নিরাপদ প্রস্থানের একমাত্র পথ নির্বাচনঃ কাদের
অনলাইন ডেস্ক
০২ ডিসেম্বর, ২০২২, 1:12 AM
নিরাপদ প্রস্থানের একমাত্র পথ নির্বাচনঃ কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরাপদ প্রস্থানের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনেই প্রমাণ হবে, কারা বিজয়ী হবে আর কাদের পতন হবে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি বিএনপিকে আবার বলতে চাই, আসুন পরবর্তী নির্বাচনে।
ফখরুল গতকাল (বুধবার) সরকারকে নিরাপদে প্রস্থান করতে বলেছেন। আমি বলতে চাই, নিরাপদ প্রস্থানের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন।
বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে। অপেক্ষা করুন, নির্বাচনে খেলা হবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে। বিএনপির আগুন আর লাঠির বিরুদ্ধে খেলা হবে। আগুন আর লাঠি নিয়ে এলে খেলা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে খেলা হবে।
ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল এখন নাটক শুরু করেছেন। নাটক কী? কোথাও সমাবেশ দিলে সাতদিন আগে থেকে প্রচার করেন, মিথ্যাচার করেন, বাধা দেওয়া হচ্ছে। সরকার বাধা দিচ্ছে। আর কাঁথা-বালিশ, হাঁড়ি-পাতিল, চালের বস্তা, সঙ্গে টাকার বস্তা আর মশার কয়েল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসেন। কুমিল্লায় তো কেউ বাধা দেয়নি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। ফখরুলের মুখে মধু আর অন্তরে বিষ। এরই নাম ফখরুল। ফখরুল সাহেব-অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের মিটিংয়ে কেউ বাধা দেবে না। আমরা রাহশাহীতেও বলে দিয়েছি, সেখানে যেন পরিবহন ধর্মঘট না করে। ঢাকায়ও পরিবহন ধর্মঘট হবে না, নেত্রী বলে দিয়েছেন, যোগ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার পরও যদি বাড়াবাড়ি করেন, লাফালাফি করেন, আগুন নিয়ে নামেন, লাঠির সঙ্গে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে মাঠে নামেন, তাহলে খবর আছে। পাল্টাপাল্টি আমরা করবো না। আমরা শান্তি চাই। আমরা ক্ষমতায় আছি। ক্ষমতায় থেকে অশান্তি কেন আমরা করবো? মানুষকে কেন আতঙ্কে রাখবো?
বিশ্ব পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা একটু বিপদে আছি। মানুষ কষ্টে আছে। অভাবী মানুষ, স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্টে আছে। এটা শেখ হাসিনা নিজেই স্বীকার করেন। চেষ্টা করছেন তিনি। এখানো বাংলাদেশে সোমালিয়া-সুদানের মতো দুর্ভিক্ষ হয়নি। এখনও আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি। শেখ হাসিনা ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তারেক লন্ডনে বসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাই তারেকের হাওয়া ভবনের অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। বাংলাদেশ থেকে কত টাকা পাচার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সব টাকা উদ্ধার করা হবে। তারেক রহমানসহ সব টাকা পাচারকারীর টাকা উদ্ধার করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো এতো সৎ, সাহসী রাজনীতিবিদ, দক্ষ, বিচক্ষণ ও ত্যাগি মানুষ ১৯৭৫ এর পর আর আসেনি। যতদিন আছে শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ, বলেন ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিরেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
এতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এমপি মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এমপি মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও এমপি নার্গিস রহমান বক্তব্য দেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে শেখ ফজলুল করিম সেলিম আওয়ামী লীগের গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন শাখার কমিটি ঘোষণা করেন। জেলা কমিটিতে এমপি মাহাবুব আলী খানকে সভাপতি ও জিএম সাহাব উদ্দিন আজমকে সাধারণ সম্পাদক করে করা হয়। কাজী লিয়াকত আলী লেকুকে সভাপতি ও আবু সিদ্দিককে সাধারণ সম্পাদক করে সদর উপজেলা কমিটি এবং গোলম কবিরকে সভাপতি ও আলীমুজ্জামান বিটুকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক
