বিএনপির ১০ দফায় নতুনত্ব কিছু নেই: কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, 12:36 AM
বিএনপির ১০ দফায় নতুনত্ব কিছু নেই: কাদের
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ১০ দফা দাবির মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই, এরপরও কিছু আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, মেনে নেওয়ার মতো কোনো দাবি আছে কি না। ১০ ডিসেম্বর সব অচল করে দেওয়ার ছক এঁকে বিএনপি এখন নিজেরাই অচল জয়ে গেছে। বিএনপির সংসদ সদস্যরা চলে গেলেন, এভাবে বয়কট করা বড় ভুল, অচিরেই তারা বুঝতে পারবেন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, নির্বাচন চালনায় নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনে মূলশক্তি। সরকার শুধু সহযোগিতা করবে। বিএনপির মতো আওয়ামী লীগেরও দাবি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন বলেও তিনি জানান। আজ ১২ ডিসেম্বর (সামবার) নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামের সামনের মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি তার রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধকের বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জি: মোশাররফ হোসেন এম.পি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। এই সাফল্য শেখ হাসিনার, এই সাফল্য আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। তৃণমূল আওয়ামী লীগের ঐক্য ধরে রাখা গেলে শেখ হাসিনার সমাদৃত ও প্রশংসিত অর্জনগুলোর কারণে আওয়ামী লীগের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন থেকে নিতে হবে। তূণমূল আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী সংগঠন থাকলে কেউ আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবেনা।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এম.পি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ধারাবাহিকভাবে পর পর চারবার দেশের শাসনভার গ্রহণ করে আজ জনগণকে সেবা ও দেশের কল্যাণ করে যাচ্ছেন। আজকে আমি মনে করি বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী এমন একটি দল, যে দলের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা এনেছিলেন। দেশে আওয়ামী লীগের মত মানুষের সেবা দিয়েছে এমন কোন দল নেই। খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। বিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে অনেকাংশে। উন্নয়নের যে ধারা দেখা যাচ্ছে তাতে বিশ্লেষকরা বলছেন শীঘ্রই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। তাই এই দেশে শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি বলেছিল সরকারের পতন ঘটাবে, ১০ তারিখের পর থেকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে। তারা সরকারের পতন ঘটাতে এসে নিজেদের পতন ঘটিয়ে দিয়েছেন। সরকারের পদত্যাগ চাইতে এসে নিজেরা পদত্যাগ করে বসলেন সংসদ থেকে। বিএনপি মনে করেছেন সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে সরকারের ভীত নড়ে যাবে। সরকারের একটু কাতুকুতু লেগেছে এর বেশি কিছু হয়নি। তারা যেদিন পদত্যাগ করেছে সেদিনই সংসদ সচিবালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে সংসদের আসন শূন্য ঘোষণা করেছে। সামনে উপনির্বাচন হবে, এখন তারা বুঝবে কি ভুলটি তারা করেছেন। বিএনপিকে উদ্দেশ্য ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে গিয়ে বিএনপি নিজেরাই ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এমন শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে কেউ ধাক্কা দিলে সেই নিচে পড়ে যায়। কঠিন দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেলে, দেওয়ালের যেমন কিছু হয় না, উল্টো যে ধাক্কা দেয় সেই মাথায় ব্যথা পায়। তেমনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ধাক্কা খেতে এলে আওয়ামী লীগের কিছুই হবে না। উল্টো বিএনপি ভেঙে পড়ে যাবে।
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেন, জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূলের নেতারাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রেখেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে নানা সমস্যা নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ আ.লীগ। অনেক নেতা দ্বিধান্বিত ও বিচলিত হয়েছেন, অনেক নেতা দল ত্যাগ করেছেন, মূল নেতৃত্বের সঙ্গে বেঈমানি করেছেন। কিন্তু কর্মীরা কখনো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেঈমানি করেনি। নেতা-কর্মীদের ঐক্যের কারনে শেখ হাসিনা অতীতে বহু বিপদ সঙ্কুল পথ পেরিয়েছে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। শেখ হাসিনা মানে উন্নয়ন, অগ্রগতি, শেখ হাসিনা থাকলেই দেশ ভাল থাকবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের বিরুদ্ধে চলমান সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের সবাইকে সুসংগঠিত হতে হবে, কোনও নেতার নামে স্লোাগান না দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হোন। নির্বাচনের আরেকটি বছর বাকি রয়েছে। এসময়ের মধ্যে আমাদের একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে হবে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। আমরা যদি একতাবদ্ধ থাকতে পারি, তাহলে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করার কোনও শক্তি নেই। সমগ্র বাংলাদেশে যে সমতার উন্নয়ন হয়েছে, সে উন্নয়নের ধারা যদি আমরা অব্যাহত রাখতে চাই, তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেছেন, সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে নেতা-কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব থাকতে হবে। দেশি-বিদেশি চক্র দেশ নিয়ে চক্রান্ত করছে। আমরা তাদের শক্ত হাতে দমন করবো। ভার্চ্যুয়ালি দেশের বিরুদ্ধে পরিচালিত সকল ষড়যন্ত্র ভার্চুয়ালি জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বলবো- মিছিল-মিটিং, ব্যানার-পোস্টারে নিজেকে বেশি নিমজ্জিত না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন তুলে ধরতে হবে। কোনও অপশক্তিকে এ দেশে সন্ত্রাসবাদ কায়েম করতে দেওয়া হবে না।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দীন আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী এমপি, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ। সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটি, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগের প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধি সহ প্রায় দশ হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে যোগ দেন।
