শিরোনামঃ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল মানবাধিকার সংস্থা চেয়ারম্যান কে প্রাণনাশের হুমকি আদালতে মামলা জাতিসংঘে নারী সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন: কৃষি উন্নয়নে নতুন উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার

জ্বর নামাতে যা করতে হবে

#
news image

বিভিন্ন রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ জ্বর। এটা কোনো রোগ নয়। বিভিন্ন কারণে আমাদের জ¦র হয়ে থাকে। সামান্য ঠাণ্ডা লাগলে কিংবা শরীরের কোথাও জীবাণুর সংক্রমণ বা  ইনফেকশন হলেও জ্বর হয়।
অসুস্থ রোগীর ৯৯.১৪ ফারেনহাইটই জ¦র হিসেবে গণ্য হয়। বড়দের যেসব কারণে জ¦র হয়, তার সবকটি কারণে শিশুদেরও জ্বর হতে পারে। বড়দের জ্বর সচরাচর সুনির্দিষ্ট কারণেই হয়ে থাকে। অপরিণত স্নায়ুতন্ত্র তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারার কারণে অনেক সময় শিশুদের তীব্র জ্বর হয়।

লক্ষণ
♦ শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁপুনি
♦ খিদের অভাব
♦ ডিহাইড্রেশন
♦ ডিপ্রেশন
♦ হাইপার-অ্যালগেসিয়া বা অতি অল্পেই অতিরিক্ত যন্ত্রণাবোধ
♦ ঘুম ঘুম রেশ

করণীয়
তীব্র জ্বর যে কারণেই হোক তা কমানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে তীব্র জ¦র অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে; বিশেষ করে শিশুদের জ্বরজনিত খিঁচুনি হতে পারে, যা মস্তিষ্কের ওপর উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে হয়ে থাকে। কুসুম গরম পানি দিয়ে ভেজানো কাপড় ব্যবহার করে হাত-পা মুছে দেওয়া যেতে পারে। জলপট্টি ও মাথায় পানি ঢালার মাধ্যমেও জ¦র কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল একটি কার্যকর ওষুধ। যেসব রোগী মুখে ওষুধ খেতে পারবে না, তাদের জন্য সাপোজিটরি ব্যবহার করা যেতে পারে। সাপোজিটরি তুলনামূলক দ্রুত কাজ করে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে, বয়স ও ওজন হিসেবে মাত্রানুযায়ী যথাস্থানে সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ হয়েছে কি না। অতিরিক্ত প্রয়োগে লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসা
জ্বর হলে শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। এজন্য রোগীকে পানি ও তরল খাবার খেতে দিতে হবে।
চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে লক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর নির্ণয় হলে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। ভাইরাসজনিত জ্বর নির্দিষ্ট সময় পরে স্বাভাবিকভাবেই সেরে যায়।
জ্বরের কারণ জানতে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদি রোগের কারণে সাধারণত তীব্র জ্বর হয় না। সে ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় সাপেক্ষে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

পরামর্শ দিয়েছেন ডা. শাহেদ সাব্বির আহমেদ আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রংপুর।

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ জুলাই, ২০২২,  10:52 PM

news image

বিভিন্ন রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ জ্বর। এটা কোনো রোগ নয়। বিভিন্ন কারণে আমাদের জ¦র হয়ে থাকে। সামান্য ঠাণ্ডা লাগলে কিংবা শরীরের কোথাও জীবাণুর সংক্রমণ বা  ইনফেকশন হলেও জ্বর হয়।
অসুস্থ রোগীর ৯৯.১৪ ফারেনহাইটই জ¦র হিসেবে গণ্য হয়। বড়দের যেসব কারণে জ¦র হয়, তার সবকটি কারণে শিশুদেরও জ্বর হতে পারে। বড়দের জ্বর সচরাচর সুনির্দিষ্ট কারণেই হয়ে থাকে। অপরিণত স্নায়ুতন্ত্র তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারার কারণে অনেক সময় শিশুদের তীব্র জ্বর হয়।

লক্ষণ
♦ শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁপুনি
♦ খিদের অভাব
♦ ডিহাইড্রেশন
♦ ডিপ্রেশন
♦ হাইপার-অ্যালগেসিয়া বা অতি অল্পেই অতিরিক্ত যন্ত্রণাবোধ
♦ ঘুম ঘুম রেশ

করণীয়
তীব্র জ্বর যে কারণেই হোক তা কমানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে তীব্র জ¦র অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে; বিশেষ করে শিশুদের জ্বরজনিত খিঁচুনি হতে পারে, যা মস্তিষ্কের ওপর উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে হয়ে থাকে। কুসুম গরম পানি দিয়ে ভেজানো কাপড় ব্যবহার করে হাত-পা মুছে দেওয়া যেতে পারে। জলপট্টি ও মাথায় পানি ঢালার মাধ্যমেও জ¦র কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল একটি কার্যকর ওষুধ। যেসব রোগী মুখে ওষুধ খেতে পারবে না, তাদের জন্য সাপোজিটরি ব্যবহার করা যেতে পারে। সাপোজিটরি তুলনামূলক দ্রুত কাজ করে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে, বয়স ও ওজন হিসেবে মাত্রানুযায়ী যথাস্থানে সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ হয়েছে কি না। অতিরিক্ত প্রয়োগে লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসা
জ্বর হলে শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। এজন্য রোগীকে পানি ও তরল খাবার খেতে দিতে হবে।
চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে লক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর নির্ণয় হলে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। ভাইরাসজনিত জ্বর নির্দিষ্ট সময় পরে স্বাভাবিকভাবেই সেরে যায়।
জ্বরের কারণ জানতে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদি রোগের কারণে সাধারণত তীব্র জ্বর হয় না। সে ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় সাপেক্ষে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

পরামর্শ দিয়েছেন ডা. শাহেদ সাব্বির আহমেদ আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রংপুর।