০২ ডিসেম্বর, ২০২২, 1:12 AM
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরাপদ প্রস্থানের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনেই প্রমাণ হবে, কারা বিজয়ী হবে আর কাদের পতন হবে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি বিএনপিকে আবার বলতে চাই, আসুন পরবর্তী নির্বাচনে।
ফখরুল গতকাল (বুধবার) সরকারকে নিরাপদে প্রস্থান করতে বলেছেন। আমি বলতে চাই, নিরাপদ প্রস্থানের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন।
বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে। অপেক্ষা করুন, নির্বাচনে খেলা হবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে। বিএনপির আগুন আর লাঠির বিরুদ্ধে খেলা হবে। আগুন আর লাঠি নিয়ে এলে খেলা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে খেলা হবে।
ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল এখন নাটক শুরু করেছেন। নাটক কী? কোথাও সমাবেশ দিলে সাতদিন আগে থেকে প্রচার করেন, মিথ্যাচার করেন, বাধা দেওয়া হচ্ছে। সরকার বাধা দিচ্ছে। আর কাঁথা-বালিশ, হাঁড়ি-পাতিল, চালের বস্তা, সঙ্গে টাকার বস্তা আর মশার কয়েল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসেন। কুমিল্লায় তো কেউ বাধা দেয়নি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। ফখরুলের মুখে মধু আর অন্তরে বিষ। এরই নাম ফখরুল। ফখরুল সাহেব-অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের মিটিংয়ে কেউ বাধা দেবে না। আমরা রাহশাহীতেও বলে দিয়েছি, সেখানে যেন পরিবহন ধর্মঘট না করে। ঢাকায়ও পরিবহন ধর্মঘট হবে না, নেত্রী বলে দিয়েছেন, যোগ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার পরও যদি বাড়াবাড়ি করেন, লাফালাফি করেন, আগুন নিয়ে নামেন, লাঠির সঙ্গে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে মাঠে নামেন, তাহলে খবর আছে। পাল্টাপাল্টি আমরা করবো না। আমরা শান্তি চাই। আমরা ক্ষমতায় আছি। ক্ষমতায় থেকে অশান্তি কেন আমরা করবো? মানুষকে কেন আতঙ্কে রাখবো?
বিশ্ব পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা একটু বিপদে আছি। মানুষ কষ্টে আছে। অভাবী মানুষ, স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্টে আছে। এটা শেখ হাসিনা নিজেই স্বীকার করেন। চেষ্টা করছেন তিনি। এখানো বাংলাদেশে সোমালিয়া-সুদানের মতো দুর্ভিক্ষ হয়নি। এখনও আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি। শেখ হাসিনা ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তারেক লন্ডনে বসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাই তারেকের হাওয়া ভবনের অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। বাংলাদেশ থেকে কত টাকা পাচার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সব টাকা উদ্ধার করা হবে। তারেক রহমানসহ সব টাকা পাচারকারীর টাকা উদ্ধার করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো এতো সৎ, সাহসী রাজনীতিবিদ, দক্ষ, বিচক্ষণ ও ত্যাগি মানুষ ১৯৭৫ এর পর আর আসেনি। যতদিন আছে শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ, বলেন ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিরেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
এতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এমপি মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এমপি মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও এমপি নার্গিস রহমান বক্তব্য দেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে শেখ ফজলুল করিম সেলিম আওয়ামী লীগের গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন শাখার কমিটি ঘোষণা করেন। জেলা কমিটিতে এমপি মাহাবুব আলী খানকে সভাপতি ও জিএম সাহাব উদ্দিন আজমকে সাধারণ সম্পাদক করে করা হয়। কাজী লিয়াকত আলী লেকুকে সভাপতি ও আবু সিদ্দিককে সাধারণ সম্পাদক করে সদর উপজেলা কমিটি এবং গোলম কবিরকে সভাপতি ও আলীমুজ্জামান বিটুকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।