সম্মেলনের ২য় অধিবেশন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি সভাপতিত্ব করেন এবং পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। ২য় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপিকে সভাপতি ও মফিজুর রহমানকে সাধারণ করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, 12:36 AM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ১০ দফা দাবির মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই, এরপরও কিছু আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, মেনে নেওয়ার মতো কোনো দাবি আছে কি না। ১০ ডিসেম্বর সব অচল করে দেওয়ার ছক এঁকে বিএনপি এখন নিজেরাই অচল জয়ে গেছে। বিএনপির সংসদ সদস্যরা চলে গেলেন, এভাবে বয়কট করা বড় ভুল, অচিরেই তারা বুঝতে পারবেন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, নির্বাচন চালনায় নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনে মূলশক্তি। সরকার শুধু সহযোগিতা করবে। বিএনপির মতো আওয়ামী লীগেরও দাবি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন বলেও তিনি জানান। আজ ১২ ডিসেম্বর (সামবার) নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামের সামনের মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি তার রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধকের বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জি: মোশাররফ হোসেন এম.পি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। এই সাফল্য শেখ হাসিনার, এই সাফল্য আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। তৃণমূল আওয়ামী লীগের ঐক্য ধরে রাখা গেলে শেখ হাসিনার সমাদৃত ও প্রশংসিত অর্জনগুলোর কারণে আওয়ামী লীগের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন থেকে নিতে হবে। তূণমূল আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী সংগঠন থাকলে কেউ আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবেনা।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এম.পি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ধারাবাহিকভাবে পর পর চারবার দেশের শাসনভার গ্রহণ করে আজ জনগণকে সেবা ও দেশের কল্যাণ করে যাচ্ছেন। আজকে আমি মনে করি বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী এমন একটি দল, যে দলের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা এনেছিলেন। দেশে আওয়ামী লীগের মত মানুষের সেবা দিয়েছে এমন কোন দল নেই। খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। বিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে অনেকাংশে। উন্নয়নের যে ধারা দেখা যাচ্ছে তাতে বিশ্লেষকরা বলছেন শীঘ্রই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। তাই এই দেশে শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি বলেছিল সরকারের পতন ঘটাবে, ১০ তারিখের পর থেকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে। তারা সরকারের পতন ঘটাতে এসে নিজেদের পতন ঘটিয়ে দিয়েছেন। সরকারের পদত্যাগ চাইতে এসে নিজেরা পদত্যাগ করে বসলেন সংসদ থেকে। বিএনপি মনে করেছেন সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে সরকারের ভীত নড়ে যাবে। সরকারের একটু কাতুকুতু লেগেছে এর বেশি কিছু হয়নি। তারা যেদিন পদত্যাগ করেছে সেদিনই সংসদ সচিবালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে সংসদের আসন শূন্য ঘোষণা করেছে। সামনে উপনির্বাচন হবে, এখন তারা বুঝবে কি ভুলটি তারা করেছেন। বিএনপিকে উদ্দেশ্য ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে গিয়ে বিএনপি নিজেরাই ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এমন শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে কেউ ধাক্কা দিলে সেই নিচে পড়ে যায়। কঠিন দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেলে, দেওয়ালের যেমন কিছু হয় না, উল্টো যে ধাক্কা দেয় সেই মাথায় ব্যথা পায়। তেমনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ধাক্কা খেতে এলে আওয়ামী লীগের কিছুই হবে না। উল্টো বিএনপি ভেঙে পড়ে যাবে।
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেন, জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূলের নেতারাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রেখেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে নানা সমস্যা নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ আ.লীগ। অনেক নেতা দ্বিধান্বিত ও বিচলিত হয়েছেন, অনেক নেতা দল ত্যাগ করেছেন, মূল নেতৃত্বের সঙ্গে বেঈমানি করেছেন। কিন্তু কর্মীরা কখনো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেঈমানি করেনি। নেতা-কর্মীদের ঐক্যের কারনে শেখ হাসিনা অতীতে বহু বিপদ সঙ্কুল পথ পেরিয়েছে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। শেখ হাসিনা মানে উন্নয়ন, অগ্রগতি, শেখ হাসিনা থাকলেই দেশ ভাল থাকবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের বিরুদ্ধে চলমান সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের সবাইকে সুসংগঠিত হতে হবে, কোনও নেতার নামে স্লোাগান না দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হোন। নির্বাচনের আরেকটি বছর বাকি রয়েছে। এসময়ের মধ্যে আমাদের একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে হবে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। আমরা যদি একতাবদ্ধ থাকতে পারি, তাহলে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করার কোনও শক্তি নেই। সমগ্র বাংলাদেশে যে সমতার উন্নয়ন হয়েছে, সে উন্নয়নের ধারা যদি আমরা অব্যাহত রাখতে চাই, তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেছেন, সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে নেতা-কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব থাকতে হবে। দেশি-বিদেশি চক্র দেশ নিয়ে চক্রান্ত করছে। আমরা তাদের শক্ত হাতে দমন করবো। ভার্চ্যুয়ালি দেশের বিরুদ্ধে পরিচালিত সকল ষড়যন্ত্র ভার্চুয়ালি জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বলবো- মিছিল-মিটিং, ব্যানার-পোস্টারে নিজেকে বেশি নিমজ্জিত না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন তুলে ধরতে হবে। কোনও অপশক্তিকে এ দেশে সন্ত্রাসবাদ কায়েম করতে দেওয়া হবে না।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দীন আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী এমপি, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ। সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটি, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগের প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধি সহ প্রায় দশ হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে যোগ দেন।
সম্মেলনের ২য় অধিবেশন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি সভাপতিত্ব করেন এবং পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। ২য় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপিকে সভাপতি ও মফিজুর রহমানকে সাধারণ করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি।