কুষ্টিয়ার অভিনব ‘নাইট ক্লাব’

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ আগস্ট, ২০২২, 12:37 AM

কুষ্টিয়ার অভিনব ‘নাইট ক্লাব’
নাইট ক্লাব মানে সচারচর আমরা বুঝি রঙিন ঝলমলে এক পরিবেশ। যেখানে উচ্চবিত্তদের রাতের অবকাশ কাটে নির্মল আনন্দে। তবে কুষ্টিয়ার মিরপুরে দেখা মিলল অভিনব এক ভিন্ন স্বাদের ‘নাইট ক্লাব’-এর।
জেলার মিরপুর উপজেলার ‘‘নাইট ক্লাব’’টিতে ঝলমলে পরিবেশ নয়, বরং সাদামাটা গ্রামীণ আভা। আর সেখানে বিক্রি হয় চা। সড়কের পাশে ঘেঁষে গড়ে ওঠা টিনের দুইচালা ঘরটি আসলে একটি চায়ের দোকান। সেই দোকানের নামই “নাইট ক্লাব”।
উপজেলার পশুহাট সংলগ্ন সড়কের পাশে দোকানটির অবস্থান। মালিক মিরপুর পৌরসভার খন্দকবাড়িয়া এলাকার মো. শাহিনুর রহমান অরুণ।
বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ‘নাইট ক্লাবে’ বসে কথা হয় দোকান মালিকের সঙ্গে। তখনও দোকানে চা পানে ব্যস্ত অনেকেই।
শাহিনুর রহমান অরুণ ২০০২ সালে স্নাতক সম্পন্ন করে স্থানীয় কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় মাঠকর্মী হিসেবে চাকরি করেন। ২০১৪ সালে চাকরি ছেড়ে তিনি কুষ্টিয়া বিজিবি সেক্টর সংলগ্ন এলাকায় চায়ের দোকান করেন। এরপর সেখান থেকে মিরপুর পশুহাট সংলগ্ন এলাকায় একটি দোকান ভাড়া নেন।
দোকানের নাম নাইট ক্লাব কেন এমন প্রশ্ন করতেই শাহিনুর রহমান বলেন, আধুনিক যুগ। সবকিছুতেই ডিজিটালাইজেশনের চাহিদা। তাই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিও ডিজিটাল করেছি।
শুধু নামেই নয়, শাহিনুরের দোকানের কাজেও ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া। জানালেন, আগে চায়ের দোকানে জ্বালানি হিসেবে খড়ির ব্যবহার হতো। কিন্তু এখন কয়লা ব্যবহৃত হয়। এতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার চায়ের দোকানে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা বিক্রি হয়। এতে খরচ বাদে প্রায় ৫০০ টাকা মতো লাভ থাকে। এই আয়ে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে মোটামুটি চলে যায়। এছাড়াও প্রতি মঙ্গলবার এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে। হাটের দিন ১০ হাজার টাকা পর্যন্তও বেচা-কেনা হয়।
জীবনে বেশি কিছু চাওয়া নেই জানিয়ে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, “আমার বেশি কিছু আশা নেই। যেমন চলছে, এভাবে চললেই আমি খুশি।”
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ আগস্ট, ২০২২, 12:37 AM

নাইট ক্লাব মানে সচারচর আমরা বুঝি রঙিন ঝলমলে এক পরিবেশ। যেখানে উচ্চবিত্তদের রাতের অবকাশ কাটে নির্মল আনন্দে। তবে কুষ্টিয়ার মিরপুরে দেখা মিলল অভিনব এক ভিন্ন স্বাদের ‘নাইট ক্লাব’-এর।
জেলার মিরপুর উপজেলার ‘‘নাইট ক্লাব’’টিতে ঝলমলে পরিবেশ নয়, বরং সাদামাটা গ্রামীণ আভা। আর সেখানে বিক্রি হয় চা। সড়কের পাশে ঘেঁষে গড়ে ওঠা টিনের দুইচালা ঘরটি আসলে একটি চায়ের দোকান। সেই দোকানের নামই “নাইট ক্লাব”।
উপজেলার পশুহাট সংলগ্ন সড়কের পাশে দোকানটির অবস্থান। মালিক মিরপুর পৌরসভার খন্দকবাড়িয়া এলাকার মো. শাহিনুর রহমান অরুণ।
বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ‘নাইট ক্লাবে’ বসে কথা হয় দোকান মালিকের সঙ্গে। তখনও দোকানে চা পানে ব্যস্ত অনেকেই।
শাহিনুর রহমান অরুণ ২০০২ সালে স্নাতক সম্পন্ন করে স্থানীয় কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় মাঠকর্মী হিসেবে চাকরি করেন। ২০১৪ সালে চাকরি ছেড়ে তিনি কুষ্টিয়া বিজিবি সেক্টর সংলগ্ন এলাকায় চায়ের দোকান করেন। এরপর সেখান থেকে মিরপুর পশুহাট সংলগ্ন এলাকায় একটি দোকান ভাড়া নেন।
দোকানের নাম নাইট ক্লাব কেন এমন প্রশ্ন করতেই শাহিনুর রহমান বলেন, আধুনিক যুগ। সবকিছুতেই ডিজিটালাইজেশনের চাহিদা। তাই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিও ডিজিটাল করেছি।
শুধু নামেই নয়, শাহিনুরের দোকানের কাজেও ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া। জানালেন, আগে চায়ের দোকানে জ্বালানি হিসেবে খড়ির ব্যবহার হতো। কিন্তু এখন কয়লা ব্যবহৃত হয়। এতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার চায়ের দোকানে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা বিক্রি হয়। এতে খরচ বাদে প্রায় ৫০০ টাকা মতো লাভ থাকে। এই আয়ে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে মোটামুটি চলে যায়। এছাড়াও প্রতি মঙ্গলবার এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে। হাটের দিন ১০ হাজার টাকা পর্যন্তও বেচা-কেনা হয়।
জীবনে বেশি কিছু চাওয়া নেই জানিয়ে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, “আমার বেশি কিছু আশা নেই। যেমন চলছে, এভাবে চললেই আমি খুশি।”