শিরোনামঃ
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ নারীর অগ্রগতি ও উন্নয়নে তথ্য অধিকার আইন চর্চার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ যশোর, বাগেরহাট ও নড়াইলের ছাত্রদলের কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তিন নেতা ইডিসিএল গিলে খাচ্ছে জগলুল জুড়ীতে ভূয়া রশিদ দিয়ে কুরবানীর পশু বিক্রির অভিযোগ মোমিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নাকচ করায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের বিক্ষোভ মিছিল বর্হিবিশ্বে লন্ডনে স্হাপিত জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ সামন্তলাল সেন সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ বিটিএ’র পক্ষ থেকে নব নিযুক্ত পরিচালককে অভিনন্দন বিকাশ দেওয়ান ছিলেন একজন সফল এমডি

রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা: এক আসামির মৃত্যুদন্ডের রায় রিভিউ’র শুনানি ১৭ নভেম্বর

#
news image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের মৃত্যুদন্ড বহালের রায় রিভিউ’র আবেদন শুনানির জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি বোরহান উদ্দিন বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে প্রেরণ করে শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
আজ বাসসকে এ কথা জানান নিহত অধ্যাপক তাহেরের কন্যা সুপ্রিমকোর্টের এডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ।
অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদন্ড বহালের রায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ রায় প্রদানকারী আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ৬৮ পৃষ্ঠায় দেয়া রায়টি প্রকাশ করা হয়েছে। আপিল বিভাগ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছে, ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হতে পারবেন না, এমন আশংকা থেকে খুন করেন মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
শুনানি শেষে গত ৫ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রেখে রায় দেয় আপিল বিভাগ। এরপর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলো। এডভোকেট সেগুফতা বলেন, ‘আমরা রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পেয়েছি। এক আসামি ওই রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করেছে।’
রায়টি ঘোষণার পর এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘ড. তাহের হত্যা ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। এর মাধ্যমে অন্যদের কাছেও বার্তা যাবে যে, এ ধরনের জঘন্য অপরাধীদের ছাড় নেই।’
ড. এস তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ বলেন, ‘১৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। আপিল বিভাগ আজ আসামিদের সাজা বহাল রেখেছে। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। রায় কার্যকর হলে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবো।’
অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদন্ড ও দু’জনকে বেকসুর খালাস দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করা হয়।
২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগ দুই আসামির ফাঁসির দন্ড বহাল রাখে এবং অন্য দুই আসামির দন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করে। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখে।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক ড. তাহেরের মৃতদেহ। এর দুই দিন পর ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অনলাইন ডেস্ক

০৬ অক্টোবর, ২০২২,  10:11 PM

news image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের মৃত্যুদন্ড বহালের রায় রিভিউ’র আবেদন শুনানির জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি বোরহান উদ্দিন বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে প্রেরণ করে শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
আজ বাসসকে এ কথা জানান নিহত অধ্যাপক তাহেরের কন্যা সুপ্রিমকোর্টের এডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ।
অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদন্ড বহালের রায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ রায় প্রদানকারী আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ৬৮ পৃষ্ঠায় দেয়া রায়টি প্রকাশ করা হয়েছে। আপিল বিভাগ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছে, ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হতে পারবেন না, এমন আশংকা থেকে খুন করেন মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
শুনানি শেষে গত ৫ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রেখে রায় দেয় আপিল বিভাগ। এরপর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলো। এডভোকেট সেগুফতা বলেন, ‘আমরা রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পেয়েছি। এক আসামি ওই রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করেছে।’
রায়টি ঘোষণার পর এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘ড. তাহের হত্যা ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। এর মাধ্যমে অন্যদের কাছেও বার্তা যাবে যে, এ ধরনের জঘন্য অপরাধীদের ছাড় নেই।’
ড. এস তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ বলেন, ‘১৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। আপিল বিভাগ আজ আসামিদের সাজা বহাল রেখেছে। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। রায় কার্যকর হলে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবো।’
অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদন্ড ও দু’জনকে বেকসুর খালাস দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করা হয়।
২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগ দুই আসামির ফাঁসির দন্ড বহাল রাখে এবং অন্য দুই আসামির দন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করে। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখে।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক ড. তাহেরের মৃতদেহ। এর দুই দিন পর ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।