শিরোনামঃ
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা রহিম আল-হুসাইনি আগা খান পঞ্চম-এর অভিষেক অনুষ্ঠিত আগা খান ৪র্থ আসওয়ান ,মিশরে শায়িত হলেন শিয়া ইসমাইলি মুসলিমদের ৪৯তম ইমাম আগা খানের জানাজা অনুষ্ঠিত মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি বাজারের ক্রয়কৃত দোকান দখল, থানায় অভিযোগ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখনো সক্রিয় সড়কের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ২০২৪ এর পুনর্জন্ম : উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

শেরপুরে ক্যাথলিক বারমারী মিশনে ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব শুরু

#
news image

জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা ক্যাথলিক বারমারী মিশনে আজ শুরু হলো ফাতেমা রাণীর সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে দু’দিনব্যাপী তীর্থোৎসব। লাখো পূণ্যার্থীর এই উৎসবকে ঘিরে নেয়া হয়েছে জোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শেরপুর সীমান্তের সাধু লিওর ধর্মপল্লী। পাহাড়ের বুকে পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে তৈরি এই ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হয় এই তীর্থযাত্রা। মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণকর্মে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া- এ মূলসুরে এবার ২৫তম তীর্থোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বারমারী সাধু লিওর এ ধর্মপল্লীটি ১৯৯৮ সাল থেকে বার্ষিক তীর্থ স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব। শুধু শেরপুর নয়, দেশ বিদেশের প্রায় লাখো পূণ্যার্থী অংশ নেয় এই তীর্থ যাত্রায়।

ধর্মপল্লীর খ্রিষ্ট সাধুরা বলেন, ‘করোনার ধকল কাটিয়ে এবারো মহাসমারোহে হচ্ছে ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের বড় এই ধর্মীয় উৎসব। নালিতাবাড়ীর বারোমারী খ্রিষ্টান মিশনের ফাদার তরুণ বানোয়ারী জানান, অন্যান্যবারের চেয়ে এবার ভক্ত সমাগম বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি। বারমারী ধর্মপল্লীর সহ-সভাপতি ও সাবেক ট্রাইবাল চেয়ারম্যান মি. লুইস নেংমিনজা জানান, এবারের তীর্থ উৎসবে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকার বনানীর মেজর সেমিনারীর প্রাক্তণ রেক্টর রেভারেন্ট ফাদার গাব্রেল কোরাইয়া। আজ ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে ধর্মীও আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এই আলোর মিছিল দেখার জন্য খ্রিষ্টান ধর্মের লোকজন ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের লোকজনের আগমন ঘটবে।   

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান শান্তি পূর্ণভাবে শেষ করার জন্য সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা কাজ করছি। শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বাসসকে বলেন, তীর্থোৎসবকে ঘিরে পুরো এলাকাজুড়ে নেয়া হয়েছে কঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গত কয়েকদিন থেকেই গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে পুরো পল্লী। বারমারীর পুরো এলাকাটি সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দুই দিনব্যাপী মিশন পল্লীতে মোতায়েন থাকবে। পুলিশ সুপার বলেন, এই ধর্মপল্লীতে ৫০ হাজার পূণ্যার্থী প্রার্থনায় অংশ নিচ্ছেন। ধর্মপল্লীতে যানজট নিরসনের জন্য প্রচুর সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত থাকছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ অক্টোবর, ২০২২,  10:16 PM

news image

জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা ক্যাথলিক বারমারী মিশনে আজ শুরু হলো ফাতেমা রাণীর সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে দু’দিনব্যাপী তীর্থোৎসব। লাখো পূণ্যার্থীর এই উৎসবকে ঘিরে নেয়া হয়েছে জোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শেরপুর সীমান্তের সাধু লিওর ধর্মপল্লী। পাহাড়ের বুকে পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে তৈরি এই ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হয় এই তীর্থযাত্রা। মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণকর্মে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া- এ মূলসুরে এবার ২৫তম তীর্থোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বারমারী সাধু লিওর এ ধর্মপল্লীটি ১৯৯৮ সাল থেকে বার্ষিক তীর্থ স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব। শুধু শেরপুর নয়, দেশ বিদেশের প্রায় লাখো পূণ্যার্থী অংশ নেয় এই তীর্থ যাত্রায়।

ধর্মপল্লীর খ্রিষ্ট সাধুরা বলেন, ‘করোনার ধকল কাটিয়ে এবারো মহাসমারোহে হচ্ছে ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের বড় এই ধর্মীয় উৎসব। নালিতাবাড়ীর বারোমারী খ্রিষ্টান মিশনের ফাদার তরুণ বানোয়ারী জানান, অন্যান্যবারের চেয়ে এবার ভক্ত সমাগম বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি। বারমারী ধর্মপল্লীর সহ-সভাপতি ও সাবেক ট্রাইবাল চেয়ারম্যান মি. লুইস নেংমিনজা জানান, এবারের তীর্থ উৎসবে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকার বনানীর মেজর সেমিনারীর প্রাক্তণ রেক্টর রেভারেন্ট ফাদার গাব্রেল কোরাইয়া। আজ ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে ধর্মীও আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এই আলোর মিছিল দেখার জন্য খ্রিষ্টান ধর্মের লোকজন ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের লোকজনের আগমন ঘটবে।   

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান শান্তি পূর্ণভাবে শেষ করার জন্য সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা কাজ করছি। শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বাসসকে বলেন, তীর্থোৎসবকে ঘিরে পুরো এলাকাজুড়ে নেয়া হয়েছে কঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গত কয়েকদিন থেকেই গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে পুরো পল্লী। বারমারীর পুরো এলাকাটি সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দুই দিনব্যাপী মিশন পল্লীতে মোতায়েন থাকবে। পুলিশ সুপার বলেন, এই ধর্মপল্লীতে ৫০ হাজার পূণ্যার্থী প্রার্থনায় অংশ নিচ্ছেন। ধর্মপল্লীতে যানজট নিরসনের জন্য প্রচুর সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত থাকছে।