিন রুসু, এম্পায়ার ওয়াচর কর্ণধার ইকরামুর রহমান ও কবির ওয়াচ'র স্বত্বাধিকারী আরাফাত কবির।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যাবসায়ী সংগঠনের কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যাবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এম্পায়ার ওয়াচ বাংলাদেশে সুইচ ব্রান্ডের অ্যারো ওয়াচ, ম্যাথে টিসো এবং রিদম, জাপানিজ ওরিয়েন্ট, ক্যাসিও ও কিউ এন্ড কিউ-এর মতো বিশ্বখ্যাত সুইস ঘড়ির ব্র্যান্ডের পরিবেশক। ক্রেতাদের সক্ষমতা ও চাহিদার দিকে নজর রেখে এসব ঘড়ি মিলবে ১০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে।
এম্পায়ার ওয়াচ কোম্পানিতে নিজস্ব ব্র্যান্ডের জাপানি মুভমেন্ট মেশিনে তৈরি দেয়াল ঘড়িও রয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত রিথাম জাপানি ব্র্যান্ডের দেয়াল ঘড়ি ও টেবিল ঘড়ি বাংলাদেশে একমাত্র সোল ডিস্ট্রিবিউটরও (আমদানিকারক ও সরবরাহকারী)এম্পায়ার ওয়াচ কোম্পানি।
এছাড়াও বিখ্যাত সব ঘড়ির পাশাপাশি সুইজারল্যান্ড এর "ক্যারেন ডি'আচ " ব্র্যান্ড কলম এবং বাহরাইনের ব্র্যান্ড পিকাসো অ্যান্ড কো. ফাইন রলেরবল পেন ও এম্পায়ার ওয়াচ কোম্পানিতে পাওয়া যাচ্ছে।রেগুলার অফিস কলম রয়েছে ১,৯০০টাকা থেকে শুরু করে ২,৯০০টাকার মধ্যে, এবং লাক্সারি ফাইন রাইটিং পেন ও ফাউন্টেন পেন ১৯,০০০-৮৬,০০০ টাকার মধ্যে। ক্যারেন ডি'আচ জেনেভার তৈরি কাঠ পেন্সিলও রঙ পেন্সিল এবং অ্যাক্রিলিক কলম ও এখানে পাওয়া যাবে স্বল্প মূল্যে।
পেইন্টিং শিল্পীরা বলেছেন রঙটি গভীর এবং প্রাণবন্ত এবং পেন্সিলগুলি ভালভাবে তৈরি এবং ধারালো করা সহজ, এছাড়াও উল্লেখ করার মতো খুব আকর্ষণীয় লাইটফাস্টনেসও।
প্রধান অতিথি বলেন, ঘড়ির আবেদন এখনো ফুরায়নি। ঘড়ির প্রযুক্তিতে রূপান্তর ঘটেছ। অ্যানালগের বদলে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল সার্কিট। এ ছাড়া যুগের সঙ্গে ঘড়িও স্মার্ট হয়েছে, প্রযুক্তির দিক থেকে এগিয়েছে আর নকশাতে এসেছে পরিবর্তন। তবে ঘড়ির ঐতিহ্যের যে আবেদন, তা থেকেই গেছে।
বাজারে সব বয়সের ও পেশার মানুষের কথা মাথায় রেখে বিক্রেতারা নানা ধরনের হাতঘড়ি বিক্রি করে। মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে ফ্যাশনের কথা মাথায় রেখে ঘড়ি কেনেন। তবে এখনকার হাতঘড়িতেও প্রযুক্তির নানা সুবিধা যুক্ত করে দেন এর নির্মাতারা। সময়ের পাশাপাশি দিন, তারিখও দেখায় অনেক হাতঘড়ি।
প্রফেসর সেবাস্তিন রুসু বলেন, সুইজারল্যান্ডে ঘড়ি মানে, দামী বা বিলাসী পণ্য এমন ন। বিশ্ববাসীর কাছে এটি সুইসদের শৈল্পিক চেতনা তুলে ধরে’। বিশ্বের সেরা ঘড়ির বাজার মানেই সুইজারল্যান্ড। গুণগত মান, আভিজাত্য ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তিই বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে এগিয়ে রেখেছে সুইস ঘড়িকে।
প্রতিটি ঘড়ি যেন এক একটি শিল্পকর্ম। ধাতব ক্যানভাসে তুলির নিপুণ আঁচড় খেলা করে এখান। মেকানিক্যাল বা যান্ত্রিক ঘড়ি তৈরি হয় শিল্প ও শিল্পীর সার্থক সমন্বয়ে। শতাধিক যন্ত্রাংশের সন্নিবেশে নির্মাণের পর নিখুঁত সময় দেয়ার পরীক্ষা। তাতে সফল হলে ছাড়পত্র মেলে ক্রেতার কাছে যাবার।
উদ্যোক্তা ইকরামুর রহমান বলেন, বেশিরভাগ সুইস ঘড়িতেই থাকে দুই বছরের ওয়ারেন্ট। সমস্যা হলে বিশ্বের যে কোনো দেশের আউটলেট থেকে বদলে নেয়া যাবে। তবে, কোনো কোনো অভিজাত ব্র্যান্ডে এই সুবিধা মিলছে ৫ বছর পর্যন্ত।
প্রখ/ সাদ্দাম